ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা ইউরোপের বাইরের ১৯ দেশের অভিবাসীদের দাখিল করা সব অভিবাসন আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে স্থগিত করেছে। এসব দেশের নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাবেন না। খবর রয়টার্সের।

এই স্থগিতাদেশ এমনটি ১৯ দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা এরই মধ্যে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। এতে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ করেছে- যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন চুক্তি চূড়ান্ত করতে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্পের দূত

সিরিয়ায় ‘হস্তক্ষেপ’ না করতে ইসরায়েলকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

 

নতুন নীতির ব্যাখ্যা দেওয়া সরকারি স্মারকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই হামলায় এক গার্ড সদস্য নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। 

সম্প্রতি ট্রাম্প সোমালিদের বিরুদ্ধেও কথার আক্রমণ বাড়িয়েছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।’

এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প অভিবাসন আইন প্রয়োগে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তার প্রশাসন এতদিন মূলত অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার অভিযানকে গুরুত্ব দিলেও এবার তারা বৈধ অভিবাসন কাঠামোতেও পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছে। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বৈধ অভিবাসন সীমিত করতেই ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিচ্ছে এবং এর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে।

বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যে ১৯টি দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন- যাদের ওপর জুনে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ, এমনকি প্রায় সম্পূর্ণ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছিল। 

বাকি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা- যারা জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল।

নতুন নীতিতে এসব দেশের নাগরিকদের সব আবেদন স্থগিত করা হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি আবেদনকারীর ওপর সম্পূর্ণ পুনঃপর্যালোচনা চালাতে হবে। প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকারও হতে পারে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন করা যায়।

স্মারকলিপিতে ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলাসহ সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড-নাগরিকত্ব দেওয়া বন্ধ করল যুক্তরাষ্

ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা ইউরোপের বাইরের ১৯ দেশের অভিবাসীদের দাখিল করা সব অভিবাসন আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে স্থগিত করেছে। এসব দেশের নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাবেন না। খবর রয়টার্সের।

এই স্থগিতাদেশ এমনটি ১৯ দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা এরই মধ্যে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। এতে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ করেছে- যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন চুক্তি চূড়ান্ত করতে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্পের দূত

সিরিয়ায় ‘হস্তক্ষেপ’ না করতে ইসরায়েলকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

 

নতুন নীতির ব্যাখ্যা দেওয়া সরকারি স্মারকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই হামলায় এক গার্ড সদস্য নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। 

সম্প্রতি ট্রাম্প সোমালিদের বিরুদ্ধেও কথার আক্রমণ বাড়িয়েছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।’

এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প অভিবাসন আইন প্রয়োগে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তার প্রশাসন এতদিন মূলত অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার অভিযানকে গুরুত্ব দিলেও এবার তারা বৈধ অভিবাসন কাঠামোতেও পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছে। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বৈধ অভিবাসন সীমিত করতেই ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিচ্ছে এবং এর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে।

বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যে ১৯টি দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন- যাদের ওপর জুনে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ, এমনকি প্রায় সম্পূর্ণ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছিল। 

বাকি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা- যারা জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল।

নতুন নীতিতে এসব দেশের নাগরিকদের সব আবেদন স্থগিত করা হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি আবেদনকারীর ওপর সম্পূর্ণ পুনঃপর্যালোচনা চালাতে হবে। প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকারও হতে পারে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন করা যায়।

স্মারকলিপিতে ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলাসহ সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ