১৯৯২ সালের এই দিনে প্রথম এসএমএস পাঠানো হয়
Published: 3rd, December 2025 GMT
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ইতিহাসে এক নীরব বিপ্লবের সূচনা হয়। ১৯৯২ সালের এই দিনে মাত্র ১৪০ অক্ষরের একটি বার্তা পাঠানো হয়। সেটি ছিল প্রথম এসএমএস বা শর্ট মেসেজ সার্ভিস। এসএমএসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগের এক নতুন যুগের সূচনা হয়।
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর ২২ বছর বয়সী ব্রিটিশ প্রকৌশলী নীল প্যাপওয়ার্থ যুগান্তকারী এই কাজ করেন। তিনি ভোডাফোন নামক একটি টেলিযোগাযোগ সংস্থার জন্য কাজ করতেন। এই নতুন প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। নব্বইয়ের দশকে মুঠোফোন ছিল মূলত কথা বলার যন্ত্র, বার্তা পাঠানোর ধারণা তখন ছিল একেবারেই নতুন।
ঐতিহাসিক সেই দিনটিতে প্যাপওয়ার্থ একটি অরবিটেল ৯০১ জিএসএম ফোন ব্যবহার করে প্রথম এসএমএসটি পাঠিয়েছিলেন। বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘মেরি ক্রিসমাস।’ মজার বিষয় হলো, প্যাপওয়ার্থ বার্তাটি মুঠোফোন থেকে অন্য মুঠোফোনে পাঠাননি। তিনি তাঁর কম্পিউটার থেকে বার্তাটি সরাসরি ভোডাফোনের পরিচালক রিচার্ড জার্ভিসের ফোনে পাঠিয়েছিলেন।
প্রথম দিকে এই প্রযুক্তি বাজারে তেমন সাড়া ফেলেনি। মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করত, মানুষ কল করার জন্যই ফোন ব্যবহার করবে, বার্তা পাঠানোর জন্য নয়। আর তাই প্রথম দিকের ফোনগুলোয় বার্তা লেখার জন্য কোনো কি–বোর্ড ছিল না। তখন পর্দাও ছিল ছোট। ১৯৯০ দশকের শেষ দিকে এসএমএস জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে।
নীল প্যাপওয়ার্থের পাঠানো সেই ছোট্ট মেরি ক্রিসমাস বার্তাটি বিশ্বজুড়ে যোগাযোগে বিপ্লব নিয়ে আসে। এসএমএস তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। স্বল্প খরচে দ্রুত বার্তা আদান–প্রদানের এই পদ্ধতি মানুষের কথা বলার ধরন ও সম্পর্ক, এমনকি ভাষার পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
সূত্র: হিস্টোরি ডটকম
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৯৯২ স ল র র জন য প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
১৯৯২ সালের এই দিনে প্রথম এসএমএস পাঠানো হয়
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ইতিহাসে এক নীরব বিপ্লবের সূচনা হয়। ১৯৯২ সালের এই দিনে মাত্র ১৪০ অক্ষরের একটি বার্তা পাঠানো হয়। সেটি ছিল প্রথম এসএমএস বা শর্ট মেসেজ সার্ভিস। এসএমএসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগের এক নতুন যুগের সূচনা হয়।
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর ২২ বছর বয়সী ব্রিটিশ প্রকৌশলী নীল প্যাপওয়ার্থ যুগান্তকারী এই কাজ করেন। তিনি ভোডাফোন নামক একটি টেলিযোগাযোগ সংস্থার জন্য কাজ করতেন। এই নতুন প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। নব্বইয়ের দশকে মুঠোফোন ছিল মূলত কথা বলার যন্ত্র, বার্তা পাঠানোর ধারণা তখন ছিল একেবারেই নতুন।
ঐতিহাসিক সেই দিনটিতে প্যাপওয়ার্থ একটি অরবিটেল ৯০১ জিএসএম ফোন ব্যবহার করে প্রথম এসএমএসটি পাঠিয়েছিলেন। বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘মেরি ক্রিসমাস।’ মজার বিষয় হলো, প্যাপওয়ার্থ বার্তাটি মুঠোফোন থেকে অন্য মুঠোফোনে পাঠাননি। তিনি তাঁর কম্পিউটার থেকে বার্তাটি সরাসরি ভোডাফোনের পরিচালক রিচার্ড জার্ভিসের ফোনে পাঠিয়েছিলেন।
প্রথম দিকে এই প্রযুক্তি বাজারে তেমন সাড়া ফেলেনি। মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করত, মানুষ কল করার জন্যই ফোন ব্যবহার করবে, বার্তা পাঠানোর জন্য নয়। আর তাই প্রথম দিকের ফোনগুলোয় বার্তা লেখার জন্য কোনো কি–বোর্ড ছিল না। তখন পর্দাও ছিল ছোট। ১৯৯০ দশকের শেষ দিকে এসএমএস জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে।
নীল প্যাপওয়ার্থের পাঠানো সেই ছোট্ট মেরি ক্রিসমাস বার্তাটি বিশ্বজুড়ে যোগাযোগে বিপ্লব নিয়ে আসে। এসএমএস তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। স্বল্প খরচে দ্রুত বার্তা আদান–প্রদানের এই পদ্ধতি মানুষের কথা বলার ধরন ও সম্পর্ক, এমনকি ভাষার পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
সূত্র: হিস্টোরি ডটকম