তামাক নিয়ন্ত্রণে বিনোদন সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন
Published: 19th, November 2025 GMT
নাটক, চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজে ধূমপানসহ সকল নেতিকবাচক দৃশ্য বন্ধে আইন ও নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী ও কলা-কুশলীদেরকে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে তথ্য ভবনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) যৌথ আয়োজনে ‘ওরিয়েন্টেশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল ল ফর জার্নালিস্ট: রোল অব এন্টারটেইনিং মিডিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উক্ত আহ্বান জানান তারা। নাটক, চলচ্চিত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং ওটিটি নীতি দ্রুত চূড়ান্তকরণ ও একটি গাইডলাইন প্রণয়নের সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা।
আরো পড়ুন:
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় হামলা: চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহলের মৃত্যু
জবিতে উদীচীর কর্মীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বাকবিতণ্ডা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.
অনুষ্ঠানে তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা এবং নাটক-চলচ্চিত্রে আইন লঙ্ঘণের চিত্র ও করণীয় বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে মানস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন ও মানসের প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে জান্নাত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম ও ম্যানেজার (তামাক নিয়ন্ত্রণ) ফাহমিদা ইসলাম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান দর্পন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. ফরহাদুর রেজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানসের সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার মো. আবু রায়হান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “বর্তমানে কিশোর-তরুণসহ প্রায় সব বয়সিদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম নাটক, চলচ্চিত্র ও ওটিটি কনটেন্ট। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতার কারণে ‘কাহিনির প্রয়োজন’ এর দোহাই দিয়ে অযাচিতভাবে চলচ্চিত্রে, নাটকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধূমপানের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলো তরুণ সমাজকে টার্গেট করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতেও তামাকের নেশায় উৎসাহিত করছে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বিনোদন মাধ্যমে যাতে নেতিবাচক বিষয়গুলো ফলাও করে প্রচার না করা হয়, সে বিষয়ে অভিনয়শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদেরকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড, চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নিয়ম মেনে চলচ্চিত্র অনুমোদন, আইন লঙ্ঘণ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।”
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি ধূমপান বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে বলেও জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, “সাংবাদিকরাও তামাকের সার্বিক ক্ষতি নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রতিবেদন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ চিহ্নিত করে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন, ফলোআপ এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আইন প্রতিপালনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারেন। সর্বোপরি, সুস্থ বিনোদন মাধ্যমের জন্য, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা চূড়ান্ত এবং আলাদা একটি গাইডলাইন প্রণয়নের দাবি জানান তারা।”
অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কার্যনিবাহী সদস্য সাজু আহমেদ, নিয়াজ শুভ। এছাড়া দুলাল খান, সুমন মোস্তফা, মাজহার বাবু, এমদাদুল হক মিল্টন, আশরাফুল আলম আসিফ, সুকন্যা আমীর, মো. মনিরুল ইসলাম সরকার (রঞ্জু), নাজমুল আহসান তালুকদার, শাহিন আলম শুভ, এ আর এম শাদাত, সাজিয়া ইসলাম স্বর্ণা, লিটন মাহমুদ, হিমু সুলতানা, মো. হোছাইন রুহানীসহ বিনোদন সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ল দ শ চলচ চ ত র স অন ষ ঠ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গত ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে ন্যূনতম নম্বর, শ্রেণির সঙ্গে যে জিপিএ/সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে তা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেন কয়েকজন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ উজ্জলসহ তিনজন প্রার্থী রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রেডিং সিস্টেম নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নীতিমালা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষাসচিব, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।