আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যাথেরিন কনোলি বিপুল জয় পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হেদার হামফ্রিস স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে হার স্বীকার করে নিয়েছেন। কারণ, তখন পর্যন্ত কেন্দ্রগুলো থেকে ভোটের যে আগাম ফল এসেছে, তাতে ক্যাথেরিন কনোলির বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত দেয়।

হামফ্রিস বলেন, ‘ক্যাথেরিন আমাদের সবার প্রেসিডেন্ট হবেন। তিনি আমারও প্রেসিডেন্ট হবেন। আমি আন্তরিকভাবে তাঁর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।’

বুথফেরত বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট গণনা হয়েছে, তাতে ক্যাথেরিন ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

৬৮ বছর বয়সী ক্যাথেরিন কনোলি তরুণদের মন জয় করতে পেরেছেন। শুক্রবারের নির্বাচনে বামপন্থী বিরোধী দলগুলোর একটি জোট তাঁকে সমর্থন দেয়।

আয়ারল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট পদটি মোটাদাগে আনুষ্ঠানিক। সেখানে ক্যাথেরিনের বিজয়কে মধ্য ডানপন্থী সরকারের জন্য একটি চপেটাঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
হেরে যাওয়া ৬২ বছর বয়সী হামফ্রিস বুথফেরত ফলে ২৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদের সাবেক এই সদস্য ফাইন গেইল পার্টি থেকে নির্বাচন করেছিলেন।

৫৪ বছর বয়সী জিম গ্যাভিন ফিয়ানা ফেইল পার্টির প্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নাম ব্যালটে রয়ে গিয়েছিল। তিনি পেয়েছেন ৭ শতাংশ ভোট।

পছন্দের প্রার্থী না থাকায় ১৩ শতাংশ ভোটার নিজেদের ভোট নষ্ট করেছেন, যা ‘স্পয়েল্ড’ ভোট হিসেবে পরিচিত। আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে বেশি নষ্ট ভোট পড়েছে। এবার ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৩৬ লাখ। ভোট পড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

বুথফেরত ফলে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উৎফুল্ল ক্যাথেরিন বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এমনকি যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদেরও ধন্যবাদ। তাঁরা কার মধ্যমে সবচেয়ে ভালো প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারবেন, সেই বিষয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন—এটা আমি বুঝতে পারছি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কালিজিরা খেতে কেন বলেছেন নবীজি (সা.)

নবীজির (সা.) হাদিসে কালিজিরাকে বলা হয়েছে ‘সব রোগের ওষুধ’। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর নাম Nigella sativa, আরবিতে হাব্বাতুস সাওদা (الحَبَّةُ السَّوْدَاءُ)। এটি একাধারে খাদ্য, ওষুধ ও প্রতিষেধক। নবীজির বাণী আজ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাছে প্রমাণিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কালিজিরা খাও, এতে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের আরোগ্য আছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৮৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২১৫)

যদিও কোরআনে সরাসরি কালিজিরার নাম উল্লেখ নেই, তবে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি প্রতিটি রোগের জন্য নিরাময় সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা শু‘আরা, আয়াত: ৮০)

প্রাকৃতিক উপাদানে আল্লাহ নিরাময়ের গুণ রেখেছেন, কালিজিরা সেই নিরাময়ের এক অনন্য উদাহরণ।

নবীজির (সা.) খাদ্যাভ্যাসে কালিজিরার স্থান

নবীজি (সা.) সাধারণ জীবন যাপন করতেন। তিনি খেজুর, যব, মধু, দুধ, কালিজিরা ও অলিভ তেল নিয়মিত ব্যবহার করতেন। কালিজিরা ছিল তাঁর ঘরোয়া চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজিকে বলতে শুনেছি, কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া সব রোগের নিরাময় রয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৮৮)

এই হাদিসে ‘মৃত্যু ছাড়া সব রোগের আরোগ্য’ কথাটি বোঝায় যে আল্লাহ তাআলা কালিজিরায় এমন প্রাকৃতিক গুণ রেখেছেন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা জাগ্রত করে। তবে এটি চিকিৎসার বিকল্প নয়, বরং প্রাকৃতিক প্রতিষেধক ও পরিপূরক খাদ্য।

আরও পড়ুনহালাল খাদ্যাভ্যাস কেন গুরুত্বপূর্ণ৩১ আগস্ট ২০২৫কালিজিরা ঠান্ডা-গরম দুই ধরনের রোগেই উপকারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ