বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
Published: 15th, October 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহতের নাম মিলন (৬০)। তিনি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মারকৈল-সাহাপুর এলাকার নওসাদ আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
বিয়ের দাওয়াতে এসে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের সমর্থক তরিকুলকে মারধর করেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম তুহিন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের খোকনের লোকজন। এর জেরে মঙ্গলবার বিএনপির দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মিলনসহ ১৫ জন আহত হন।
নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার ফতেপুর ইউনিয়নের মারকইল এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মিলন নামের একজন আহত হয়েছিলেন। বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।’’
ঢাকা/শিয়াম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র দ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর কলেজ এলাকার বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ভিডিওটি গত মে মাসের। ভিডিওতে থাকা যুবকেরা ‘রাসেল-ফয়সাল বাহিনী’ নামের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং শ্রীনগর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের নাম ফয়সাল, রাসেল, অর্পণ, আহির। তাঁদের সবার বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জনশূন্য একটি স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন চার যুবক। তাঁদের মধ্যে দুজনের হাতে দুটি পিস্তল। একজনকে পিস্তল দেখিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘দামি কিন্তু এইডা, দুইডা দিয়া শট করমু।’ জবাবে অন্যজন বলেন, ‘দুইডা দিয়া শট করা যাইব না, একটা দিয়া শট করতে হইব। গুল্লি রেয়ার, পাওয়া যায় না।’ একজন বলেন, ‘লকটা খুলে টিপ দিলেই গুলি বের হইব।’ এ সময় পিস্তল হাতে নিয়ে আকাশের দিকে গুলি করার চেষ্টা করেন একজন। কীভাবে গুলি করতে হবে, পাশ থেকে বলছিলেন আরেক যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওতে থাকা যুবকদের মধ্যে রাসেলের বাড়ি উপজেলার বাঘরা এলাকায়। ফয়সালের বাড়ি কামারখোলা। আর সাদা টি–শার্ট, কালো প্যান্ট ও টুপি পরা আহিরের বাড়ি শ্রীনগর ইউনিয়নের মথুরা পাড়ায় এবং অন্যজন একই এলাকার কালো পাঞ্জাবি পরা অর্পণ।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ভিডিওটি গত মে মাসের। এটি শ্রীনগর কলেজের পেছনের পুকুরপাড় এলাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীনগরের পরিবেশ এখন শান্ত। পরিবেশ ঘোলাটে করতে পাঁচ মাস আগের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাঁরা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। সবাই আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের মধ্যে রাসেলের দুটি চোখ প্রতিপক্ষের লোকজন উপড়ে ফেলেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।