৩৫৯ রান তাড়া করে জয়, রান তাড়া শিখিয়ে দিল মার্করাম–ব্রেভিসরা
Published: 3rd, December 2025 GMT
কীভাবে বড় রান তাড়া করতে হয় দেখিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়পুরে ভারতের ৩৫৯ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এটি ভারতের বিপক্ষে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানা তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ২০১৯ সালে অন্য কীর্তিটি গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
৩৫৯ রান তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব বক্সে টিক দেওয়ার প্রয়োজন, সবই তারা করেছে। টপ অর্ডারে বড় ইনিংস খেলার প্রয়োজন মিটিয়েছেন এইডেন মার্করাম। ৯৮ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনার হিসেবে ২৫ ইনিংসে এটিই মার্করামের প্রথম সেঞ্চুরি।
মার্করামকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন টেম্বা বাভুমা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাভুমাকে নিয়ে ৯৬ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েছেন মার্করাম। সেখানে বাভুমার অবদান ছিল ৪৮ বলে ৪৬। এরপর মার্করাম জুটি গড়েছেন ম্যাথু ব্রিটজকের সঙ্গে। এই জুটি থেকে আসে ৫৫ বলে ৭০ রান। দলীয় ১৯৭ রানে মার্করাম ফিরলে ব্রিটজকে ও ডেভাল্ড ব্রেভিস গড়েন ৬৪ বলে ৯২ রানের জুটি। ৩৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ব্রেভিস। ব্রিটজকে করেছেন ৬৪ বলে ৬৮। ১১ ওয়ানডেতে এটি তাঁর সপ্তম ফিফটি। এই জুটিই ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়।
পুরো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অনেকটা অঙ্কের মতো হিসাব মিলিয়ে খেলেছে। প্রথম ১০ ওভারে ৫১ রান তোলা প্রোটিয়ারা ২০ ওভারে তোলে ১১৮, ৪০ ওভারে ২৮২ রান। শেষদিকে ব্রিটজকের উইকেট, টনি ডি জর্জি চোটে কারণে উঠে গেলে কিছুটা চাপে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাতে বেশি ক্ষতি হয়নি। অলরাউন্ডার করবিন বশের ১৫ বলে ২৯ রানে জিতেছে তারা।
এর আগে কোহলির ৫৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান তোলে ভারত। ৯০ বলে সেঞ্চুরি করা কোহলি সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি আজ ৮৪তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। সামনে শুধু একজন—ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি (১০০টি) ছোঁয়ার দৌড়ে কোহলিই এখন সবচেয়ে কাছে। আসলে কোহলিই একমাত্র!
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। এ নিয়ে ১১ বার ওয়ানডেতে টানা দুই বা তার বেশি ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। এটাও রেকর্ড। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্স এমনটা করতে পেরেছেন মাত্র ৬ বার।
আজ চতুর্থ উইকেটে গায়কোয়াড়ের সঙ্গে কোহলি গড়েন ১৯৫ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ১০২ রান করে থামেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন নিজের ইনিংসে।
২৮ বছর বয়সী রুতুরাজ আউট হয়েছেন ৮৩ বলে ১০৫ রান করে, মেরেছেন ১২টি চার ও ২টি ছক্কা।
আজ অবশ্য ভারতের শুরুটা ভালো ছিল না। যশস্বী জয়সোয়াল (২২) ও রোহিত শর্মা (১৪) দ্রুতই ফিরে যান। কিন্তু কোহলি সেই ধাক্কা টেরই পেতে দেননি দলকে।
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৫৮/৫ ( কোহলি ১০২, রুতুরাজ ১০৫; ইয়ানসেন ২/৬৩.
এনগিডি ২/৫১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৯.২ ওভারে ৩৬২/৬ (মার্করাম ১১০, ব্রিটজকে ৬৮; অর্শদীপ ২/৫৪, প্রসিদ্ধ ২/৮৫)
ম্যাচসেরা: এইডেন মার্করাম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র কর ম ব র টজক উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিপ্রবিসহ রাঙামাটিতে কেউ যেন পাহাড় কাটতে না পারে: আদালতের নির্দেশনা
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাঙামাটিতে কেউ যাতে পাহাড় কাটতে না পারে, সে জন্য মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ভবন নির্মাণে পাহাড় কাটা নিয়ে করা রিট শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি এবং বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের আদালত আজ বুধবার এ নির্দেশনা দেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এই রিট করে।
গত ২৫ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আদালত রাঙামাটি জেলার পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না; রাঙামাটি জেলার পাহাড় কাটা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং যে পাহাড় কাটা হয়েছে, সেগুলোকে মাটি ভরাট করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে। রাঙামাটিতে প্রশাসনের সামনে এ কার্যক্রম চললেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনরাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা২৫ নভেম্বর ২০২৫রিটের পক্ষে ছিলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবী মোহাম্মদ সারোয়ার আহাদ চৌধুরী এবং একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। বিবাদী করা হয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান কেউ পাহাড় কাটতে পারে না। রাঙামাটিতে প্রশাসনের সামনে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।