রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হল কেন্দ্র ও হল সংসদের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ভিপি, জিএস, এজিএস পদে ১ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা

রাকসু নির্বাচনের ফল আসতে ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে: রাবি উপাচার্য

মন্নুজান হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন সুমাইয়া জাহান। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫টি ভোট। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন তাসমিয়া জাহান তন্নী, যার ভোট ৯১২টি। এজিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন পেয়েছেন ১ হাজার ৫টি ভোট।

কেন্দ্রীয় সংসদে মন্নুজান হল কেন্দ্রে এগিয়ে যারা

এ কেন্দ্রে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর চেয়ে চার গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী।

ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ মন্নুজান হল কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ৯৭২টি। আর ছাত্রদলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির পেয়েছেন ২৩৬টি ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসিন খান পেয়েছেন ১৭৩টি ভোট।

এই হলে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৮৪১টি ভোট। শিবিরের ফাহিম রেজা ৪৯৫টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আর ৮৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন।

এজিএস পদে শিবিরের সালমান সাব্বির পেয়েছেন ৫৫৩টি ভোট। ছাত্রদলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩৭৮টি ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, দ্বীপ মাহবুব (৪৭৮), তামান্না আক্তার (৪৫৯), ইমতিয়াজুল হক জালালী (৪০১) ও হাবিবুর রহমান (৩৬১)।

সিনেট প্রতিনিধি পদে এ হলে জুয়েল রানা ১২০টি, আরিফুল ইসলাম ১১৮টি, রাহুল আগারওয়াল ১১২টি, সাজ্জাদ হোসেন ৯৯টি ও জুনাইদ ৮৬টি ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল জ এস প ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে শারীরিক ও সংগীত শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে গানে গানে রাজধানীর রাজপথ পরিক্রম করলেন শিক্ষার্থী-সংগীতশিল্পীসহ সংগীতানুরাগী নাগরিকেরা। তাঁরা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ওই শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব মাঠের সামনে সাতমসজিদ রোডে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সংগীত ও চারুশিল্পী, যুব সংগঠনের নেতাকর্মী ও সংগীতানুরাগী সাধারণ নাগরিকেরা সমবেত হয়ে মানববন্ধন করেন। ‘প্রাথমিক শিক্ষাকে শিশুর সুকুমার বৃত্তি বিকাশের উপযোগী করে তোলো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই প্রতিবাদী আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ‘তোমার ভয় নেই মা/ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’, ‘কণ্ঠ ছাড়ো জোরে’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’, ‘ওরা আমার মুখের কথা কাইড়া নিতে চায়’—এমন গানের বাণী লেখা পোস্টার। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় প্রতিবাদী কার্যক্রম।

এই প্রতিবাদী আয়োজনের আয়োজকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী রিমেল সরকার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই প্রতিবাদে তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ৪৭২ জন নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন। এতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের চাপের মুখে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে শিশুদের সৃজনশীলতা ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিশুদের সৃজনশীলতা, আবেগীয় ও নান্দনিক বোধ, সামাজিক সংহতির চেতনা গঠনের জন্য অপরিহার্য। এ কারণে বিশ্বব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে শিল্প-সংস্কৃতি ও সৃজনশীল শিক্ষাকে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে এই বিষয়গুলো সংকুচিত করা শিক্ষানীতি ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।’

আয়োজকেরা কিছু সময় সাতমসজিদ সড়কে ব্যানার, পোস্টার নিয়ে মানববন্ধন করে অবস্থান করেন। এরপর শুরু হয় তাঁদের প্রতিবাদী গানের মিছিল। ঢাকা। ৭ নভেম্বর

সম্পর্কিত নিবন্ধ