গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে ৯৬টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা রাজনৈতিক সহিংসতায় গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। আহত হয়েছেন অন্তত ৮৭৪ জন। নভেম্বরে নিহত ১২ জনের মধ্যে বিএনপির ১০ জন ও বিভিন্ন দলের ২ জন।

আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক বিরোধ, সমাবেশকেন্দ্রিক সহিংসতা, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে অন্তঃকোন্দল, কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার নভেম্বর মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। এরপর এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আগের তিন মাসের প্রতিবেদন তুলনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ১৫টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং সংগঠনের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।

আগস্ট থেকে নভেম্বর—গত চার মাসে এইচআরএসএসের প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অক্টোবরে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে ৬৪টি। এতে ১০ জন নিহত হয়। সেপ্টেম্বরে ৩৭টি সহিংসতায় ৯ জন এবং আগস্টে ৬৭টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

নভেম্বরের চিত্র তুলে ধরে এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মাসে ৯৬টি রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে বিএনপির ৪২টি অন্তঃকোন্দলে অন্তত ৫১২ জন আহত ও ১০ জন নিহত হয়েছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ৯টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫২ জন, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ৬টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৪১ জন, বিএনপি ও অন্যান্য দলের মধ্যে ১৫টি সংঘর্ষে আহত হন ১৫৫ জন। বাকি ২৪টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন দলের মধ্যে। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১১৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ এবং শতাধিক বাড়িঘর, যানবাহন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অন্তত ১৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় মোট ৬ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন বিএনপি এবং ১ জন আওয়ামী লীগের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থী এবং বঞ্চিত কর্মী-সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, হরতাল, মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, বাড়িঘর-কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। নভেম্বর মাসে শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্তত ১৮টি সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৬২ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন।

রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলীয় অন্তঃকোন্দলে নির্বাচনী সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি। এ বিষয়ে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে মৃত্যু, রাজনৈতিক উত্তেজনা, নির্বাচনী সহিংসতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ—এসব বিষয় সমাধান করা না হলে মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। এ জন্য দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

গণপিটুনি ও মব সহিংসতায় মৃত্যু ১৬ জন

এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে গণপিটুনি ও মব সহিংসতার ২০টি ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ জন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কারা হেফাজতের মৃত্যুর বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে সারা দেশে ২ জন নিহত হয়েছেন। আর ওই মাসে কারাগারে ১২ জন আসামির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন কয়েদি ও ৯ জন হাজতি।

নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে অন্তত ১৭৭ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু ও কিশোরী। ১৩ জন নারী ও কন্যাশিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে।

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যানের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় অন্তত ৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ১৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। আরও ২ হাজার ৩০১ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মাসে রাজনৈতিক মামলায় অন্তত ১ হাজার ৯৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ১ হাজার ৭১৪ জন এবং বিএনপির নেতা–কর্মী ৩৬ জন।

এ ছাড়া নভেম্বরে সারা দেশে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আহত হয় ছ ন ম নব ধ ক র স ঘর ষ য় অন ত প রক শ আওয় ম ব এনপ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

গত চার মাসের মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় সর্বোচ্চ মৃত্যু নভেম্বরে

গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে ৯৬টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা রাজনৈতিক সহিংসতায় গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। আহত হয়েছেন অন্তত ৮৭৪ জন। নভেম্বরে নিহত ১২ জনের মধ্যে বিএনপির ১০ জন ও বিভিন্ন দলের ২ জন।

আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক বিরোধ, সমাবেশকেন্দ্রিক সহিংসতা, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে অন্তঃকোন্দল, কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার নভেম্বর মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। এরপর এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আগের তিন মাসের প্রতিবেদন তুলনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ১৫টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং সংগঠনের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।

আগস্ট থেকে নভেম্বর—গত চার মাসে এইচআরএসএসের প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অক্টোবরে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে ৬৪টি। এতে ১০ জন নিহত হয়। সেপ্টেম্বরে ৩৭টি সহিংসতায় ৯ জন এবং আগস্টে ৬৭টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

নভেম্বরের চিত্র তুলে ধরে এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মাসে ৯৬টি রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে বিএনপির ৪২টি অন্তঃকোন্দলে অন্তত ৫১২ জন আহত ও ১০ জন নিহত হয়েছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ৯টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫২ জন, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ৬টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৪১ জন, বিএনপি ও অন্যান্য দলের মধ্যে ১৫টি সংঘর্ষে আহত হন ১৫৫ জন। বাকি ২৪টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন দলের মধ্যে। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১১৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ এবং শতাধিক বাড়িঘর, যানবাহন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অন্তত ১৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় মোট ৬ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন বিএনপি এবং ১ জন আওয়ামী লীগের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থী এবং বঞ্চিত কর্মী-সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, হরতাল, মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, বাড়িঘর-কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। নভেম্বর মাসে শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্তত ১৮টি সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৬২ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন।

রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলীয় অন্তঃকোন্দলে নির্বাচনী সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি। এ বিষয়ে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে মৃত্যু, রাজনৈতিক উত্তেজনা, নির্বাচনী সহিংসতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ—এসব বিষয় সমাধান করা না হলে মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। এ জন্য দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

গণপিটুনি ও মব সহিংসতায় মৃত্যু ১৬ জন

এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে গণপিটুনি ও মব সহিংসতার ২০টি ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ জন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কারা হেফাজতের মৃত্যুর বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে সারা দেশে ২ জন নিহত হয়েছেন। আর ওই মাসে কারাগারে ১২ জন আসামির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন কয়েদি ও ৯ জন হাজতি।

নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে অন্তত ১৭৭ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু ও কিশোরী। ১৩ জন নারী ও কন্যাশিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে।

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যানের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় অন্তত ৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ১৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। আরও ২ হাজার ৩০১ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মাসে রাজনৈতিক মামলায় অন্তত ১ হাজার ৯৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ১ হাজার ৭১৪ জন এবং বিএনপির নেতা–কর্মী ৩৬ জন।

এ ছাড়া নভেম্বরে সারা দেশে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ