দল যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের ভোট চাওয়ার দরকার নেই: ফরিদ আহমেদ
Published: 28th, October 2025 GMT
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, “যাদের বিরুদ্ধে মাদক-চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, দল থেকে যাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে না।”
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যুবদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
এনবিআর নিয়ে বিএনপির ভিন্ন পরিকল্পনা আছে: আমীর খসরু
একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও ঐক্যে জোর দিচ্ছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, “তারুণ্যের যে চাওয়া তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলেই তা পূরণ হবে। যে নির্বাচনের জন্য গত ১৭ বছর বিএনপি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছে, সেই নির্বাচন সন্নিকটে। যুবদলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ধানের শীষের প্রার্থীকে জয় লাভ করাতে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কাতারে থাকতে হবে এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারেক রহমানের স্পষ্ট কথা, আমরা যেন নিজেরা নিজেদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ না করি। আগামী দিনের নির্বাচন করতে হলে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।”
চাঁদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন আকাশ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহারের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনির চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নজু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শাহাজান কবির খোকা।
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স য বদল র রহম ন আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো দলটি কোনো মেগা প্রকল্পে যাবে না। তারেক রহমান বলেছেন, মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার উন্নয়নের পেছনে খরচ করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান এ কথা বলেন। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। বিজয়ের মাস উপলক্ষে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে যুবদল এবং কৃষক দলের নেতারা অংশ নেন।
বিগত স্বৈরাচারের সময় মেগা প্রকল্প হলেও উদ্দেশ্য সফল হয়নি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে করা হয়েছিল, সেটি সফল হয়নি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, কর্মসংস্থানসহ আটটি বিষয়ে কীভাবে কাজ করবে—এ নিয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জন্য ধারাবাহিক কর্মশালা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিএনপি। এই অনুষ্ঠান শুক্রবার বাদে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন অংশ নেবে। এরপর বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের বাইরে অন্য কোনো একটি দিনে হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। এ কর্মশালার চতুর্থ দিনে যুবদল এবং কৃষক দলের নেতারা অংশ নেন।
নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, ‘দল হিসেবে বিএনপির কাছে মানুষ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায়। ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে জানতে চায়। আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছি। এমন পরিকল্পনা আর কোনো দল করেনি। এখন আর বসে থাকলে চলবে না। মানুষকে এসব পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। পরিকল্পনার যদি ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে দেশের মানুষের শুভ পরিবর্তন হবে।’
দেশ রক্ষার জন্য আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জেতাতেই হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে জেতাতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জণগণের পক্ষের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। নো কম্প্রোমাইজ।’
নেতা–কর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা এখনই মাঠে নেমে পড়ুন। মাঠে না নামলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন, প্রত্যেকবার দেশকে রক্ষা করেছে বিএনপি। এখন আবার দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছে। মানুষের কাছে যান।’
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময় রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছিল। দল হিসেবে বিএনপি সবচেয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামীতেও ভিন্নমতাদর্শের মানুষ যাতে নিরাপদে মতামত জানাতে পারে, সেই ব্যবস্থা করবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘যার যার মতাদর্শ অনুযায়ী কথা বলবে। সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আগামী দিনে বিএনপি চায় মতামত প্রকাশের জন্য আবরার ফাহাদের মতো যেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)।