ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় ওপেনএআই ও গুগল নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ‘সোরা’, ‘জেমিনি ৩ প্রো’ ও ‘ন্যানো বানানা প্রো’ বিনা মূল্যে ব্যবহারের সীমা নতুন করে নির্ধারণ করেছে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে আগের তুলনায় এআই মডেল ও অ্যাপগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে ওপেনএআইয়ের তৈরি এআই ভিডিও তৈরির অ্যাপ সোরা ২ প্রতিদিন ছয়বার ব্যবহার করা যাবে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সোরা বিভাগের প্রধান বিল পিবলস এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘বেশি ব্যবহারকারীকে সোরা ব্যবহারের সুযোগ দিতে চাই, তাই বিনা মূল্যের ব্যবহারকারীদের জন্য দৈনিক ছয়বার জেনারেশনের সীমা নির্ধারণ করেছি।’

গুগলের নতুন এআই মডেল জেমিনি ৩ প্রো গত সপ্তাহে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শুরুতে বিনা মূল্যে প্রতিদিন পাঁচটি প্রম্পট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া গেলেও এখন থেকে বিনা মূল্যের ব্যবহারকারীরা জেমিনি ৩ প্রোর বেসিক বা সাধারণ সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

ন্যানো বানানা প্রো অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন বিনা মূল্যে সর্বোচ্চ তিনটি ছবি তৈরি করা গেলেও নতুন সীমা নির্ধারণ করায় এখন থেকে দিনে মাত্র দুটি ছবি তৈরি করা যাবে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে বিপুল কম্পিউটিং শক্তি প্রয়োজন হয়। আর তাই নিজেদের সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে বিনা মূল্যের ব্যবহারকারীদের সুযোগ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেনএআই ও গুগল।

সূত্র: টেক রাডার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র স র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

দুনিয়া কাঁপানো চ্যাটজিপিটির জন্মদিন আজ

প্রযুক্তি–দুনিয়াকে পুরোপুরি বদলে দেওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’-এর জন্মদিন আজ। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর যাত্রা শুরু করা চ্যাটজিপিটি চালুর মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। বর্তমানে বয়স-পেশানির্বিশেষে অনেকেই চ্যাটজিপিটি নিয়মিত ব্যবহার করেন, ফলে মাত্র তিন বছরের মধ্যে ৮০ কোটির বেশি সক্রিয় সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর মাইলফলক অর্জন করেছে চ্যাটজিপিটি।

ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর থেকে প্রযুক্তি, সমাজ ও অর্থনীতিতে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে। এটি কেবল একটি চ্যাটবট নয়; বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে এনে দেওয়া এক যুগান্তকারী হাতিয়ার। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের তৈরি এআই চ্যাটবট বাজারে আনলেও চ্যাটজিপিটি নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

চ্যাটজিপিটির মূল ভিত্তি হলো বিশাল তথ্যভান্ডারযুক্ত জিপিটি কাঠামো, যা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএম) মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। তাই চ্যাটজিপিটি মানুষের মতো স্বাভাবিক ভাষায় কথোপকথনের পাশাপাশি কোড লেখা, জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং সৃজনশীল লেখা তৈরি করতে পারে। দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের কারণে বর্তমানে চ্যাটজিপিটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশিবার ভিজিট করা ওয়েবসাইটের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে চ্যাটজিপিটি।

চ্যাটজিপিটি যেকোনো বার্তার উত্তর দ্রুত ও নির্ভুলভাবে দিতে পারে। নিজ থেকে বার্তা, নিবন্ধ বা কবিতাও লিখে থাকে। নির্ভুল শব্দচয়ন ও ভাষা ব্যবহার করায় চ্যাটজিপিটির লেখা মানুষের মতোই হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চ্যুয়াল শিক্ষক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সৃজনশীল বিষয়বস্তু তৈরিসহ দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণেও ভূমিকা রাখছে।

মানবজাতির কল্যাণে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ওপেনএআই’। সংস্থাটির উদ্যোক্তা সংখ্যা মোট ১১ জন, যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন গ্রেগ ব্রকম্যান (বর্তমান প্রেসিডেন্ট), স্যাম অল্টম্যান (বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) ও ইলন মাস্ক (পেপাল, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা) অন্যতম। পরে কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়ান ইলন মাস্ক, কিন্তু অল্টম্যান থেকে যান। তাঁর হাত ধরেই আসে চ্যাটজিপিটি।

সান ফ্রান্সসিসকোতে অবস্থিত ওপেনএআই শুরু থেকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করলেও গত অক্টোবর মাসে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ওপেনএআইয়ের ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মাইক্রোসফটের দখলে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৩৫ বিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সতর্কতা পাঠিয়েছে ওপেনএআই, কেন
  • দুনিয়া কাঁপানো চ্যাটজিপিটির জন্মদিন আজ