আইনগত বাধা নেই, তাই এনসিপি-কে শাপলা দিতে হবে: সারজিস
Published: 14th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘আইনগত বাধা যেহেতু নেই, তাই নির্বাচন কমিশনকে এনসিপি-কে শাপলা প্রতীক দিতে হবে।’’
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে: সারজিস
জোটে গেলেও শাপলা প্রতীকে নির্বাচন করবে এনসিপি: সারজিস
সারজিস আলম বলেন, ‘‘কয়েকটা সিটের জন্য এনসিপি কারো সঙ্গে ঐক্য করবে, সেই নীতিতে বিশ্বাস করে না। এক বা একাধিক রাজনৈতিক দল তাদের জায়গা থেকে জনগণ বা দেশের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে যদি পরিবর্তনের জন্য প্রতিজ্ঞা করে, সেই অনুযায়ী কাজ করে; বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনার মধ্যে ঐক্য দেখা যায়, তখন আমরা চিন্তা করতে পারি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এনসিপির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল ঐক্য করলেও এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে।’’
এনসিপির এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা আরো বলেন, ‘‘এনসিপি সংসদের উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্নকক্ষে বিপক্ষে।’’
এ সময় এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশেকীন আলম, ময়মনসিংহ জেলা সদস্য অ্যাডভোকেট এটিএম মাহবুব আলম, সদস্য ইকরাম এলাহী খান সাজ, মোজাম্মেল হক, মাহমুদুল হাসান সোহেল, মোকারম আদনান, ফুয়াদ খান, জিকে ওমর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প এনস প র
এছাড়াও পড়ুন:
‘সব প্রতিবেদন হুবহু’ প্রকাশ, ময়মনসিংহের ১১টি সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল দুটি পাতার সব প্রতিবেদন হুবহু প্রকাশ করার অভিযোগে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি সংবাদপত্রের ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার ১১টি সংবাদপত্র বাতিলের আদেশ জারি করা হয়। তবে রবি ও সোমবার সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের লোকজনের কাছে ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি পৌঁছানো হয় বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
আরও পড়ুনকোন ক্ষমতাবলে ১৩টি পত্রিকাকে শোকজ করল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসন১৯ এপ্রিল ২০২৫জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো মো. শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ; এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর; এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র; মরহুম আবদুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈষিকা; নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা; আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা; মরহুম রেবেকা ইয়াসমিন প্রকাশিত দৈনিক জাহান; ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ; ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ ও বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইনের কিছু ধারা লঙ্ঘন করে পত্রিকাগুলো প্রকাশিত হচ্ছিল। আইনের লঙ্ঘন করায় তাদের ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১৩টি পত্রিকার দুটি পাতায় সব প্রতিবেদন হুবহু প্রকাশ করায় পত্রিকাগুলোর সম্পাদক ও প্রকাশকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরা স্বাক্ষরিত নোটিশে পত্র পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। শোকজ করা ১৩টি পত্রিকার মধ্যে মো. আফসর উদ্দিন সম্পাদিত দৈনিক সবুজ ও এম এ মতিন সম্পাদিত দৈনিক নিউ টাইমস ছাড়া বাকি ১১টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হলো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিক্লারেশনে উল্লেখ করা ছাপাখানার বাইরে অনুমোদনবিহীন ছাপাখানা থেকে ১১টি সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছিল। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, ছাপাখানার স্থান পরিবর্তন করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এর মধ্যে দুটি সংবাদপত্র আগেই অনুমতি নিয়ে নেয়। বাকি ১১টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি জারি হলেও সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদক ও প্রকাশকদের ফোন করে চিঠি নিতে জানানো হয়। আজ সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ছয়টি সংবাদপত্র ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি নিয়ে গেছে।
দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা সম্পাদক আ ন ম ফারুক মুঠোফোন জানিয়েছেন, ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি এখনো তাঁরা হাতে পাননি। চিঠি পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। তবে দৈনিক দেশের খবর পত্রিকার সম্পাদক এফ এম এ ছালাম বলেন, ‘আমাদের যদি রিভিউ করার সুযোগ থাকে, তাহলে রিভিউ করব। তা না হলে হাইকোর্টে যাব।’
ময়মনসিংহ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদপত্র দৈনিক জাহান। হাবিবুর রহমান শেখের সম্পাদনায় ১৯৮০ সাল থেকে এটির প্রকাশ শুরু হয়। শুরু থেকেই সংবাদপত্রটির সঙ্গে জড়িত থাকা হাসিম উদ্দিন বর্তমানে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
ডিক্লারেশন বাতিলের বিষয়ে হাসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পত্রিকা যখন প্রকাশ শুরু হয় তখন এ অঞ্চলে কোনো সংবাদপত্র ছিল না। গত পাঁচ-ছয় মাস আগে আমাদের ছাপাখানায় মেশিন সমস্যা দেখা দেওয়ায় অন্য একটি ছাপাখানা থেকে পত্রিকা প্রকাশ করছিলাম। এ জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনও জমা দেওয়া ছিল। আমাদের ছাপাখানার মেশিন বসানোর কাজ চলছে। এর মধ্যে আজ ডিক্লারেশন বাতিলের কথা শুনতে পেরেছি। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।’