রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : সিনেটে ৫ ছাত্র প্রতিনিধি পদে কে জয়ী হলেন, কত ভোট পেলেন
Published: 19th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। ৫ পদের জন্য এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৫৮ জন প্রার্থী। তবে রাকসুর শীর্ষ পদে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৪ জন সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের।
নির্বাচিত সিনেট ছাত্র প্রতিনিধিরা হলেন সালাহউদ্দিন আম্মার, মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ), ফজলে রাব্বি মো.
অন্যদিকে সালাহউদ্দিন আম্মার ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে রাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছেন। আকিল বিন তালেব স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সালাহউদ্দিন, ফাহিম রেজা এবং আকিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক।
কে কত ভোট পেলেন
সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে সালাহউদ্দিন আম্মার সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৩৩ ভোট। মোস্তাকুর রহমান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়েছেন। এরপর ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা ৮ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আকিল বিন তালেব। এস এম সালমান সাব্বির পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৯০ ভোট।
সিনেট কী
১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম হচ্ছে সিনেট। এই অধিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন, বাজেট অনুমোদন, আইন সংশোধন, নতুন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট চালুসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। তবে প্রায় এক দশক সিনেট অকার্যকর থাকায় দল মনোনীত উপাচার্যরাই বিকল্প হিসেবে সিন্ডিকেট সভায় অধিকাংশ সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন। সবশেষ সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। গত ২৫ বছরে তিনবার সিনেট অধিবেশন হলেও এতে কোনো সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য বছরে অন্তত একবার সিনেটের সভা ডাকবেন, যা বার্ষিক সভা হিসেবে অভিহিত হবে। এর বাইরেও তিনি চাইলে সভা ডাকতে পারবেন।
সিনেটে কারা থাকেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে প্রতিনিধি ১০৫ জন। এর মধ্যে উপাচার্য, দুই সহ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার রয়েছেন। উপাচার্য সিনেট সভাপতি, রেজিস্ট্রার সদস্যসচিব এবং বাকি তিনজন সদস্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিনেটে সরকার মনোনীত সরকারি কর্মকর্তা ৫ জন, স্পিকার মনোনীত সংসদ সদস্য ৫ জন, আচার্য মনোনীত শিক্ষাবিদ ৫ জন, সিন্ডিকেট মনোনীত ৫ জন গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষা পরিষদ মনোনীত ৫ জন কলেজ অধ্যক্ষ, শিক্ষা পরিষদ মনোনীত ১০ জন কলেজশিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ২ জন (রাজশাহী ও যশোর শিক্ষা বোর্ড), ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি।
সিনেট ছাত্র, শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিরা নির্বাচনের মাধ্যমে উঠে আসেন। শিক্ষক, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মেয়াদ তিন বছর করে। তবে পরবর্তী সময়ে নির্বাচন না হলে সাধারণত আগের নির্বাচিত শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা সিনেটে প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখেন।
আরও পড়ুনযে কারণে রাকসুতেও ভরাডুবি ছাত্রদলের১৯ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন স ল হউদ দ ন উপ চ র য ত ৫ জন মন ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : সিনেটে ৫ ছাত্র প্রতিনিধি পদে কে জয়ী হলেন, কত ভোট পেলেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। ৫ পদের জন্য এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৫৮ জন প্রার্থী। তবে রাকসুর শীর্ষ পদে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৪ জন সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের।
নির্বাচিত সিনেট ছাত্র প্রতিনিধিরা হলেন সালাহউদ্দিন আম্মার, মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ), ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আকিল বিন তালেব এবং এস এম সালমান সাব্বির। তাঁদের মধ্যে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল থেকে মোস্তাকুর রহমান রাকসুর ভিপি ও এস এম সালমান সাব্বির এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা শিবির–সমর্থিত প্যানেল থেকে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন।
অন্যদিকে সালাহউদ্দিন আম্মার ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে রাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছেন। আকিল বিন তালেব স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সালাহউদ্দিন, ফাহিম রেজা এবং আকিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক।
কে কত ভোট পেলেন
সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে সালাহউদ্দিন আম্মার সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৩৩ ভোট। মোস্তাকুর রহমান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়েছেন। এরপর ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা ৮ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আকিল বিন তালেব। এস এম সালমান সাব্বির পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৯০ ভোট।
সিনেট কী
১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম হচ্ছে সিনেট। এই অধিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন, বাজেট অনুমোদন, আইন সংশোধন, নতুন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট চালুসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। তবে প্রায় এক দশক সিনেট অকার্যকর থাকায় দল মনোনীত উপাচার্যরাই বিকল্প হিসেবে সিন্ডিকেট সভায় অধিকাংশ সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন। সবশেষ সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। গত ২৫ বছরে তিনবার সিনেট অধিবেশন হলেও এতে কোনো সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য বছরে অন্তত একবার সিনেটের সভা ডাকবেন, যা বার্ষিক সভা হিসেবে অভিহিত হবে। এর বাইরেও তিনি চাইলে সভা ডাকতে পারবেন।
সিনেটে কারা থাকেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে প্রতিনিধি ১০৫ জন। এর মধ্যে উপাচার্য, দুই সহ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার রয়েছেন। উপাচার্য সিনেট সভাপতি, রেজিস্ট্রার সদস্যসচিব এবং বাকি তিনজন সদস্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিনেটে সরকার মনোনীত সরকারি কর্মকর্তা ৫ জন, স্পিকার মনোনীত সংসদ সদস্য ৫ জন, আচার্য মনোনীত শিক্ষাবিদ ৫ জন, সিন্ডিকেট মনোনীত ৫ জন গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষা পরিষদ মনোনীত ৫ জন কলেজ অধ্যক্ষ, শিক্ষা পরিষদ মনোনীত ১০ জন কলেজশিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ২ জন (রাজশাহী ও যশোর শিক্ষা বোর্ড), ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি।
সিনেট ছাত্র, শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিরা নির্বাচনের মাধ্যমে উঠে আসেন। শিক্ষক, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মেয়াদ তিন বছর করে। তবে পরবর্তী সময়ে নির্বাচন না হলে সাধারণত আগের নির্বাচিত শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা সিনেটে প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখেন।
আরও পড়ুনযে কারণে রাকসুতেও ভরাডুবি ছাত্রদলের১৯ ঘণ্টা আগে