রাজধানীর বড় সাত কলেজ ঘিরে সৃষ্ট সংকট কাটেনি। এই কলেজগুলো নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোর বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। পাঁচ দিনের কর্মসূচি অংশ হিসেবে তাঁরা আজ বুধবার ঢাকার সাত কলেজসহ দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন করছেন।

দুপুরে ঢাকা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকেরা প্রথমে কলেজ আঙিনায় মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাত কলেজের অনেক শিক্ষার্থী। তাঁরা মূলত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। তাঁরা আজ প্রথমে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে আসেন। মিছিলটি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে যায়। কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ হয়। এতে যানজট তৈরি হয়। পরে মিছিলটি নিউমার্কেটের দিকে চলে যায়।

আগে থেকেই ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজে সংকট বিরাজ করছে। ২০১৭ সালে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই এগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল।

সরকারি এই কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। এখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করা নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং মডেল’ বাতিল এবং স্বাতন্ত্র্য কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে একাডেমিক-প্রশাসনিক পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষকদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রথম দিন গতকাল মাউশি প্রাঙ্গণে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি হলেও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। আজ তাঁরা সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন করছেন।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ বুধবার দুপুরে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ত কল জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে ওরশের নামে বাউল গান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আড়াইহাজার ওরশের নামে চলমান বাউল গান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তৌহিদি জনতা। সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের কড়ইতলা তালতলা বাজার সংলগ্ন আড়াইহাজার-টু-বিশনন্দী ফেরিঘাট সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, কড়ইতলা এলাকার একটি মাজারে ওরশের নামে গান-বাজনা, মদপান, জুয়ার আসর, মাদক সেবনসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

এসব কর্মকাণ্ডের ফলে স্থানীয় যুবসমাজসহ নারী-পুরুষ নৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। ওরশের নামে অনৈতিক কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা এবং তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালদী বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশেক এলাহী, শানে সাহাবা নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, শানে সাহাবা আড়াইহাজার উপজেলার প্রচার সম্পাদক মুফতি ওবায়দুল্লাহ কাসেমী এবং বিশনন্দী কড়ইতলা মসজিদের ইমাম রেজাউল করিম। মানববন্ধনে স্থানীয় আলেম-ওলামাসহ তৌহিদি জনতা অংশ নেন। এর আগে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর অসামাজিক কার্যকলাম বন্ধের দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এদিকে মনববন্ধন চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। 

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাছির উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। উত্তেজনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত আগামী ৫,৬,৭ ডিসেম্বর আড়াইহাজার উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের বিল্লাল ফকিরের বাড়িতে তিন দিনব্যাপী বাউল গান অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুনর্বহালের দাবিতে ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে টিটিসি নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আড়াইহাজারে ওরশের নামে বাউল গান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • গ্যাস লাইন সংস্কার দাবিতে ২১নং ওয়ার্ডে মানববন্ধন, অবরোধ