ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার পদে ব্যাংকে চাকরি, বেতন ৩১ হাজার টাকা
Published: 3rd, December 2025 GMT
বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসিতে জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকটি ‘ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার–অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (এজেন্ট ব্যাংকিং)’ পদে কর্মী নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়া ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা পাবেন।
ব্যাংকের নাম: ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি
পদের নাম: ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার–অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (এজেন্ট ব্যাংকিং)
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
বেতন: ৩১ হাজার টাকা
অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা: মাসিক বেতনের পাশাপাশি ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী উৎসব বোনাস, কর্মদক্ষতা বোনাস, চিকিৎসার খরচ ও মাতৃত্বকালীন ভাতা ও নীতিমালা অনুযায়ী ছুটির সুবিধা।
এক বছর ছয় মাস কাজ করার কর্মদক্ষতা ও শৃঙ্খলার ভিত্তিতে নিয়মিত ফুলটাইম কর্মী হিসেবে স্থায়ী হবেন।
আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স: নির্ধারিত নয়
আবেদনের যোগ্যতা
বিজনেসে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫।
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও আবেদনের পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন৫০তম বিসিএসে প্রিলির নম্বরে এল পরিবর্তন, কমেছে ৩ বিষয়ে, বৃদ্ধি ৩টির০১ ডিসেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএসে বাদ পড়া ৮ প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য স স ট য ন ট অফ স র
এছাড়াও পড়ুন:
বড়পুকুরিয়ার কয়লা বিক্রি করে মুনাফা করছে খনি, কিনে লোকসানে বিদ্যুৎেকন্দ্র
আমদানি করা কয়লা কিনতে যেখানে প্রতি টনে গড়ে খরচ পড়ছে ৭৫ ডলার, সেখানে দেশের একমাত্র খনি বড়পুকুরিয়া থেকে উত্তোলিত কয়লার দাম ধরা হয়েছে ১৭৬ ডলার। এই বাড়তি দামে কয়লা বিক্রি করে টানা তিন অর্থবছর বিপুল মুনাফা করেছে সরকারি কয়লা কোম্পানি। সেই মুনাফার অংশও পাচ্ছেন কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। আর এ দাম শোধ করে নিয়মিত লোকসান করছে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
মুনাফার উৎস খনি, লোকসানের বোঝা বিদ্যুৎকেন্দ্রে
জ্বালানি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) একটি কোম্পানি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি। চীনের ঠিকাদারের মাধ্যমে তারা খনি থেকে কয়লা তুলে বিক্রি করে। পাশেই অবস্থিত বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন থাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই কয়লা কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লার দাম প্রতি টনে ১৩০ থেকে বাড়িয়ে ১৭৬ ডলার করা হয়। এরপর কোম্পানির মুনাফা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিবছর এই মুনাফার ১০ শতাংশ করে নেন কয়লা কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। বেতন–ভাতার বাইরে বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করেন তাঁরা।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লার দাম প্রতি টনে ১৩০ থেকে বাড়িয়ে ১৭৬ ডলার করা হয়। এরপর কোম্পানির মুনাফা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিবছর এই মুনাফার ১০ শতাংশ করে নেন কয়লা কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেতন-ভাতার বাইরে বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করেন তাঁরা।বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিইআরসির নির্ধারিত দামে বিক্রি করে পিডিবি। এতে টানা তিন অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র আরও বলেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পাশে থাকা পিডিবির নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে এই খনির কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। কেন্দ্রটির যন্ত্রপাতিও সে হিসেবেই বসানো। এখন চাইলেও বাইরে থেকে কয়লা আমদানি করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
তবে গত বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোকসান কিছুটা কমে এসেছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া সূচক দরে কয়লার দাম পরিশোধের সিদ্ধান্ত দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। ওই বৈঠকে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এতে আপত্তি করেননি। এ হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে ৯৯ দশমিক ৫৮ ডলার করে পরিশোধ করা হয়েছে। এতে লোকসান কমেছে। যদিও ১৭৬ ডলার দাম ধরে পরিশোধ করা হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘাটতি হতো ১ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র