ঝিনাইদহে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫
Published: 24th, November 2025 GMT
ঝিনাইদহ সদরের দোগাছী ইউনিয়নের হারানঘাট গ্রামে পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাত ১২টার দিকে মামলাটি হয়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাসার গেটে ককটেল বিস্ফোরণ, মামলা
নরসিংদীর আদালতে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে আহত
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- বেড়বাড়ি গ্রামের তিতাস হোসেন, জাহিদ বিশ্বাস, আতিরুল মন্ডল, আক্কাচ আলী ও সাইফুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “রবিবার বিকেলে হারানঘাট এলাকায় বিপদে পড়া দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের পিকআপ ভ্যানে হামলা হয়। পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর করেন কিছু লোক।”
তিনি বলেন, “রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর দোগাছী, হারানঘাট, বেড়বাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাতে ও সোমবার সকালে এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
এলাকাবাসী জানান, ঝিনাইদহে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রবিবার বিকেলে হারানঘাট গ্রামের কল্যাণপুর বাজারে নজরুল ইসলামের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় নজরুল ইসলামের সমর্থকরা।
এ সময় তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুললে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। তারা গাড়ির ভেতরে এবং বাইরে নামিয়ে গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেনন। তারা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেন। হামলায় পুলিশের এক সদস্য সামান্য আহত হন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আরো তিনজন আহত হন।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মল ম মল নজর ল ইসল ম ল ইসল ম র ঝ ন ইদহ র সমর
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ মঙ্গলবার শুরু
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’। ১৬ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেন, ঘর-কর্মক্ষেত্র-রাস্তা-ডিজিটাল জগত সব জায়গাতেই নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক নির্যাতনের পাশাপাশি অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন সার্ভে–২০২৪’-এর তথ্যও সেই উদ্বেগকে স্পষ্ট করেছে।
এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘Unit to End Digital Violence Against All Women and Girls’। বাংলা প্রতিপাদ্য- ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি’।
আগামীকাল সকাল ৯টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ১৬ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ সংস্থা এবং নারী–যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ১৬ দিনের কর্মসূচিতে থাকছে- সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা, র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯ প্রচার জোরদার, কুইক রেসপন্স টিম (০১৭১৩৬৫৯৫৭৩, ০১৭১৩৬৫৯৫৭৪) সম্পর্কে প্রচারণা, স্থানীয় পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও কমিউনিটি সচেতনতা, আইনি সহায়তা ও মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে একযোগে শপথ পাঠ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীরও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/ফিরোজ