ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: ইসি আনোয়ারুল
Published: 18th, October 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, “আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারের যত অর্গান সংস্থা সবাই কাজ করছে। পুলিশ এরইমধ্যে বলেছেন নির্বাচন কীভাবে করা যায় তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী তাদের অবস্থা সুদৃঢ় করছে।”
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের এফআইবিডিবি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সেন্টারে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “নির্বাচনে কাজ করার জন্য সাহসিকতা এবং প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকতে হবে। ৫ আগস্ট মানুষ ছাত্রজনতা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল তাই এই অভ্যুথান হয়েছে। নির্বাচনে সবাইকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে আপনার নিরাপত্তা অটোমেটিক নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি বলেন, “একটি ভোট কেন্দ্রের চিফ ইলেকশন কমিশনার হলেন একজন প্রিজাইডিং অফিসার। তার জন্য আপনাকে আইন জানতে হবে। একই সাথে কেন্দ্রের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে সেখানে শুধু সিভিল লোক নয়, নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী বিজিবি পুলিশ আনসার থাকবে, তাদের সবাইকে পরিচালনা করবেন প্রিজাইডিং অফিসার।”
নির্বাচন কমিশনার মো.
তিনি বলেন, “সুনামগঞ্জ হাওর অঞ্চল। এখানে অনেক দুর্গম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে বরাদ্দ বেশি দেওয়ার জন্য সুপারিশও করব। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য বিশ্বের সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দেশের দিকে। আমরা এই নির্বাচনকে কোনোভাবেই কলুষিত হতে দেওয়া হবে না।”
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ড. ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-প্রধান (উপ সচিব) (বিটিইবি) প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান প্রমুখ।
ঢাকা/মনোয়ার/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র জন য র জন য স
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক সেবনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, মহাসড়ক অবরোধ
মাদারীপুর সরকারি কলেজ মাঠে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ইকবাল আমিন সম্রাট (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে বহিরাগত কয়েকজন যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ গেট এলাকায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর কলেজের মাঠে কয়েকজন বহিরাগত যুবক মাদক সেবন করছিল। এ সময় শিক্ষার্থী ইকবালসহ কয়েকজন প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বুধবার বিকেলে মাঠে খেলতে গেলে ইকবালকে একা পেয়ে তারা বেদম মারধর করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমানা নির্ধারণ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেন বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং শান্ত থাকতে অনুরোধ জানায়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।’’
ঢাকা/বেলাল//