সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলনে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে হয়নি। বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে দেশের শিক্ষাকাঠামোর সবচেয়ে বড় দুটি স্তর সংকটে পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ অনেক অভিভাবক। তাঁরা বলছেন, বার্ষিক পরীক্ষার সময় এমন আন্দোলন ঠিক হয়নি। ক্ষতির মুখে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও প্রাথমিকের শিক্ষকেরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার এ মৌসুমে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এমনিতেই করোনার দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি। শিক্ষকেরা শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁরা তাঁদের দাবি জানাতেই পারেন। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষার সময় তা কাম্য হতে পারে না। 

শিক্ষকেরা বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। বাংলা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সদরঘাট, ১ ডিসেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র ষ ক পর ক ষ শ ক ষকদ র পর ক ষ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিবেশীর গ্যারাজে পড়ে ছিল অলিম্পিকে জেতা সোনার পদক, এখন নিলামে

ধরুন, অলিম্পিকে সোনার পদক জিতলেন। এখন পদকটি যত্ন করে রাখতে জুতসই একটি জায়গা তো লাগবে। অলিম্পিকে জেতা সোনার পদক তো আর যেনতেন জায়গা ফেলে রাখা যায় না। বিশ্বের অনেক অ্যাথলেটেরই সে জন্য আয়োজনের কমতি থাকে না। কিন্তু জর্জ ফোরম্যান অন্য ধাতে গড়া মানুষ। বক্সিংয়ে প্রয়াত এই কিংবদন্তির মনে হয়েছিল, অলিম্পিকে জেতা সোনার পদক প্রতিবেশীর গ্যারেজে ফেলে রাখা যায়!

অবিশ্বাস্য এ ঘটনাই সামনে এনেছে ইউরোপের কিছু সংবাদমাধ্যম। ১৯৬৮ মেক্সিকো সিটি অলিম্পিকের বক্সিংয়ে হেভিওয়েট ইভেন্টে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জোনাস সেপুলিসকে হারিয়ে সোনা জেতেন ফোরম্যান। এরপর দীর্ঘ কয়েক দশক এ পদকের কোনো হদিস ছিল না।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে পদকটি আবিষ্কার করা হয় ফোরম্যানের প্রতিবেশীর বাসার গ্যারেজে। পদকটি সেখান থেকে গিয়ে পড়েছে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান লেল্যান্ড অকশনসের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিষ্ঠান পদকটি নিলামে তুলেছে। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ নিলাম।

তবে স্পেনের আরেক সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে গ্যারাজের মালিক গ্যারাজ পরিস্কার করতে গিয়ে ফোরম্যানের বিভিন্ন জিনিসপত্রের পাশাপাশি অলিম্পিক পদকটিও দেখতে পান।

‘মার্কা’ জানিয়েছে, তিনজন ক্রেতা এরই মধ্যে পদকটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৩ হাজার ৩২৮ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকার কিছু বেশি)। লেল্যান্ড অকশনসের আশা, এ দকের দাম আরও বাড়বে।

ফোরম্যান বক্সিং ইতিহাসের কিংবদন্তি। দুবারের হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ‘বিগ জর্জ’ নামে খ্যাতি পাওয়া সাবেক এই বক্সার ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত রিংয়ে নেমেছেন। ১৯৭৪ সালে কিনশাসায় বিখ্যাত ‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ ম্যাচে মোহাম্মদ আলীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারেন। ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং রিসার্চ’–এর বিবেচনায় ফোরম্যান সর্বকালের সেরা বক্সারদের তালিকায় অষ্টম। চলতি বছর মার্চে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রীড়াবিদ। সত্তর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে বসবাস করতেন ফোরম্যান।

আরও পড়ুনজুনিয়র হকি বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে ৩–২ গোলে হার বাংলাদেশের১৪ ঘণ্টা আগে

নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে ‘মার্কা’ ও স্পেনের আরেক সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানিয়েছে, সত্তর দশকের শেষ দিকে ফোরম্যান নিজের কিছু জিনিসপত্র প্রতিবেশীকে তাঁর বাসায় রাখার অনুরোধ করেছিলেন। সেই প্রতিবেশী আপত্তি করেননি। কয়েক বছর আগে সেই প্রতিবেশী নারীর মেয়ে বাসার গ্যারেজ থেকে ফোরম্যানের রেখে যাওয়া সেসব জিনিসপত্র আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে ছিল তাঁর দুটি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কিছু ট্রফি ও সোনার সেই পদক।

চলতি বছর মার্চে মারা যান জর্জ ফোরম্যান

সম্পর্কিত নিবন্ধ