জবিতে প্রথমবার স্নাতকোত্তর থিসিসে ৫০ লাখ টাকা সহায়তা
Published: 14th, October 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রথমবারের মতো স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তা হিসেবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ২৭টি বিভাগের মোট ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী এই বরাদ্দের আওতায় গবেষণায় আর্থিক সহায়তা পাবেন।
আরো পড়ুন:
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় জকসু নীতিমালা
শিক্ষকদের সাদা-নীল দলে বিভাজন বন্ধ করতে হবে: সাদিক কায়েম
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রদত্ত এই বরাদ্দ ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থটি কেবল গবেষণা সংক্রান্ত ব্যয়ে ব্যবহার করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, গবেষণামুখী শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আরো উৎসাহিত হবেন এবং জবি একটি গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের অবস্থান আরো শক্তিশালী করবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে একটি ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব
দুই দিন পিছিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ১৭ অক্টোবর
জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে টিকাটি, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক টিকাবিষয়ক সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরো আটটি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোথাও বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী বাকি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। শহরের পথশিশুদের টিকাদানে সহায়তা করবে বিভিন্ন এনজিও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন চলমান রয়েছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই, তাদেরও টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবকরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে এবং নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।
ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন দেশের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে এই টিকা দেওয়া হবে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা