ব্যক্তিগত বা কাজের প্রয়োজনে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে ব্যস্ততার কারণে সব সময় হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করে অন্যদের পাঠানো সব বার্তা সময়মতো পড়া সম্ভব হয় না। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জানার পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ না করেও অন্যদের পাঠানো বার্তা স্মার্টফোনে পড়া যায়। কৌশলগুলো জেনে নেওয়া যাক।

১.

নোটিফিকেশন প্যানেল ব্যবহার

হোয়াটসঅ্যাপে কোনো বার্তা এলে স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন প্যানেলের মাধ্যমে দ্রুত জানা যায়। আর তাই নোটিফিকেশন প্যানেল ব্যবহার করে চাইলে অ্যাপ না খুলেও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পড়া সম্ভব। ফোনের পর্দায় থাকা নোটিফিকেশন প্যানেল নিচের দিকে নামিয়ে বার্তার মূল অংশ সহজে পড়া যাবে।

২. লক স্ক্রিনে প্রিভিউ দেখা

হোয়াটসঅ্যাপে আসা বার্তার প্রিভিউ চাইলে ফোন লক স্ক্রিন করা অবস্থাতেও দেখা সম্ভব। এ জন্য ফোনের সেটিংসে গিয়ে নোটিফিকেশন মেনু থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নির্বাচন করে ‘শো প্রিভিউ’ অপশন সক্রিয় করতে হবে।

৩. উইজেট ব্যবহার

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য আরেকটি সমাধান হলো হোয়াটসঅ্যাপ উইজেট। হোম স্ক্রিনে উইজেট যুক্ত করে নিলে অ্যাপ না খুলেই সাম্প্রতিক বার্তা দেখা যায়। এতে ব্যস্ত সময়ে দ্রুত বার্তা পড়া যায়।

৪. স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার

স্মার্ট ঘড়ির মাধ্যমে সহজেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ না করে অন্যদের পাঠানো বার্তা পড়া যায়। ফলে জরুরি বার্তা দেখার জন্য ফোন হাতে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এ জন্য অবশ্য স্মার্ট ঘড়িটির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আগে থেকেই যুক্ত থাকতে হবে।  
সূত্র: টেকলুসিভ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর, বেড়েছে রাজস্ব আয়

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। নানা বাধা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বন্দরে বেড়েছে আমদানি। বন্দরে চাপ বাড়লেও বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময় রীতিমতো শূন্যে নেমেছে। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর পণ্য আমদানিতে ২৩ শতাংশের বেশি রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউসের পরিসংখ্যানে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড ২৮ লাখ ৫০ হাজার টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লাখ টন। বিগত বছরের তুলনায় কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। এছাড়া আগের বছরে তুলনায় এই বছরের ১০ মাসে বন্দরে জাহাজ বেশি এসেছে ৩৫১টি।

আরো পড়ুন:

ভারতের অনুমতির অপেক্ষায় বুড়িমারীতে আটকা ভুটানের পণ্য 

চট্টগ্রাম থেকে ভুটানের পথে প্রথম পণ্যবাহী কন্টেইনার

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার এইচ এম কবির জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের আগমন এবং কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর পণ্য আমদানিতে ২৩ শতাংশের বেশি রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, চলতি বছরের ১০ মাসেই রেকর্ড পরিমাণ কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। নতুন মাইলফলক গড়ার অপেক্ষায় রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।  ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অটোমেশনসহ সামগ্রিকভাবে বন্দরের দক্ষতা বাড়ায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, বন্দরে এখন কোনো জাহাজ জট নেই। বহিনোঙরে কোনো জাহাজকে পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় না। জাহাজের অপেক্ষমান সময় শূন্যে নেমে এসেছে, ফলে সামগ্রীকভাবে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি বেড়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ