পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে কিসের শুটিং করছেন চঞ্চল?
Published: 15th, October 2025 GMT
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ওপার বাংলার সিনেমায় অভিনয় করেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। খানিকটা বিরতির পর ফের ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘শিকড়’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ব্রাত্য বসু।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই গল্পের সংমিশ্রণে তৈরি নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। বর্তমানে বোলপুরে শুটিং চলছে, এতে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
বাংলা সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়, প্রশ্ন রঞ্জিত মল্লিকের
অসম বিয়ে: ভাঙা সংসার জোড়া লাগল সুদীপ-পৃথার
কবিগুরুর মাটিতে প্রথমবার গিয়েছেন চঞ্চল; তাই খানিকটা আবেগাপ্লুত। এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “স্বপ্নের মতো লাগছে। কতবার এই জায়গা আমাকে টেনেছে; আসা হয়নি। বেশ অনেক দিন শুটিং করছি। এখনো ঘুরে দেখা হয়নি। তবে পরিকল্পনা আছে বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার। রবীন্দ্রনাথ তো প্রাণের ঠাকুর। তার মাটিতে এসে ঘুরে না দেখলে চলে?”
এ সিনেমায় অভিনয় করার কারণ ব্যাখ্যা করে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “বরাবরই গ্রাম আমাকে টানে। একটা টান অনুভব করি। বর্তমানে ঢাকায় থাকলেও আমি তো আসলে গ্রামেরই ছেলে। যখন সিনেমার মেঠো পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি, কত পুরোনো ছবি মনে ভেসে উঠছে। এই ছবি করতে গিয়ে আমি বারবার পিছন ফিরে তাকিয়েছি। এখানে বাবা-ছেলের একটা সুন্দর সম্পর্ক দেখা যাবে। আমার বাবার চরিত্রটার সঙ্গে আমার ব্যক্তি জীবনের বহু মিল। কারণ এই চরিত্র ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। যিনি সমস্ত কিছু মুহূর্তের মধ্যে ভুলে যান। আমার বাবাও শেষ জীবনে এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই সিনেমা করার আরও একটি কারণ হচ্ছে ব্রাত্যদা (বসু)। উনার সঙ্গে সিনেমা করার একটা আরাম আছে; সেটা আমায় ভীষণভাবে টানে।”
কিছুটা বিরতি নিয়ে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন। এটা কী রাজনৈতিক কারণে? এ প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “না। একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, এই বিরতিটা কিন্তু আমার কাছে খুব স্বাভাবিক। আমি কম সিনেমা করি। রাজনীতি কিংবা দেশ বুঝি না। আমরা বাংলা সিনেমার শিল্পী। সব দর্শকের জন্য সিনেমা তৈরি করি। এখানে কোনো বিভাজন নেই। সারা পৃথিবীর বাংলা সিনেমার দর্শকদের জন্য সিনেমা তৈরি হয়। আমার মনে হয় না, সেখানে রাজনীতির কোনো ঠাঁই আছে। এপার বাংলায় কাজের কথা চলছে; ওপার বাংলায়ও বেশ কিছু কাজ পাইপলাইনে রয়েছে। সিরিজ ও সিনেমা, দুই-ই।”
বারাণসীতে দু’দিনের শুটিং হয়েছে। বোলপুরে হয়েছে আট দিনের শুটিং। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক ব্রাত্য বসু বলেন, “আসলে আমি তো শিকড়বিহীন। তাই সারাজীবন শিকড়ের সন্ধান চালিয়ে যাই। এটি তেমনই এক সন্ধানের সিনেমা। সম্পর্কের গল্প।”
এখন কেন সামাজিক গল্প বলতে চাইলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, “এই সিনেমা রাজনীতির কথাও বলে। জীবন তো রাজনীতিবিহীন নয়। সামাজিক গল্পের সঙ্গে রাজনীতির কোনো দ্বন্দ্ব নেই। একটা সামাজিক ভালোবাসার গল্প বলবে এই সিনেমা।”
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন ত করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়কে থাকার ঘোষণা এমপিও শিক্ষকদের
তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দুপুরের মধ্যে দাবি না মানলে পূর্ব ঘোষিত শাহবাগ মোড় ব্লকেড করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আন্দোলনকারী ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’–এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা এনসিপির নেতাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তারা আসার পর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে।”
কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আজকের শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচিতে প্রশাসন বাধা দিলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। আপনারা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে দেন। আমরা কর্মসূচি শেষে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে আসবো।”
তিনি আরো বলেন, “যদি কর্মসূচিতে বাধা ও শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয় তাহলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাবে। তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।”
কিছু জেলায় কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে সংবাদ আসছে। যারা বাধা দিচ্ছেন তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা হয়রানি বন্ধ করেন, নতুবা আপনাদের অফিস ঘেরাও করা হবে।”
এর আগে গতকাল বিকেলে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাইকোর্ট মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নেন তারা। সেখান থেকে রাতে নতুন কর্মসূচির কথা জানান শিক্ষকনেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁরা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও সংহতি জানান।
শিক্ষক-কর্মচারীদের বাকি দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা