সোমালিয়ার অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প
Published: 3rd, December 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সোমালিয়ার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে দেখতে চান না। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁরা যেখান থেকে এসেছেন, তাঁদের সেখানে ফিরে যাওয়া উচিত এবং তাঁদের দেশের ভালো না থাকার পেছনে একটি কারণ আছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাঁদের আমাদের দেশে চাই না, আমি আপনাদের কাছে সৎভাবে বলছি।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের দেশে আবর্জনা নিতে থাকি, তবে আমরা ভুল পথে যাব।’
সোমালি অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের এই অপমানজনক মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন খবর পাওয়া যাচ্ছে, মিনেসোটা রাজ্যের বৃহৎ সোমালি কমিউনিটিতে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিযানের পরিকল্পনা করছে।
মিনেসোটা রাজ্যের কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, এই অভিযানের কারণে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির অভিবাসী ভেবে অন্য দেশ থেকে আসা অনেক মার্কিন নাগরিককেও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হতে পারে।
মিনিয়াপোলিস এবং সেন্ট পল—‘টুইন সিটিজ’ নামে পরিচিত এই শহরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সোমালি কমিউনিটির বসবাস।
ট্রাম্পের মন্তব্য
মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্ত্রিসভার দীর্ঘ বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাঁদের আমাদের দেশে চাই না। আমি আপনাদের কাছে সৎভাবে বলছি, ঠিক আছে। কেউ হয়তো বলবেন, আহা, এটা রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। আমার কিছু যায় আসে না। আমি তাঁদের আমাদের দেশে চাই না।’
ট্রাম্প সোমালিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘আপনারা জানেন, সোমালিয়া একটি দেশ, তাদের কোনো কিছু নেই। তারা শুধু ঘুরে বেড়ায় এবং একে অপরকে হত্যা করে। সেখানে কোনো কাঠামো নেই।’
এরপর ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য ও কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রথম সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন ইলহান ওমরের সমালোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের বেশ কয়েকবার নানা ইস্যুতে বিরোধ দেখা গিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সব সময় তাঁকে (ইলহান) দেখি। তিনি সবাইকে ঘৃণা করেন। এবং আমার মনে হয়, তিনি একজন অযোগ্য ব্যক্তি।’
আইসের অভিযানের পরিকল্পনা
অভিযানের বিষয়ে জানেন এমন এক ব্যক্তি বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে মঙ্গলবার বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে (আইসিই–আইস নামে বেশি পরিচিত) ‘টুইন সিটিজে’ অনিবন্ধিত সোমালি অভিবাসীদের ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সপ্তাহে অভিযান শুরু হলে শত শত মানুষকে নিশানা করা হবে। প্রথম এই অভিযানের খবর প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
আইসকে তদারকি করা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক মুখপাত্র পরিকল্পিত অভিযান নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জাতি বা বর্ণের ভিত্তিতে কাউকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে, এমন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
মার্কিন প্রশাসনের সহকারী মন্ত্রী ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, প্রতিদিন আইস দেশজুড়ে আইন প্রয়োগ করে থাকে। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে আইসের অভিযানের কারণ কারও জাতি বা বংশগত পরিচয় নয়, বরং তাঁরা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এটাই মূল কারণ।
সোমালি বংশোদ্ভূত ডেমাক্র্যোট কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরের কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র ম প বল আম দ র দ শ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে এএসআইয়ের ব্যাখ্যা
“সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে গুনতে হলো অতিরিক্ত টাকা” শিরোনামে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই সুলতান মাহমুদ।
তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রতিবেদন দিতে আমি মাহমুদুল নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কোন অর্থ দাবি করিনি। তাকে কোনভাবে হয়রানিও করিনি। ক্লিয়ারেন্সের জন্য থানায় আসলে মাহমুদুল হাসানের কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় আমি তাকে এগুলো সংশোধন করে আনতে বলি। যার ফলে তার কাজে কিছুটা সময় বিলম্বিত হয়েছে। পরবর্তীতে সে প্রয়োজনীয় সকল সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আসলে আমি নিয়ম অনুযায়ী তার ক্লিয়ারেন্সের প্রতিবেদন সঠিকভাবে প্রদান করি। এ বিষয়টিকে সাংবাদিকদের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর আলম বলেন, প্রতিটি পুলিশকে স্বশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যে পুলিশ কি কোনো টাকা দাবি করেছিল কিনা। এবং যেকোনো ধরনের অনৈতিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি কোনো ভুক্তভোগীর কাছে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা আদেশ অমান্য করে কোনো ধরনের অর্থের দাবী করেন তাহলে সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে অন্যায়কারীর কোনো আলাদা পরিচয় নেই, যে অন্যায় করবে তার পরিচয় শুধুই একজন অন্যায়কারী।