জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ এবার পৌঁছে গেছে দেশের উত্তরের প্রান্তে—সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে। দেড় শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী উলিপুর মহারানী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ধারণ করা হয়েছে এবারের পর্বটি। এটি প্রচারিত হবে আগামী ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর, বাংলাদেশ টেলিভিশনে। সব সময়ের মতো এবারের পর্বটিও রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।

উৎসবমুখর কুড়িগ্রামে ইত্যাদি ধারণ
নব্বইয়ের দশক থেকেই দেশের প্রান্তিক অঞ্চল, ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভেতরে প্রবেশ করে অনুষ্ঠান ধারণ করছে ‘ইত্যাদি’। প্রতিবারের মতো এবারও হানিফ সংকেত ও তাঁর ফাগুন অডিও ভিশন দল বেছে নিয়েছেন এমন একটি স্থান, যেখানে ইতিহাস, লোকসংস্কৃতি, ভাওয়াইয়া সংগীত ও প্রকৃতি মিলেমিশে আছে এক অনন্য ঐতিহ্যে।
কুড়িগ্রাম—প্রকৃতি আর ভাওয়াইয়ার সুর মিশে আছে মানুষের জীবনযাত্রায়।

ভাওয়াইয়াকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে এবারের সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান অংশ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজবাড়ীতে প্রভাষককে পেটালেন সহযোগী অধ্যাপক

রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এক প্রভাষককে কলার ধরে টেনে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মারধ‌রের অংশবিশেষ দেখা গেছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আজাদুর রহমান। অভিযুক্ত শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোস্তফা কামাল। তিনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকও।

প্রভাষক আজাদুর রহমান বলেন, “দুপুর একটার দিকে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও একই ক‌লে‌জের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিনকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার। এ ঘটনার পর কুতুব উদ্দিন অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি তার সঙ্গে ছিলাম। কুতুব অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যায়। এর মধ্যে মোস্তফা কামাল স্যার এসে আমাকে কলার ধরে টেনে নিচে নিয়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঘাড়, চোখ ও মুখে আঘাত লাগে। পরে সন্ধ্যায় আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই, আমি মামলা করব।”

ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিন বলেন, “দুপুরে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার আমাকে হঠাৎ ধাক্কা দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যাই। তখন মোস্তফা কামাল স্যার গিয়ে আজাদুর রহমানকে বলে, ‘এই আজাদ, এদিকে এসো’ এ কথা বলেই তিনি আজাদের কলার ধরে নাক-মুখে কিল ঘুষি দেন। ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও ঘুষি মারেন মোস্তফা কামাল স্যার। আজাদুর রহমানকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ওকে অনেক মারধর করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, “ওরা একজন শিক্ষককে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতেই আমি তাদের কাছে যাই। তখন আমার সাথেও আজাদুর খারাপ ব্যবহার করে। তাই কলার ধরেছি, তবে মারধর করিনি।” 

কোন শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার বাড়ি খুলনা, এখানে চাকরি করে।”

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইকরামুল করিম বলেন, “আমি শুনেছি দুই শিক্ষকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।”

ঢাকা/রবিউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ