বরেণ্য অভিনেতা সতীশ শাহ মারা গেছেন
Published: 26th, October 2025 GMT
বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা সতীশ শাহ মারা গেছেন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
সতীশ শাহর ম্যানেজার রমেশ জানান, ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’, ‘ম্যায় হু না’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয় এই অভিনেতা কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন, সম্প্রতি তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। তার মরদেহ হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন:
‘সালমান-আরবাজ পরস্পরকে ঘৃণা করে’
মালাইকার বয়স নিয়ে গোলক ধাঁধায় নেটিজেনরা
গতকাল এক ভিডিও বার্তায় পরিচালক অশোক পন্ডিত বলেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই যে, আমাদের বন্ধু, খুব ভালো একজন অভিনেতা সতীশ শাহ, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কিডনি বিকল হয়ে মারা গিয়েছেন। বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলছিল। শনিবার সকালে শারীরিক অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত মরদেহ হাসপাতালেই রাখা হবে।”
সতীশ শাহর মৃত্যুতে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমেছে। মোক প্রকাশে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন একঝাঁক তারকা। এ তালিকায় রয়েছেন—অনুপম খের, আমিশা প্যাটেল, আর.
১৯৫১ সালের ২৫ জুন মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন সতীশ শাহ। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রুপালি জগতে পা রাখেন। সতীশের অভিনয়জীবনের বয়স চার দশকেরও বেশি। টেলিভিশন, বড়পর্দা—দুই মাধ্যমেই সমানতালে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৩ সালে ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ সিনেমায় সতীশের অভিনয় দারুণভাবে প্রশংসা কুড়ায়।
এরপর থেকেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন সতীশ। পরবর্তীতে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—‘হাম সাথ-সাথ হ্যায়’, ‘ম্যায় হু না’, ‘কাল হো না হো’, ‘কভি হ্যায় কাভি না’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘ওম শান্তি ওম’ প্রভৃতি।
১৯৮৪ সালে টিভি ধারাবাহিকে কাজ করেন সতীশ শাহ। তার ক্যারিয়ারের অন্যতম কাজ ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’। এ ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় করেন। তার অভিনীত চরিত্রটি টেলিভিশনের অন্যতম আইকনিক চরিত্রগুলোর একটি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিকৃবিতে শিবিরের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘রান উইথ সাউ শিবির’ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। বিজয়ের ৫৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণে ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘৩৬ জুলাই’ গেইট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে শাহী ঈদগাহ ময়দান এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। আয়োজকদের তথ্য মতে, প্রতিযোগিতায় অনলাইনে নিবন্ধন করেন প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে পুরো আয়োজনে ছিল উৎসবের আমেজ। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে অংশগ্রহণকারীদের টিশার্ট ও বাংলাদেশের পতাকা দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতা শেষে সেরা দশ বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয় এবং সকল অংশগ্রহণকারীর জন্য সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।
আরো পড়ুন:
শিবিরকে জড়িয়ে ছাত্রদল নেত্রীর পোস্ট, ইবি শিবিরের নিন্দা-প্রতিবাদ
সেমিনার: ১৫ বছরে গুম শিবিরের ২৫৫ জন, সাতজন ফেরেননি এখনো
ম্যারাথন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহাম্মেদ কনকের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক হাফেজ ইউসুফ ইসলাহি।
হাফেজ ইউসুফ এলাহী বলেন, "আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমাদের সূর্য ওঠার সাথে সাথে জেগে উঠতে হবে, পরিশ্রমী হতে হবে। সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রচলিত কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের মতো নয়। ইসলামী ছাত্রশিবির একটি স্বতন্ত্রধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্বাস করে এদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।"
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হোসেন শান্ত বলেন, " শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আগ্রহ এবং উদ্দীপনা দেখে আমরা আনন্দিত। আগামীতে শিক্ষার্থীদের এমন সাপোর্ট পেলে আমরা ছাত্রবান্ধব নতুন নতুন চমক নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।"
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম সাজু, সিকৃবির সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরের এইচআরডি সম্পাদক ডা. কলিম উদ্দীনসহ ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/আইনুল/জান্নাত