একটা স্মার্টফোন তৈরি করতে কত দিন লাগে
Published: 17th, October 2025 GMT
একেবারে শূন্য থেকে একটা স্মার্টফোন মোড়কজাত করে বিক্রির উপযোগী করতে কত দিন লাগে? চীনের শেনজেনে স্মার্টফোন নির্মাতা ‘অনার’–এর কারখানা দেখে তা জানা গেল। আজ শুক্রবার কারখানা ঘুরে দেখার সময় অনারের সিনিয়র কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ার রায়ান ইয়াং জানালেন, একদম শুরু থেকে মোড়কজাত করা পর্যন্ত তিন দিন সময় লাগে। এই শুরুটা হলো একেবারে মেইনবোর্ড বানানো থেকে শুরু করে ক্যামেরা লাগানো, ডিসপ্লের আঠা লাগানো পর্যন্ত। আঠা লাগানোর পর আবার তিন ঘণ্টা সময় দিতে হয় সেটা শুকানোর জন্য।
অনারের কারখানায় দেখা গেল, ১৫০ মিটার দীর্ঘ একেকটা লাইনআপে স্মার্টফোন তৈরি হয়। এটা শুরু হয় মেইনবোর্ড বা মাদারবোর্ড তৈরির মাধ্যমে। মাদারবোর্ডে প্রসেসরসহ নানা উপকরণ বসানো হয় নির্দিষ্ট যন্ত্রে। লাইনে পাশাপাশি সব রোবোটিক যন্ত্র সাজানো আছে। একেকটা লাইনে চার–পাঁচজন মানুষ আছেন। মজার ব্যাপার হলো, স্মার্টফোন তৈরির এই যন্ত্রপাতি সেসবও অনারের তৈরি। এইচআইইপি (অনার ইন্টেলিজেন্ট ইকুইপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম) যন্ত্র দিয়েই সব কাজ হয়।
আমরা দেখলাম, অনার ৫০ স্মার্টফোন তৈরি হতে। একেকটা লাইনে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার স্মার্টফোন তৈরি করে অনার। এই কারখানা দালানে ২০টি লাইন আছে। তার মানে, এই এক দালান থেকেই দিনে ৪০ হাজার ফোন তৈরি হয়। শেনজেনে এ রকম কারখানার দালান আছে চারটি। আরও দুটি দালান আছে, যার একটি ক্যানটিন। কারখানা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে গাজীপুরে হাইটেক পার্কে অনারের কারখানার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই সেটা চালু হবে।
আরও পড়ুনঅনার আলফায় ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির একঝলক২১ ঘণ্টা আগেঅনারের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রর প্রবেশমুখ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন র র
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক সেবনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, মহাসড়ক অবরোধ
মাদারীপুর সরকারি কলেজ মাঠে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ইকবাল আমিন সম্রাট (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে বহিরাগত কয়েকজন যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ গেট এলাকায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর কলেজের মাঠে কয়েকজন বহিরাগত যুবক মাদক সেবন করছিল। এ সময় শিক্ষার্থী ইকবালসহ কয়েকজন প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বুধবার বিকেলে মাঠে খেলতে গেলে ইকবালকে একা পেয়ে তারা বেদম মারধর করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমানা নির্ধারণ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেন বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং শান্ত থাকতে অনুরোধ জানায়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।’’
ঢাকা/বেলাল//