পুরো নাম শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তবে গণমাধ্যমে শেখ মাহরা নামেই পরিচিত। দুবাইয়ের রাজকন্যা। বয়স সবে ত্রিশের কোটায়। এরই মধ্যে বিপুল সম্পদ, বিলাসবহুল জীবন, নিজস্ব ফ্যাশন স্টাইল আর বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে রাজকন্যা পরিচয় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র এক নাম। গোটা মধ্যপ্রাচ্যে তো বটেই, বৈশ্বিক অঙ্গনের তরুণীদের কাছেও অনুপ্রেরণার অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মোট সম্পদের পরিমাণ

মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তাঁর পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। রাজপরিবারের সন্তান হিসেবে উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কত হতে পারে, এ থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। বিভিন্ন সূত্রমতে, মাহরার সম্পদের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

ফ্যাশন আইকন হিসেবেও বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় শেখ মাহরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমলারা সমস্যা তৈরি করছে, অভিযোগ পরিকল্পনা উপদেষ্টার

সরকারকে না জানিয়ে পেছনে থেকে আমলারা নানা সমস্যা তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

নোয়াখালী ও কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে দুটি জেলার বাসিন্দাদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন করপোরেশনে ‘বৈশ্বিক ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট অর্থায়ন–সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান। সভায় প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু না বলার আগেই আমলারা নিজেদের মতো অনেক কিছু করে ফেলতে চাযন। এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করছে।’

কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের দাবির পেছনে প্রশাসনে নতুন নতুন পদ সৃষ্টির অভিসন্ধি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারকে না জানিয়ে আমলারা এ নিয়ে কমিটিও করে ফেলেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

নতুন কোনো বিভাগ সৃষ্টির পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, ঘুষ কমানো, ভালো সেবার নিশ্চয়তা। কুমিল্লা নতুন বিভাগ হবে, নাকি নোয়াখালী নতুন বিভাগ হবে, সেটি মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। এমনকি গণতান্ত্রিক উত্তরণে সরকারের যে সংস্কার কর্মসূচি, তার সঙ্গেও সম্পর্কিত নয়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘শেষ সময়ে’ এসে দাবিদাওয়ার আন্দোলন বেড়ে যাওয়ার দিকটি দেখিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখন শেষ সময় বলে না অনেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আসছেন। তাঁদের মধ্যে একটা ধারণা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস আছে, এই শেষ সময় যত দূর পারো দাবি তুলতে হবে।’

‘আপাতত আন্দোলনের সবগুলো জায়গা অকুপাইড হয়ে আছে, আগে থেকে বুকিং না দিলে যারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা জায়গা পাবে না,’ রসিকতাচ্ছলে বলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ