সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আলোচিত নারী ইউপি সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলিমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২।
 
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব-১২ সদর দপ্তরের কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) দীপংকর ঘোষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে (২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সলঙ্গা থানার হরিণচড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আব্দুল আলিম শাহজাদপুর উপজেলার রতনকান্দি (উত্তরপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে প্রতিবেশীরা নারী ইউপি সদস্য পিয়ারা খাতুনের নিজ ঘরের বিছানার উপরে পরে থাকতে দেখে। ঘটনার পরই পিয়ারা খাতুনের স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিহত পেয়ারা খাতুন উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। 

বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরে নিহতের বাবা হানিফ সরকার বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১২ এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে সলঙ্গা থানার হরিণচড়ায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলিমকে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে আজ সকালে শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/অদিত্য/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানিতে সেনাবাহিনীর ২০ হাজার গুলি চুরি, কে কীভাবে এ কাণ্ড ঘটাল

জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের বুর্গ শহরে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি ডেলিভারি ট্রাক থেকে হাজার হাজার গুলি চুরি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এ চুরির বিষয় নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই গুলি কে বা কারা চুরি করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। চালক অনির্ধারিত স্থানে ট্রাক থামানোয় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জার্মানির দুই সংবাদমাধ্যম এমডিআর ও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ডেয়ার স্পিগেলকে চুরির ঘটনাটি গত ২৫ নভেম্বর ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।

স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যে গোলাবারুদ ‘হারানোর’ ঘটনা আগেও ঘটেছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে বার্নবুর্গ ও আইসলেবেন শহরে পুলিশের গোলাবারুদ খোয়া যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি বেসামরিক মালিকানাধীন ট্রাক সেদিন গুলি বহন করছিল। রাত হওয়ায় বুর্গের একটি হোটেলের পার্কিংয়ে ট্রাক থামান চালক। পরের দিন ট্রাক ব্যারাকে পৌঁছানোর পর বেশকিছু গুলি উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, পিস্তলের প্রায় ১০ হাজারটি তাজা গুলি ও প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত অ্যাসল্ট রাইফেলের ৯ হাজার ৯০০ গুলি ট্রাকে নেই।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা চুরির বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। এসব গুলি ভুল হাতে পড়া উচিত নয়।’ মন্ত্রণালয় আরও মনে করছে, চালকের এমন জায়গায় ট্রাক থামানো ঠিক হয়নি।

চুরির ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা জানতে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যে গোলাবারুদ ‘হারানোর’ ঘটনা আগেও ঘটেছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে বার্নবুর্গ ও আইসলেবেন শহরে পুলিশের গোলাবারুদ খোয়া যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ