নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধনের পর এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যৌথ চিঠি দিয়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী।

চিঠিতে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নান মনোনয়ন পাওয়ায় মানুষ হতাশ। এই মনোনয়ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা এই আসনে শিক্ষিত, অভিজ্ঞ এবং যোগ্য যেকোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান, যিনি এলাকার উন্নয়নে বলিস্ট ভূমিকা পালন করতে পারবে। 

‎যৌথ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ১নং সহসভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক। দলীয় মহাসচিবের মাধ্যমে এই চিঠি তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়। এর আগে তারা ১৮ নভেম্বর সকালে অধ্যাপক রেজাউল করিমের বাসায় যৌথ বৈঠক করেন। ‎

‎চিঠিতে তারা আরও বলেন, এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ডঃ মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে যিনি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন যাকে দেয়া হয়েছে ৫ আগস্টের পরে তিনি সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, জায়গা জমি দখল, নৌ পথে সন্ত্রাস, মামলা মোকদ্দমা বাণিজ্য, অবৈধ বালুর ব্যবসা, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেম্বারদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছেন। 

‎তিনি দল ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল  বক্তব্য দেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।  

‎চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরেরর ৫ আগস্ট থেকে ৪ দিন তিনি মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার টোল জোরপূর্বক নিয়ে যান। সিদ্ধিরগঞ্জ থানাবাসিকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা দেয়ায় এলাকাবাসী তার উপর ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অপকর্ম ঢাকতে তিনি বিএনপি সারা দেশে চাঁদাবাজি করে, কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাসের লোকেরা ঢাকায় চাঁদাবাজি করে- এমন বক্তব্য দেয়।

তার এই বক্তব্যের রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। ‎তার এসব কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের কারণে দলীয় ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিজয় হতে পারবেন না বলে এই ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনে করেন।

আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বাদ দিয়ে এই সাতজনের মধ্যে থেকে যেকোনো একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে বাকিরা যৌথভাবে কাজ করবেন। 

‎এই চিঠি সম্পর্কে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন,  যে কাজ করে তারই ভুল ত্রুটি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেক যাচাই-বাছাই করে আমাকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছেন।

আমি শক্তিশালী প্রার্থী বলেই তারা সাত জন একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নামতে হয়েছে। দুর্বল প্রার্থী হলে একজন নেমেই হয়তো কিছু করে ফেলতে পারতো। তারা সবাই মিলে এখন যদি প্রার্থী চেঞ্জ করতে পারে করবে, এখানে আমার কিছু বলার নেই।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ন রগ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন আল আমিন

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও দলটির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল আমিন।

সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আহবায়ক নাহিদ ইসলামের হাত থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

এসময় তার সাথে ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরঅঞ্চল) সারজিস আলম।

মনোনয়ন পত্র গ্রহনের পরপরেই কার্যালয়ে অবস্থান করা নারায়ণগঞ্জ এনসিপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কার্যালয় মুখরিত করে তুলেন।

মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই আমরা জারি রেখেছি। বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাসিনা সরকারের পতন করেছি আমরা।

আজকে সেই হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পেছনে আমাদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম জারি ছিলো। সেই ঐতিহাসিক দিনে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে অংশ নিতে আজ আমি দলের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের কুখ্যাত গডফাদার শামীম ওসমান জোড়পুর্বক এমপি পদে বিনা ভোটে জগদ্দল পাথরের মত বসে ছিলো। মানুষের নূন্যতম সেবা নিশ্চিত না করে এই ফতুল্লার লাখ লাখ মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।

পরিকল্পিতভাবে পুরো ফতুল্লাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছিলো শামীম ওসমান। সেই অঞ্চলে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপি এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে মনোনয়ন প্রদান করেনি। তবে এই আসনে জমিয়তে উলামায়ে নেতা মনির হোসেন কাসেমী জোটগত ভাবে মনোনয়ন পেতে পারেন এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া জামায়াতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার এই আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
  • ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে মহানগর বিএনপি
  • নাসিক ৬নং ওয়ার্ডে মান্নানের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ 
  • ফতুল্লায় ৩ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ, জরিমানা : আটক ২  
  • সোনারগাঁয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলধারায় অর্ন্তভূক্তিতে উপবৃত্তি
  • মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধাচারণ : কারণ দর্শানোর নোটিশ
  • কারাবন্দি আইভী আরও ৫ মামলায় গ্রেপ্তার
  • দায়িত্ব নিলেন নতুন ডিসি রায়হান কবির  
  • নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন আল আমিন