রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আগামীকাল হবে বিপিএলের এবারের আসরের নিলাম। তবে এই নিলামের খেলোয়াড় তালিকায় থাকবে না ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন অন্তত ১০-১২ জন ক্রিকেটারের নাম। বিসিবির একটি বিশ্বস্ত সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

বিপিএলের নিলামের জন‍্য স্থানীয় ক্রিকেটারদের খসড়া তালিকায় নাম ছিল অভিযুক্ত ক্রিকেটারদেরও। তবে বিসিবির দুর্নীতি দমন পরামর্শক অ‍্যালেক্স মার্শালের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে কাল রাতেই তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার কথা।

এ ছাড়া কাল রাতেই এবারের বিপিএলে টিম অফিশিয়াল হিসেবে কারা দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তা জানতে চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে চিঠি দেবে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের প্রতি বিসিবির পরামর্শ

আরও পড়ুনব্যাট–প্যাড কিনতে পেছাচ্ছে বিপিএল২৭ নভেম্বর ২০২৫

ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন কাউকে যেন দলে না রাখা হয়। সে রকম কেউ থাকলে তাঁকে বিপিএলের অ্যাক্রিডেশন কার্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিসিবির দুর্নীতি দমন কমিশনে পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

আবারো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা 

আবারো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সাথে বর্তমান যুদ্ধবিরতি কোনো ‘ঐতিহ্যবাহী’ যুদ্ধবিরতি নয় বরং প্রতিবেশী দেশটির মাটি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হয়েছে কিনা তার উপর নির্ভর করে। শুক্রবার ডন অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তান এবং আফগান তালেবানের মধ্যে সম্পর্ক ক্ষমতায় আসার পর থেকে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। ২০২১ সালে তালেবানদের কাবুল দখলের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ে তাদের ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে স্থল যুদ্ধ এবং পাকিস্তানি বিমান হামলার ফলে উভয় পক্ষের কয়েক ডজন লোক নিহত হয়। এরপর থেকে দুই দেশের বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।

এই সংঘর্ষের পর, তুরস্ক এবং কাতার মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসে। দোহায় প্রথম দফায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। দ্বিতীয় দফাতেও দোহায় একটি সাধারণ চুক্তি এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই শেষ হয়েছিল। তুরস্কে তৃতীয় দফা আলোচনা কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছিল।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানি বিমান হামলার আফগান অভিযোগের পর পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটে। আফগান পক্ষ পাকিস্তানের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে হুমকি এবং নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তাহির আন্দ্রাবি বলেন, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বলতে দুটি যুদ্ধরত রাষ্ট্রের যুদ্ধ বা সংঘাতের পরে বাস্তবায়িত ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধবিরতি বোঝায় না। পাকিস্তান-আফগানিস্তান যুদ্ধবিরতি থেকে বোঝা যায় যে, আফগান অর্থায়নে সন্ত্রাসী প্রক্সিদের দিয়ে পাকিস্তানে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হবে না। এই যুদ্ধবিরতির পরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সুতরাং, এই অর্থে ব্যাখ্যা করলে, যুদ্ধবিরতি বহাল নেই। কারণ যুদ্ধবিরতি ছিল টিটিপি, এফএকে এবং আফগান নাগরিকদের মাধ্যমে আফগান মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করার বিষয়ে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ