নিউইয়র্কে ৮ অভিবাসন বিচারককে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 3rd, December 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে আটজন অভিবাসনবিষয়ক বিচারককে বরখাস্ত করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কট্টর অবস্থান ঘিরে অনিশ্চিয়তার মধ্যেই এ আট বিচারককে বরখাস্ত করার খবর জানা গেল।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইমিগ্রেশন জাজেস (এনএআইজে) জানায়, বরখাস্ত হওয়া আট বিচারকের সবাই ম্যানহাটানের ২৬ ফেডারেল প্লাজায় কর্মরত ছিলেন। এখানকার একটি আদালত অভিবাসীদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া–সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনতৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করায় কী প্রভাব পড়বে৩০ নভেম্বর ২০২৫গত কয়েক মাসে মুখোশধারী ফেডারেল কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিদিনই ‘জ্যাকব কে জাভিটজফেডারেল বিল্ডিং’-এর করিডরে টহল দিয়ে আসছিলেন। শুনানি থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁরা অভিবাসীদের আটক করছিলেন। এমনকি বেশ কয়েকবার সংবাদমাধ্যমের সামনেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও অভিবাসী পরিবারগুলোকে পৃথক করে দেওয়ার ছবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে ‘২৬ ফেডারেল প্লাজা’ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের প্রতীকী জায়গা হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দীর্ঘ সময় চলবে: ট্রাম্প০১ ডিসেম্বর ২০২৫নিউইয়র্কের আট বিচারককে ঠিক কী কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিষয়ক ৬০০ বিচারক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ জনকে বছরজুড়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এই ৮ জন।
অভিবাসীদের পক্ষে কাজ করে আসা সংগঠনগুলো মনে করছে, বরখাস্ত হওয়া বিচারকদের পরিবর্তে এসব পদে এমন লোকদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যাঁদের মনোভাব ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসননীতির সঙ্গে আরও বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুনঅভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করছে যুক্তরাষ্ট্র২৯ নভেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনআফগান পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ইস্যু স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র২৯ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ব চ রকক
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় ৮ কুকুরছানাকে হত্যায় সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নূর জানান, প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯–এর ৭ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমানের স্ত্রী নিশি রহমানকে (৩৮) আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরে রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী আকলিমা খাতুন বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ব্যাপকভাবে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফোন করেছিলেন। তিনি ঘটনাটি অমানবিক বলেছেন। এ ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে উল্লেখ করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
এদিকে কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমানকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। তিনি গতকাল বিকেলে কোয়ার্টার ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনায় গতকাল হাসানুল রহমান বলেছিলেন, ‘সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার স্ত্রী ছানাগুলোকে সরিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু এগুলো যে মারা যাবে, তা ভাবিনি। আমি এই ঘটনায় লজ্জিত ও দুঃখিত।’
আরও পড়ুনঅভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সরকারি বাসা ছাড়ার নির্দেশ১৭ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসনুর রহমানের সরকারি বাসার আঙিনায় একটি মা কুকুর আটটি ছানার জন্ম দেয়। পরে ছানাগুলো নিখোঁজ হয়। সোমবার সকালে কুকুরটিকে পরিষদ চত্বরে ছোটাছুটি করতে ও কাঁদতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুকুর থেকে মৃত ছানাগুলো উদ্ধার করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।