১৫৬ কোটি টাকায় পিকে–শাকিরার প্রাসাদসম বাড়ি কিনছেন ইয়ামাল
Published: 28th, October 2025 GMT
বয়স মাত্র ১৮। তবে লামিনে ইয়ামাল এই বয়সেই বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় নামগুলোর একটি হয়ে উঠেছেন।
ইয়ামাল এখন একই সঙ্গে অন্যতম শীর্ষ পারিশ্রমিক পাওয়া ও জনপ্রিয় ফুটবলারও। বার্সেলোনার এই স্প্যানিশ উইঙ্গার এবার মাঠের বাইরের নতুন এক খবরে আলোচনায়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইস জানিয়েছে, ১ কোটি ১০ লাখ ইউরোয় (১৫৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) বার্সেলোনা শহরে শিগগিরই একটি প্রাসাদসম বাড়ি কিনতে যাচ্ছেন ইয়ামাল, যেখানে একসময় থাকতেন বার্সা কিংবদন্তি জেরার্দ পিকে ও তাঁর সাবেক প্রেমিকা পপ গায়িকা শাকিরা।
পিকে–শাকিরার সম্পর্কের শুরু ২০১০ সালে। বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ২০১২ সালে। তখন থেকে ২০২২ সালে বিচ্ছেদের আগপর্যন্ত তাঁরা সেই বাড়িতেই থাকতেন। দুজন আলাদা হয়ে যাওয়ার পরপরই বাড়িটি বিক্রির জন্য তোলা হয়।
বিলাসবহুল এই বাড়িতে ইনডোর ও আউটডোর সুইমিংপুল আছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চার কিশোরের আগুন নেভানোর স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র
পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যায় অগ্নিদুর্ঘটনা। অগ্নিদুর্ঘটনার কারণে প্রতিবছর হারিয়ে যাচ্ছে বহু জীবন ও মূল্যবান সম্পদ। এই ভয়াবহতাকে প্রযুক্তির মাধ্যমে রুখে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে কুমিল্লার চারজন কিশোর। কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতির নিরলস প্রচেষ্টায় তারা তৈরি করেছে এক বিস্ময়কর বিজ্ঞান প্রকল্প। তাদের এই প্রকল্পের নাম অটোমেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা স্বয়ংক্রিয় আগুন নেভানোর যন্ত্র। এই যন্ত্র অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নিভিয়ে দিতে সক্ষম।
কুমিল্লা শহরের চার খুদে বিজ্ঞানীর দল ‘ব্লেজ স্কেপ’ এই প্রকল্প তৈরি করেছে। দলের সদস্যরা হলো আবদুল্লাহ আজিম (দলনেতা), সাদমান চৌধুরী, নাহিদুল ইসলাম ও সাবির ফারহান হক। সবাই কুমিল্লার এথনিকা স্কুল ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের এ প্রকল্প সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এরপর নিজ স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় সেরা প্রকল্পের পুরস্কার জিতে নেয় তারা।
অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটির কার্যকারিতাব্লেজ স্কেপের তৈরি স্বয়ংক্রিয় ফায়ার এক্সটিংগুইশারটি একটি সহজ কিন্তু কার্যকর প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হবে। এতে একটি তাপমাত্রা সংবেদনশীল সেন্সর ব্যবহার করা হবে। যখন কোনো কক্ষে তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট বিপৎসীমা অতিক্রম করে যা আগুনের উপস্থিতি নির্দেশ করে তখন সেন্সরটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভানোর উপাদান, যেমন পানি বা রাসায়নিক ফোম নির্গত করতে শুরু করে। এটি বিশেষত বন্ধ কক্ষ, সার্ভার রুম বা এমন বদ্ধ জায়গায় অত্যন্ত কার্যকর বলে জানায় খুদে বিজ্ঞানীরা। যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের পক্ষে পৌঁছানো কঠিন, সেসব এলাকায় অগ্নিনির্বাপণের এই উদ্ভাবন কাজে আসবে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে রোবট ও ড্রোন ব্যবহার করে উন্নত করার সুযোগ থাকবে বলে জানায় খুদে বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞান মেলায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটির কার্যকারিতা তুলে ধরেছে খুদে বিজ্ঞানীরা। বাঁ থেকে আবদুল্লাহ আজিম, সাবির ফারহান হক, সাদমান চৌধুরী, নাহিদুল ইসলাম ও বিচারক ঝলক ঘোষ।