‘অধিকাংশ পাকিস্তানি পুরুষ অবিশ্বস্ত, আমি বিদেশি বিয়ে করব’
Published: 17th, October 2025 GMT
পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রী সাঈদা ইমতিয়াজ। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ আলাপচারিতায় সাঈদা ইমতিয়াজ বলেন— “অধিকাংশ পাকিস্তানি পুরুষ অবিশ্বস্ত।”
বিয়ে, বিশ্বস্ততা, নিজের পছন্দের জীবনসঙ্গী নিয়েও এ সাক্ষাৎকারে খোলামেলা মত প্রকাশ করেন সাঈদা। এ অভিনেত্রী বলেন, “অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ আমার কাছে ভয়ংকর মনে হয়। বিয়ের আগে দুজন মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও সামঞ্জস্য থাকা খুব জরুরি।”
আরো পড়ুন:
‘৯৫ শতাংশ পুরুষ দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান’
মেঘা থেকে অপু বিশ্বাস
নিজের বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সাঈদা ইমতিয়াজ বলেন, “আমি লাভ-কাম-অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ পছন্দ করি। তবে পাকিস্তানি পুরুষকে নয়, একজন বিদেশিকে বিয়ে করতে চাই।”
কারণ ব্যাখ্যা করে সাঈদা ইমতিয়াজ বলেন, “আমার মতে, অধিকাংশ পাকিস্তানি পুরুষ অবিশ্বস্ত। কিন্তু অন্যান্য দেশের পুরুষদের মধ্যে অবিশ্বস্ততা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমার ভাই-বোনেরা নিউ ইয়র্কে বসবাস করে, যেখানে পুরুষদের একাধিক বিয়ে করার অনুমতি নেই।”
স্থানীয় সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের উদাহরণ টেনে সাঈদা ইমতিয়াজ বলেন, “আমি এমন ঘটনাও শুনেছি, যেখানে একজন নারী নিজের বোনের বাগদত্তাকে বিয়ে করেছে। নারীদের উচিত বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক না করা, যাতে আরেকজন নারীর সংসার না ভেঙে যায়।”
বিবাহিত পুরুষদের কাছ থেকে মেসেজ পেলে, তার প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেন? এ প্রশ্নের জবাবে সাঈদা ইমতিয়াজ বলেন, “যদি কোনো বিবাহিত পুরুষ আমাকে মেসেজ করে, আমি তাকে হুঁশিয়ারি দিই যে, ‘আমি আমাদের এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট আপনার স্ত্রীর কাছে পাঠাব।’ সাধারণত, তারপর তারা পিছু হটে।”
কাশ্মীর-আমেরিকান পরিবারের সন্তান সাঈদা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার জন্ম। তবে বেড়ে উঠেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন সাঈদা।
২০১২ সালে দ্বি-ভাষিক পাকিস্তানি ‘কাপ্তান: দ্য মেকিং অব আ লিজেন্ড’ সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। এতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা খানের চরিত্র রূপায়ন করেন সাঈদা।
তথ্যসূত্র: পাকিস্তান অবজারভার
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমত য় জ ব ন স ঈদ
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আনোয়ার ফকির হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভারতীয় ভ্যাকসিন-বীজ বিক্রি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
দণ্ডপ্রাপ্ত ইসলাম উদ্দিন তেউরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। নিহত আনোয়ার ফকির উপজেলার উত্তর ধলা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান ফকিরের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার ফকিরের মামাতো ভাই আপেল মাহমুদকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা নেন ইসলাম উদ্দিন। পরে চাকরি না হওয়ায় আড়াই লাখ টাকা ফেরত দেন ইসলাম উদ্দিন।
২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তেউরিয়া বাজার মোড়ে ইসলাম উদ্দিনের কাছে বাকি টাকা চাইলে তিনি আনোয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আনোয়ারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আখলাকুল ফকির বাদী হয়ে ইসলাম উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/রুমন/রাজীব