ঢাকার জুরাইন এলাকায় গুলি করে অটোরিকশা চালক পাপ্পু শেখকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ইউসুফ সরদার ও মো. উজ্জল ওরফে কাঞ্চি।

র‌্যাব-১০ এর মিডিয়া শাখার সহকারী পরিচালক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরো জানান, নিহতের বাবা এ ঘটনায় কদমতলী থানায় মামলা করেন। র‍্যাব ছায়া তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে শনাক্ত করে এবং গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে জুরাইন আলমবাগ এলাকা থেকে মামলার ১ নম্বর আসামি মো.

ইউসুফ সরদারকে ও শ্যামপুর থানার জুরাইন রেলগেট এলাকা থেকে অপর আসামি কাঞ্চিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর পাপ্পু তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পূর্ব জুরাইনস্থ নিজ ভাড়া বাসা থেকে বের হলে আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ তাকে জোরপূর্বক ধরে রাখে। এই সময় বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা গুলি করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত পাপ্পুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব আরও জানায়, পাপ্পুর সঙ্গে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা গ্রুপের মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে পাপ্পুর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের অকৃত্রিম দুই বন্ধু

১৯৭১ সালের ১লা আগস্ট নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। বিখ্যাত ব্যান্ড দ্য বিটলস-এর প্রধান গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন এবং পণ্ডিত রবিশঙ্করের নাম এই কনসার্টের সঙ্গে জড়িত। তারা বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু। 

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পন্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। তিনি তখন ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ আর্টসে ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডিয়ান মিউজিকের ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্বরত। নিজ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কীত বিভিন্ন খবর ও দারিদ্র্যসংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের অংশবিশেষ জর্জ হ্যারিসনকে দিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। তিনিও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করা শুরু করলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন। 

আরো পড়ুন:

কুসুম গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা

আমার আর শাকিবের পছন্দ এক: বুবলী

জর্জ হ্যারিসন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘‘ শুরু থেকেই বিটলদের দৃষ্টিভঙ্গিটা এমন ছিল যে যদি কিছু করতে হয় তবে তা বড় করেই করা উচিত এবং সেটা মিলিয়ন ডলারেরই হবে না কেন।’’

এই ভাবনা থেকে ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনেক বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। জর্জ হ্যারিসন এই কনসার্টে তার বিখ্যাত গান ‘বাংলাদেশ’ পরিবেশন করেছিলেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিল।

বিটলস ষাটের দশকে আমেরিকাসহ বিশ্বের নতুন প্রজন্মকে এই দল অনেক কিছুকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার এবং নানা বিষয়ে নতুনভাবে ভাবার পথ দেখিয়েছিল।  বিশেষত তরুণ প্রজন্মের চিন্তার জগতে প্রচণ্ড ঝড় তুলেছিলেন এই দলের সদস্যরা। ফলে কনসার্ট-এ শ্রোতাদের উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলেছিলো। 

জর্জ হ্যারিসন ‘দ্য কোয়ায়েট ওয়ান’ নামেও পরিচিত ছিলেন এবং ব্যান্ডের সঙ্গীত শৈলীতে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রভাব যুক্ত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। 

বিটলসের হয়ে তার লেখা বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সামথিং’, ‘হিয়ার কামস দ্য সান’ এবং ‘হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই সঙ্গীতশিল্পী  বিটলস ভেঙে যাওয়ার পর তিনি সফল একক কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘অল থিংস মাস্ট পাস’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এতে ‘মাই সুইট লর্ড’ এর মতো হিট গান ছিল।

হ্যারিসন ২০০১ সালের ২৯শে নভেম্বর ৬ষ্ট ক্যালিফোর্নিয়ায় মারা যান। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ