2025-11-05@07:26:18 GMT
إجمالي نتائج البحث: 30
«ঘটক র»:
ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় অভিনয় করেন আবুল হায়াত। ১৯৭২ সালে কালজয়ী এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়। ছবিটির প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান। গতকাল ৪ নভেম্বর ছিল ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই বছর আগে ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রথম আলোকে শোনান আবুল হায়াত। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলোপ্রথমে বলতে হয়, প্রথম সিনেমা হিসেবে ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে কাজ করার খবরে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম। সেই ১৯৬৮ সাল থেকে ‘রক্তকরবী’ নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে হাসান ইমাম ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক। তাঁর কারণেই ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে যোগাযোগ। ১৯৭২ সালে হাসান ভাই প্রস্তাব দিলেন, সিনেমায় অভিনয় করব কি না। আমি তো লাফিয়ে উঠলাম। ঋত্বিকবাবুর নাম শুনে তো আমি আরও বেশি উত্তেজিত। তিনি আমাকে এফডিসিতে...
যেখানে থাকার কথা ছিল উৎসবের আবহ, সেখানে কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছার জঙ্গল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের জন্মশতবার্ষিকীতে সেই ধ্বংসস্তূপের ওপরই জ্বলে উঠল মোমবাতির আলো।রাজশাহীতে তাঁর গুঁড়িয়ে দেওয়া পৈতৃক ভিটায় দাঁড়িয়েই সাংস্কৃতিক কর্মীরা কিংবদন্তি এই নির্মাতার স্মৃতি রক্ষা এবং সেখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র কেন্দ্র নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে রাজশাহী নগরের মিঞাপাড়ায় ঋত্বিকের পৈতৃক বাড়ির ধ্বংসস্তূপে এই কর্মসূচি পালিত হয়।‘ঋত্বিক শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম। এরপর গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়ির ইটের স্তূপে মোমবাতি প্রজ্বালন করে ঋত্বিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে রাতে ঋত্বিকের নির্মিত চলচ্চিত্র ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ প্রদর্শন করা হয়। ঋত্বিকের বাড়ির গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটের স্তূপের...
রাজশাহীর ভাঙা বাড়িতেই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তার পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্জলন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তার কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আরো পড়ুন: সিনেমা হল বন্ধের হিড়িক: নেপথ্যে কী? লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ‘‘ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো...
১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান বরেণ্য এই নির্মাতা। বেঁচে থাকলে আজ জন্মশতবর্ষ উদযান করতেন। ৫০ বছরের জীবনে খুব বেশি সিনেমা উপহার দেননি; মাত্র ৮টি সিনেমা নির্মাণ করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি কুড়ান। কেবল সিনেমাই বানাননি, অনেককে বানানোও শিখিয়ে গেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাদের মধ্যে অন্যতম বলিউড পরিচালক-প্রযোজক বিধু বিনোদন চোপড়া। তার এই নামটি ঋত্বিক ঘটকেরই দেওয়া। এ পরিচালক বলেন, “আমি যখন পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে (এফটিআইআই) পড়তে যাই, তখন আমার নাম ছিল বিনোদ কুমার চোপড়া।” আরো পড়ুন: আমি আজ যা কিছু, সবই নারীদের জন্য: শাহরুখ ১৩ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত? ঋত্বিক ঘটক বিধু বিনোদ চোপড়ার শিক্ষক ছিলেন। একটি ঘটনা বর্ণনা করে এই পরিচালক বলেন,...
১৯২৫ সালকে সিনেমাপ্রেমীরা আলাদা করে মনে রাখবেন। ঋত্বিক ঘটকের জন্ম, আইজেনস্টাইনের ‘ব্যাটলশিপ পোটেমকিন’ আর চার্লি চ্যাপলিনের ‘দ্য গোল্ড রাশ’-এর মুক্তি মিলিয়ে গত শতাব্দীর বছরটি একেবারেই আলাদা। তবে আজ কেবল ঋত্বিকের কথাই হোক, আজকের দিনে জন্ম নেওয়া ঢাকার সেই ছেলেটি, যিনি কিনা ভারতীয় সিনেমার ভাষা বদলে দিয়েছিলেন পুরোপুরি। যখন অন্য নির্মাতারা মেলোড্রামা থেকে দূরে সরে সূক্ষ্ম আবেগ প্রকাশে পশ্চিমের পথ অনুসরণ করছিলেন, ঋত্বিক ছিলেন পুরোপুরি স্বতন্ত্র। ভারতীয় মেলোড্রামাকে ফোক, ক্ল্যাসিক্যাল, পুরাণ আর জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে নতুন রূপ দিয়েছিলেন।ঋত্বিক ঘটক
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে...
দেশভাগের বেদনায় নিমজ্জিত এক চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটক (৪ নভেম্বর ১৯২৫–৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬) যেন মনোজগৎ থেকে পূর্ববঙ্গকে কখনোই বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি। পৈতৃক নিবাস তৎকালীন পূর্ববঙ্গের রাজশাহী, জন্মেছিলেন ঢাকায়। ব্রিটিশদের প্রায় দুই শ বছর শাসনের পর দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ তিন টুকরো হয়ে গেল। তাতে সবচেয়ে বেশি পীড়িত হলো কাশ্মীর, পাঞ্জাব আর বাংলা প্রদেশ। র্যাডক্লিফের তৈরি এই বিভাজনে সাধারণ মানুষের কোনো ভূমিকা না থাকলেও শেষতক এর ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়েছে শেকড়চ্যুত সাধারণ মানুষকেই। র্যাডক্লিফ লাইন নোটিশ জানাল, এখন থেকে মুসলিমরা থাকবে এপার বাংলায় আর সনাতনীদের ঠাঁই হবে ওপার বাংলায়। কিন্তু তারপর কী হলো? আজীবনের ঠিকানা বদলে গেল, বদলে গেল জীবন, মাথায় চাপ চাপ জমে রইল সাম্প্রদায়িকতার ট্রমা। চোখের সামনে তারা পরিবার, প্রতিবেশী, স্বজনকে হত্যা হতে দেখেছে; নাড়ি-পোঁতা ভিটায় জ্বলতে দেখেছে দাউ...
স্মৃতিচারণা, আলোচনা, সংগীত ও চলচ্চিত্রের নির্বাচিত দৃশ্যের প্রদর্শনী দিয়ে সাজানো মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটক ও তাঁর যমজ বোন প্রতীতি দত্তকে জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হলো। রোববার বিকেলে ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনের রমেশ চন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি। অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১৩৯তম জন্মতিথি উপলক্ষে তাঁর প্রতিও বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’গানটি দিয়ে। এরপর স্মৃতিচারণা করেন ঋত্বিক কুমার ঘটকের বিখ্যাত চলচ্চিত্র তিতাস একটি নদীর নাম–এর প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ধ্রুপদি চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই। ১৯৬২ সালে সুবর্ণ–রেখা চলচ্চিত্রটি নির্মাণের দশ বছর পর তিতাসের কাজ শুরু করেছিলেন ঋত্বিক কুমার। প্রায় এক বছর...
ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন, ‘বুঝলা, নিজের ঢাক নিজেই পিটাইবা। অন্য কাউরে দিলে ফাটায়া ফেলাইব’। অভিনেতা আবুল হায়াত শোনাচ্ছিলেন তাঁর জীবনের গল্প, ঋত্বিক ঘটকের প্রসঙ্গ আসায় তাঁর মুখে ফুটে ওঠে স্নিগ্ধ হাসি। কথা হচ্ছিল প্রথম আলোর আয়োজন ‘ক্রাউন সিমেন্ট’ অভিজ্ঞতার গল্প শীর্ষক ভিডিও সাক্ষাৎকারে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আবুল হায়াতের সার্কিট হাউস রোডের ফ্ল্যাটে এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।তাঁর পুরো নাম খন্দকার মোহাম্মদ শামসুল আরেফীন আবুল হায়াত গোলাম মাহবুব। আর পিতা তাঁর প্রিয় কবির নামে রেখেছিলেন একটা ডাকনাম—রবি। জন্ম তাঁর ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, মুর্শিদাবাদে। বাবার চাকরি ছিল রেলওয়েতে। ১৯৪৭–এর পর তাঁর কর্মস্থল হলো চট্টগ্রাম। তিনি পরিবারসহ চলে গেলেন চট্টগ্রামে। রবি কথা নামের একটা সুন্দর আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি। সেখানে দেশভাগের বেদনার কথা আছে।তিন বছরের রবির সেই যাত্রার তিনটা জিনিস এখনো মনে আছে। মুনিষের...
আপেল বিয়ে করেনি। তার বয়স প্রায় চল্লিশ, সে এখনো বিয়ে করেনি। বিয়ে না হওয়ার কারণ তার চামড়ার কালো রং নয় (তার রঙের অনেক মেয়ের বিয়ে হয়েছে) অথবা তার নামটিও নয়। বিয়ের ক্ষেত্রে নাম বিষয়টি সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, মরূদ্যানে মাঝেমধ্যে ফলের নামেও মেয়েদের নাম রাখা হয়। আপেলের বান্ধবী কলা গত বছর বিয়ে করেছে।ভাগ্য? দুর্ঘটনা? নাকি সেটা আপেলের একগুঁয়েমি ছিল, যার জন্য সে ছাদে বিয়ের পতাকা ওড়াতে দিতে রাজি হচ্ছিল না আর এই অনিচ্ছাকে ক্রমাগত ধরে রেখেছিল? যদিও মেয়েদের প্রথম ঋতু শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির ছাদে বিয়ের পতাকা ওড়ানো মরূদ্যানের রীতি, কিন্তু আপেল সেটি করতে দিতে রাজি হয়নি। সে মিনতি করেছে, কেঁদেছে, মুখ লুকিয়ে তার বাবাকে বলেছে, ‘বাবা, দয়া করে এটা করবেন না। আমি চাই না।’ তার মা ভেবেছিল আপেল...
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বৈঠকে একমত হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কমিশন ‘অনুঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য কমিশন আবার বসবে।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনের আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সনদের দুটি অংশ। একটি অংশে ঐকমত্যের বিষয়সমূহ এবং অন্য অংশে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’শিগগিরই সনদ চূড়ান্ত করা যাবে বলে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন,...
মনে পড়ে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বাতাসে ভেসে আসছে ধীর, মৃদু কিন্তু দৃঢ় সুর। বালক আমি। কাছে যাই। পাড়ার নারীরা একত্র হয়েছেন। আমাদের আঙিনার একপাশে, কাঁঠালগাছের নিচে। একটি জলচৌকি পাতা। তাতে বসে গীত শুরু করেছেন গীত গাওনি নারীরা, ‘গাও হেলানি দিয়া নাচ রে গোলাপী/ কোল হেলানি দিয়া নাচে গোলাপী/ গোলাপীরও সিঁথার সেন্দুর রৈদে ঝলমল করে/ গোলাপীরও নাকের নোলক রৈদে ঝলমল করে...।’ সেই সুরে ধীরে ধীরে জমে উঠছে এক অদৃশ্য নাট্যশালা, যেখানে নেই কোনো মঞ্চ, নেই কোনো আলোঝলমল সাজ বা বাদ্যবাজনা, কিন্তু আছে এক অমোঘ জীবনগদ্য। এই গীত, এই সুর, এই ছন্দ, সব মিলিয়ে যেন গ্রামীণ নারীর এক বিস্ময়কর ভাষা, যা শুধু কণ্ঠে নয়, আত্মায় বাজে।বিয়ের গীত কেবল বিয়েবাড়ির বিনোদন নয়, কেবল বিয়েতেই গাওয়া হয় এমনও নয়, বিয়ের গীত আসলে নারীর বেঁচে...
বিয়ের পর নবদম্পতির মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় উপহার দেওয়ার কথা বলে ঘটককে বাড়িতে ডেকে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (১৫ জুন) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মজিবর শেখ একই ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ৯ জুন জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মুন্নার বিয়ে হয়। বিয়ের ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। বিয়ের পর থেকে নবদম্পতির মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল কনের পরিবার। রোববার উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেওয়ার কথা বলে কনের বাবা জহুরুল ইসলাম ঘটক মজিবর শেখকে বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা...
বগুড়ার শেরপুরে নবদম্পতির মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় উপহার দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে ঘটককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে কনের পরিবার। শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে গত রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মজিবর শেখ (৬৫) নামের ওই ঘটককে মারধর করা হয়। মজিবর শেখ শেরপুরের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মারধরের ঘটনায় মজিবর শেখের ছোট ভাই নজরুল শেখ বাদী হয়ে কনের বাবা জহুরুল ইসলামসহ চারজনের নামে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ৯ জুন সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয়। এ বিয়ের ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। বিয়ের পর সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে...
বিয়ের পর নবদম্পতির মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ঘটকালির উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেওয়ার কথা বলে এক বিয়ের ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তিনি শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, আহত অবস্থায় মজিবর শেখকে গত রোববার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন...
বিয়ের পর নবদম্পতির মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ঘটকালির উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেওয়ার কথা বলে এক বিয়ের ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তিনি শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, আহত অবস্থায় মজিবর শেখকে গত রোববার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন...
ঘটকালির উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তি বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।আহত ব্যক্তির নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তিনি সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, আহত অবস্থায় মজিবর শেখকে গত রোববার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের...
অনুরাধা পাসওয়ান। যিনি ‘ডাকাত কনে’ নামে পরিচিত। ২৫ জনের সঙ্গে বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতারণার মাধ্যমে তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ রুপির গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।প্রতিবার নতুন নাম, নতুন শহর ও নতুন পরিচয় নিয়ে পুরুষদের ভুয়া বিয়ের ফাঁদে ফেলতেন এই তরুণী। তিনি একজন আদর্শ স্ত্রী ও পুত্রবধূর অভিনয় করতেন। তারপর সুযোগ বুঝে গয়না ও টাকা নিয়ে সটকে পড়তেন।শেষমেশ সাওয়াই মাধোপুর পুলিশের কৌশলের ফাঁদে ধরা পড়েন অনুরাধা। পুলিশ তাঁর সঙ্গে একটি ভুয়া বিয়ের নাটক সাজায়। সেই সূত্রেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।পাশের বাড়ির সুন্দরী গরিব কনেঅনুরাধা একা। গরিব ও অসহায়। তাঁর এক বেকার ভাই আছে। তিনি বিয়ে করতে চান, কিন্তু অর্থসংকটের কারণে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারেন না।...
টলিউডের আলোচিত জুটি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। দুইজনেরই আগে প্রেম ছিল, সংসার ছিল। সেই সংসার ভেঙে গেছে। এই দুইজনের চার হাত এক হয়েছে। গড়ে তুলেছেন সুখের সংসার। আর এখন অপেক্ষা করছেন সংসারে নতুন অতিথির জন্য। মা হতে চলেছেন পিয়া চক্রবর্তী। এই সময়ে পিয়ার একটু বেশিই যত্ন নিতে শুরু করেছেন পরম। দুইজনই আনন্দে, উত্তেজনায় সন্তানকে কোলে নেওয়ার দিন-ক্ষণ গুণছেন। সন্তানের জন্য কি কি লাগবে- সেসব নিয়েও অনেক চিন্তিত পরম। পিয়া বলেছেন, ‘‘পরম আমার চেয়ে বেশি উত্তেজিত। সময় পেলেই আলোচনা করছে, সন্তানের জন্য কি কি কিনবে!” ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন পিয়া। দুই পরিবার থেকেই পিয়াকে সাধ খাওয়ানো হয়েছে। এখন বন্ধুবান্ধবও খাওয়াচ্ছেন। ধীরে ধীরে এ বার এই পর্ব শেষ হতে চলেছে। আগামী এক মাস অখণ্ড অবসর। পিয়াকে...
সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য বলে জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার সংসদ ভবনে এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমজনতার দলের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছরের দেশের শাসন কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঘাটতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই একটি ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।” তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা। যা ভবিষ্যত বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করবে।” ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যে ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন সহ্য করেছে,...
কিছু বই উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলাম। এর মধ্যে কবি জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে লেখা আবদুল মান্নান সৈয়দের শুদ্ধতম কবি। আরেকটি নিউজপ্রিন্টের কাগজে ছাপানো অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম। সেই কিশোরবেলায় পড়ে ফেলি বই দুটি। সেই থেকে বাসন্তী–অনন্তদের কথা মনে গেঁথে আছে।চাচার শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। দেশ স্বাধীনের পর একবার সেখানে বেড়াতে গিয়ে স্বাধীনতা দিবসে তিতাস নদে নৌকাবাইচ দেখি। থাকি কুমিল্লার ঠাকুরপাড়ায়। খেলাঘর করি। একদিন সিনেমা ম্যাগাজিন চিত্রালীতে খবর বেরোল, পরিচালক ঋত্বিক ঘটক তিতাস একটি নদীর নাম নিয়ে চলচ্চিত্র বানাবেন। সেই কাজে কুমিল্লায় আসবেন। থাকবেন তাঁর যমজ বোন প্রতীতি দেবীর বাসায়। কিছুদিন পর কান্দিরপাড় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, খেলাঘরের আনিস ভাই আমাকে বললেন, ‘ওই যে লম্বা লোকটা, সিনেমা বানায়, ঋত্বিক কুমার ঘটক।’আমি অবাক হয়ে দেখি দীর্ঘদেহী লোকটা বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছেন, সঙ্গে আরও...
সাত দিনব্যাপী ঈদ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। একক নাটক, চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে সাজানো হয়েছে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান। ঈদের ষষ্ঠ দিন কী কী আয়োজন থাকছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয়, তা নিয়ে বিনোদনের বিশেষ এই আয়োজন।এটিএন বাংলাসকাল আটটায় প্রভাতি অনুষ্ঠান ‘চায়ের চুমুকে’। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ছোটদের নৃত্যানুষ্ঠান ‘ধুম তানা না’। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে কমেডি শো ‘হাউস নাম্বার ৪২০’। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নাটক ‘খালাতো বোনের সংসার’। অভিনয়ে রাফসান ইমতিয়াজ, শায়লা সাথী। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে নাটক ‘নান্টু ঘটক’। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে নাটক ‘নীল শাড়ি’। অভিনয়ে অপূর্ব, তানজিন তিশা। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মিউজিক্যাল শো ‘মিউজিক এক্সপ্রেস’। রাত ১১টায় নাটক হোম বয়। অভিনয়ে আরশ খান, তাসনুভা তিশা।চ্যানেল...
কলকাতা শহরে বাতিল হল প্রখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের দুই সিনেমার প্রদর্শনী! অবাক করা বিষয় হলেও এটাই সত্য। ঘটনাটি কলকাতার শিল্প-সংস্কৃতির অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়ছে, কলকাতায় রাজনীতি এবং শিল্পের সম্পর্ক দিনদিন জটিল হয়ে উঠছে। তারই প্রভাব পড়লো ঋত্বিক ঘটকের মতন মহান পরিচালকের সিনেমার প্রদর্শনীতে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঋত্বিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নাকতলা হাই স্কুলে ‘কোমল গান্ধার’ এবং ‘আমার লেনিন’ ছবিগুলো প্রদর্শনীর কথা ছিল। কিন্তু ছবিগুলো প্রদর্শন করার অনুমতি হঠাৎ করেই বাতিল করা হয়। প্রথমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুমতি দিলেও, কিছু ব্যক্তির হুমকির কারণে তিনি তা বাতিল করেন বলে জানিয়েছেন। আনন্দবাজার বলছে, ‘আমার লেনিন’ ছবিটির বিষয়ে বিশেষ আপত্তি ছিল। হুমকি আসছিল এই ছবি প্রদর্শিত হলে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর...
উপমহাদেশের অন্যতম চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নাফিস কামাল। ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শিল্পী নাফিস কামাল এ ঘোষণা দেন। ২২ ফেব্রুয়ারি গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে মুক্তি পাবে এ গানের ভিডিও। সেদিন গানটি নাফিসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নাফিস কামাল জানান, ঋত্বিক ঘটক ও কবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সম্পর্কের গভীর ভাব, আবেগ আর শূন্যতার বেদনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘স্মরণে ঋত্বিক’। গানটির প্রযোজক সংস্থা কুল এক্সপোজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক টিংকু বলেন, “কবি নিজে তাঁর এই অনবদ্য গানটি নাফিস কামালের হাতে তুলে দিয়েছেন সংগীতায়নের জন্য। যদিও এর সুরারোপ তিনি শুনে যেতে পারেননি। আর ঋত্বিক ঘটককে আমরা হারিয়েছি সেই...
উপমহাদেশের অন্যতম চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নাফিস কামাল। ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শিল্পী নাফিস কামাল এ ঘোষণা দেন। ২২ ফেব্রুয়ারি গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে মুক্তি পাবে এ গানের ভিডিও। সেদিন গানটি নাফিসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নাফিস কামাল জানান, ঋত্বিক ঘটক ও কবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সম্পর্কের গভীর ভাব, আবেগ আর শূন্যতার বেদনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘স্মরণে ঋত্বিক’। গানটির প্রযোজক সংস্থা কুল এক্সপোজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক টিংকু বলেন, “কবি নিজে তাঁর এই অনবদ্য গানটি নাফিস কামালের হাতে তুলে দিয়েছেন সংগীতায়নের জন্য। যদিও এর সুরারোপ তিনি শুনে যেতে পারেননি। আর ঋত্বিক ঘটককে আমরা হারিয়েছি সেই...
‘এই দেশে এক শহর ছিল’ গানটি দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন সেই সময়ের তরুণ গায়ক নাফিস কামাল। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত হয় গানটি। গানটি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা, সুর ছিল নকীব খানের। দীর্ঘ বিরতির পর আবার গানে ফিরেছেন নাফিস। উপমহাদেশের অন্যতম চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে তাঁরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানে কণ্ঠ দিলেন তিনি।ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণদিবস উপলক্ষে ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম আলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিল্পী নাফিস কামাল এ ঘোষণা দেন। প্রথম আলো অনলাইনের (ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম) পেজগুলোতে ধারণকৃত এ অনুষ্ঠানটি আপলোড করা হয়। গীতিকার কবির বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নাফিস কামাল এ গানের পেছনের সব গল্প শ্রোতাদের জানান। ২২ ফেব্রুয়ারি গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর প্রয়াণদিবসে মুক্তি পাবে এই গানের ভিডিও...
মিরপুরে বসবাসরত বিহারিদের ঠিকানা ‘মুসলিম ক্যাম্প’। এই ক্যাম্পে শত শত ঘরবাড়ি আছে কিন্তু ওগুলোর আলাদা নাম নেই। এর পরেও অনেকের ঘর আছে। কেউ কেউ তো ঘর ভাড়াও দেয়। পারভেজের ঘর নেই, শৈশবে বাবা মারা গেছেন, কৈশোরে মাকে হারাতে হয়েছে। এক চাচা ছিলেন, তিনিও পরিবারসহ পাকিস্তানে চলে গেছেন। খালা আর খালুর কাছে বড় হয়েছে মোহাম্মদ পারভেজ। আব্দুল খালেক পারভেজকে বেনারসি বুনন শিখিয়ে দিয়েছেন। ষোলো বছর বয়সেই কারিগর হিসেবে পারভেজের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। মহাজন আলাদা কদর শুরু করেন। একদিন ঘোষণা করেন তাঁর কারখানার সেরা কারিগর পারভেজ। এরপর আব্দুল খালেক পারভেজকে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকতে বলেন। এবং কেন তিনি এ কথা বললেন– সেই প্রশ্ন করতে নিষেধ করে দিলেন। কারখানায় আব্দুল খালেক একেবারে চুপচাপ থাকেন, তাকে চুপচাপ দেখতে ভালো লাগে না পারভেজের। সে...
