প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ১০০ গোলের রেকর্ড হলান্ডের
Published: 3rd, December 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল রাতে নাটকীয় এক জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ফুলহামের বিপক্ষে তাদের মাঠে সিটি জিতেছে ৫–৪ গোলে। প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন ম্যাচের ৫৪ মিনিটেই ৫–১ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭৮ মিনিটের মধ্যে সেই ব্যবধান ৫–৪ এ নামিয়ে আনে ফুলহাম।
এরপর ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য সময় থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি ফুলহাম। শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। তবে ম্যাচ শেষে নাটকীয়তা ও উত্তাপ ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ড। ম্যাচের ১৭ মিনিটে নিজের ও দলের প্রথম গোলটি করে অবিশ্বাস্য এক কীর্তি গড়েছেন এই নরওয়েজীয় তারকা।
এই ম্যাচে গোল করার পর হলান্ডই এখন প্রিমিয়ার লিগের দ্রুততম ১০০ গোলের রেকর্ডের মালিক। মাত্র ১১১ ম্যাচে এই মাইলফলক গড়লেন তিনি। এর আগে রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অ্যালান শিয়ারারের দখলে। নিউক্যাসল কিংবদন্তি শিয়ারারের ১০০ গোল করতে লেগেছিল ১২৪ ম্যাচ। ১৯৯৫ সালে রেকর্ডটি গড়েছিলেন শিয়ারার।
আরও পড়ুনহলান্ডের গোলক্ষুধার নেপথ্যে রেড লাইট থেরাপি, কাঁচা দুধ ও স্টেক ২৪ অক্টোবর ২০২৫২০২২ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটিতে যোগ দিয়ে একের পর কীর্তি গড়ছেন হলান্ড। এর মধ্যে ছোট–বড় অসংখ্য রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। তবে শিয়ারারের ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম ১০০ গোল করা হলান্ডের বড় অর্জনগুলোর একটি। প্রিমিয়ার লিগে ৩৫তম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ গোলের দেখা পেলেন হলান্ড। তাঁর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালে টটেনহামে থাকতে শততম গোলের দেখা পান সন হিউং–মিন।
প্রথম আলো গ্রাফিকস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০০ গ ল হল ন ড র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকের ৩১টি পদ শূন্য, ১টি বিষয়ে কেউ নেই পাঁচ বছর
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৭৬টি। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৪৫ জন। শিক্ষকের ৩১টি পদ খালি রয়েছে দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে। শিক্ষকসংকটের কারণে কলেজটিতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
কলেজটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঠিকমতো ক্লাসে পাঠদান না হওয়ায় তাঁদের কোচিংনির্ভর হয়ে পড়তে হচ্ছে। সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাঁচজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কলেজে বাংলাসহ ১১টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু থাকলেও অধিকাংশ বিভাগেই রয়েছে শিক্ষকসংকট। বাংলা বিভাগে অনুমোদিত চারটি পদের বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনিই স্নাতকসহ (সম্মান) সব শ্রেণির বাংলা বিষয়ে ক্লাস নেন।কলেজসূত্রে জানা গেছে, কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে একজন শিক্ষকও নেই। পাঁচ বছর ধরে এ বিষয়ে শিক্ষকের দুটি পদই শূন্য। একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েই উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে।
কলেজে বাংলাসহ ১১টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু থাকলেও অধিকাংশ বিভাগেই রয়েছে শিক্ষকসংকট। বাংলা বিভাগে অনুমোদিত চারটি পদের বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনিই স্নাতকসহ (সম্মান) সব শ্রেণির বাংলা বিষয়ে ক্লাস নেন।
একই ভাবে দর্শন বিভাগে তিনজন শিক্ষকের বিপরীতে একজন, সমাজকর্ম বিভাগে তিনজনের বিপরীতে একজন, রসায়ন বিভাগে চারজনের বিপরীতে দুজন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সাতজনের বিপরীতে চারজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, কলেজে রয়েছে ছয়টি ভবন। এসব ভবনে থাকা শ্রেণিকক্ষের কোনোটিতে ক্লাস হচ্ছে, কোনোটিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকলেও শিক্ষক নেই। কলেজের মাঠে আড্ডা দিতে দেখা যায় কিছু শিক্ষার্থীকে।
শিক্ষকসংকট নিরসনের বিষয়ে আবেদন-নিবেদন, মানববন্ধন—কোনোটাই বাদ রাখিনি। তবু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শিক্ষকসংকটের মধ্যেই কলেজের পাঠদান চলছে।মামুনুর রশিদ, শিক্ষার্থী, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজজাকির হোসেন নামের একজন জানান, তিনি বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। তাঁর বিভাগে নিয়মিত ক্লাস হয় না। বাজারের গাইড বই ও নোট সংগ্রহ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলেই তাঁদের উদ্বেগ বেড়ে যায়।
স্নাতকের (পাস) আরেক শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষকসংকট নিরসনের বিষয়ে আবেদন-নিবেদন, মানববন্ধন—কোনোটাই বাদ রাখিনি। তবু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শিক্ষকসংকটের মধ্যেই কলেজের পাঠদান চলছে।’
শিক্ষকেরা জানান, কলেজের শিক্ষকসংকটের বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও শূন্য পদে শিক্ষক পদায়নের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান বলেন, ‘প্রতি মাসেই এ বিষয়ে চিঠি দিচ্ছি। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে গিয়েও সংকটের বিষয়টি জানিয়েছি, তবু সমস্যার সমাধান হয়নি। সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয়, সেই চেষ্টায় করা হয়।’