রাকসু: শীর্ষ তিন পদে ছাত্রদলের ‘ডরাডুবি’
Published: 17th, October 2025 GMT
প্রচলিত ধারণার বাস্তবতার প্রমাণ দিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে একমাত্র জিএস পদ ছাড়া ভিপিসহ অন্যান্য পদে আধিপত্য বজায় রাখার বার্তা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে, যেখানে ছাত্রদল শীর্ষ দুই পদের কোনোটিতে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো গড়তেই পারেনি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যাপক ভোট ব্যবধানে হারের মুখে রয়েছে তারা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৭টা পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্রে অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছে রাকসু নির্বাচন কমিশন। এই ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, রাকসুর শীর্ষ তিন পদ- ভিপি, জিএস ও এজিএসে লড়াইয়ে পরাজয় এখন ঘোষণা অপেক্ষামাত্র। কারণ, বাকি তিন কেন্দ্রের ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল বদলে দেওয়ার মতো হয়তো হবে না।
আরো পড়ুন:
রাকসুর ফলাফল: মন্নুজান হলে ভিপি সুমাইয়া, জিএস তন্নী
রাকসু: ১৪ কেন্দ্রে ভিপিতে শিবিরের জাহিদ, জিএসে ঐক্যের আম্মার এগিয়ে
রাকসুর ভিপি পদে ছাত্রদলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর। তিনি লড়াইয়ে নেমে ছাত্রশিবিরের মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। ভিপি পদে ছাত্রদলের হার হবে বিপুল ব্যবধানে। জাহিদ অন্তত তিন-চার গুণ বেশি ভোট নিয়ে ভিপি হতে চলেছেন।
ছাত্রদল থেকে রাকসুর জিএস পদে প্রার্থী নাফিউল ইসলাম। এই পদেই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারতে চলেছেন তিনি। যদিও শিবিরের ফাহিম রেজাও জিএস পদে সুবিধা করতে পারেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার ছাত্রদল ও শিবিরের প্রার্থীকে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। আম্মারই হতে চলেছেন রাকসুর জিএস।
ছাত্রদলের আলোচিত প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা। তিনি লড়াই করছেন এজিএস পদে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ভালো ভোট পেয়েছেন; তবে এখন পর্যন্ত একটি বাদে সব কেন্দ্রেই তিনি ছাত্রশিবিরের সালমান সাব্বিরের পেছনে এগোচ্ছেন। আশা জাগিয়েছিলেন এষা, তবে শেষ হাসি তিনি হাসতে পারছেন না; কারণ ছোট ছোট ব্যবধানে এগিয়ে জয়ের মালা পরার খুব কাছে রয়েছেন শিবিরের সাব্বির।
রাকসুর শীর্ষ তিন পদে ভোটের চিত্রে জয়-পরাজয় পরিষ্কার আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা/মেহেদী/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ব যবধ ন ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাপ্তবয়স্কদের এই নতুন বাংলা সিনেমায় আসলে কী আছে
চলচ্চিত্র পরিচালকেরা বরাবরই বলে থাকেন, ‘সপরিবার ছবিটি দেখতে আসুন।’ তবে ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ নির্মাতা জয়ব্রত দাশ বলছেন, ‘ছবিটি সপরিবার দেখবেন না’; সিনেমার পোস্টারেও বিধিসম্মত সতর্কীকরণটি জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
৫টি কিংবা ১০টি নয়, ৫৪টি দৃশ্য বদলের পর সিনেমাটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ দিয়েছে সার্টিফেকেশন বোর্ড। সাম্প্রতিককালে এতগুলো দৃশ্য বদলের পরও ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ পাওয়ার ঘটনা কলকাতার সিনেমায় দেখা যায়নি।
সিনেমার পোস্টার