ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মিনহাজ মান্নান
Published: 30th, October 2025 GMT
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
এ রায়ের ফলে ওই মামলা থেকে মিনহাজ মান্নান অব্যাহতি পেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মঈন ফিরোজী।
আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ওই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান ইমনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। পলাতক অপর চার আসামি হলেন সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরিপ্রবাসী সামিউল ইসলাম খান ওরফে স্যাম ওরফে জুলকার নাইন, আশিক ইমরান ও ওয়াহিদুন নবী।
দিদারুল ইসলাম ও মিনহাজ মান্নান নারাজি আবেদন দিলে তা নামঞ্জুর হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে মিনহাজ মান্নান একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মিনহাজ মান্নানের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে মিনহাজ মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৫ মে মামলাটি করা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এতে কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ইসলামকে আসামি করা হয় এবং আটজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন১০ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর০৪ মার্চ ২০২১এ মামলায় কারাবন্দী মুশতাক আহমেদ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এ কারণে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, অভিযোগ গঠনের সময় ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির ছিলেন দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান। তাঁরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। সেদিন কার্টুনিস্ট কিশোর আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর জামিন বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুনআজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত লেখক মুশতাক২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ দ র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
৪৩তম বিসিএসের ৮৫০১ নন–ক্যাডার পদ সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের
৪৩তম বিসিএসের ৮ হাজার ৫০১টি নন–ক্যাডার পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ২৯ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসে ৬৪২ জনকে নন–ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মো. মারুফ হোসেনসহ ৫০০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় তাঁরা ৪৩তম বিসিএসের নন–ক্যাডার পদগুলো সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাঈম সরদার ও আশরাফুল করিম। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনিরুজ্জামান।
আদেশের পর আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব প্রথম আলোকে বলেন, ৪৩তম বিসিএসের নন–ক্যাডার ৮ হাজার ৫০১টি পদ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসিসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পিএসসির আইনজীবী মুনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কি না, সে বিষয়ে পিএসসির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আবেদনকারী পক্ষ জানায়, চলতি বছরের মে মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো নন–ক্যাডার পদগুলো সমন্বয় করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৮ হাজার ৫০১টি পদে ৪৩তম বিসিএসের নন–ক্যাডার প্রার্থীদের মধ্য থেকে সুপারিশ করার জন্য পিএসসিকে নির্দেশ দেয়। তবে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসি ওই ৮ হাজার ৫০১টি পদের মধ্য থেকে অনেকগুলো পদ প্রত্যাহার করে ৪৪তম বিসিএসের নন–ক্যাডার প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানায়। এমন প্রেক্ষাপটে রিট আবেদনকারী ৭৭৩ জন (প্রথমে ৫০০ জন ও পরে ২৭৩ জন যুক্ত হন) প্রার্থী তাঁদের জন্য ৮ হাজার ৫০১টি নন–ক্যাডার পদ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে গত সপ্তাহে আবেদনটি করেন।