রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
Published: 3rd, December 2025 GMT
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ পাশে এক পক্ষ এবং বেলা একটার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অন্য পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে এক পক্ষের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন অযৌক্তিকভাবে ভোটার তালিকায় ‘অসংগতি’ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত করেছে। সংবাদ সম্মেলনের পর তারা ঘোষিত তফসিল পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের সমর্থন দিচ্ছেন ইসলামী ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কয়েকজন সমন্বয়ক।
আরও পড়ুনছাত্র সংসদ নির্বাচন হঠাৎ স্থগিত, উপাচার্যের দপ্তরের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ০১ ডিসেম্বর ২০২৫অন্যদিকে ছাত্রদল–সমর্থিত শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ সংবাদ সম্মেলন করে ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা বাতিল করে গঠনতন্ত্র মেনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ পাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাইদুল ইসলাম, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উম্মে হানী জহুরা ও জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের আল হুমায়রা জান্নাত।
তফসিল পুনর্বহালের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। বুধবার দুপুরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
বড়পুকুরিয়ার কয়লা বিক্রি করে মুনাফা করছে খনি, কিনে লোকসানে বিদ্যুৎেকন্দ্র
আমদানি করা কয়লা কিনতে যেখানে প্রতি টনে গড়ে খরচ পড়ছে ৭৫ ডলার, সেখানে দেশের একমাত্র খনি বড়পুকুরিয়া থেকে উত্তোলিত কয়লার দাম ধরা হয়েছে ১৭৬ ডলার। এই বাড়তি দামে কয়লা বিক্রি করে টানা তিন অর্থবছর বিপুল মুনাফা করেছে সরকারি কয়লা কোম্পানি। সেই মুনাফার অংশও পাচ্ছেন কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। আর এ দাম শোধ করে নিয়মিত লোকসান করছে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
মুনাফার উৎস খনি, লোকসানের বোঝা বিদ্যুৎকেন্দ্রে
জ্বালানি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) একটি কোম্পানি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি। চীনের ঠিকাদারের মাধ্যমে তারা খনি থেকে কয়লা তুলে বিক্রি করে। পাশেই অবস্থিত বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন থাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই কয়লা কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লার দাম প্রতি টনে ১৩০ থেকে বাড়িয়ে ১৭৬ ডলার করা হয়। এরপর কোম্পানির মুনাফা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিবছর এই মুনাফার ১০ শতাংশ করে নেন কয়লা কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। বেতন–ভাতার বাইরে বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করেন তাঁরা।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লার দাম প্রতি টনে ১৩০ থেকে বাড়িয়ে ১৭৬ ডলার করা হয়। এরপর কোম্পানির মুনাফা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রতিবছর এই মুনাফার ১০ শতাংশ করে নেন কয়লা কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেতন-ভাতার বাইরে বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করেন তাঁরা।বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিইআরসির নির্ধারিত দামে বিক্রি করে পিডিবি। এতে টানা তিন অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র আরও বলেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পাশে থাকা পিডিবির নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে এই খনির কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। কেন্দ্রটির যন্ত্রপাতিও সে হিসেবেই বসানো। এখন চাইলেও বাইরে থেকে কয়লা আমদানি করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
তবে গত বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোকসান কিছুটা কমে এসেছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া সূচক দরে কয়লার দাম পরিশোধের সিদ্ধান্ত দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। ওই বৈঠকে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এতে আপত্তি করেননি। এ হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে ৯৯ দশমিক ৫৮ ডলার করে পরিশোধ করা হয়েছে। এতে লোকসান কমেছে। যদিও ১৭৬ ডলার দাম ধরে পরিশোধ করা হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘাটতি হতো ১ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র