রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলের আয়োজন, অংশগ্রহণ ও অর্থায়নের অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল ছাত্রদল

ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল বর্গাচাষির

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম আহমদ শাহ, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মোবারক হোসেন পলক, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.

ফারুক হোসেন আকন, লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. ওয়াহেদুল ইসলাম খান সজিব, আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ও ঝটিকা মিছিলের সংগঠক মো. মিরাজ হোসেন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের সভাপতি মো. এরশাদ আলী (৪৫)।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে ডিবির মতিঝিল বিভাগ খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজাম উদ্দিন ও ফাহিম আহাম্মদ শাহকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে বিকেলে রমনা মডেল থানাধীন শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে মোবারক হোসেন পলক ও মো. ফারুক হোসেন আকনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির মিরপুর বিভাগের একটি দল।  

ডিবির গুলশান বিভাগের আরেকটি দল খিলগাঁও থানাধীন উত্তর নন্দীপাড়ার রসুলবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ওয়াহেদুল ইসলাম খান সজিবকে গ্রেপ্তার করে।

অপরদিকে, কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মিরাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির তেজগাঁও বিভাগের একটি দল। 

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা

জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।

দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপট

হাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’

এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)

আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।

দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকত

এই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯

আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।

আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।

দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ