বিইউপিতে এমডিএস-প্রফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ
Published: 3rd, December 2025 GMT
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এমডিএস-প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৬ মাস মেয়াদি এমডিএস (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামের ১২তম ব্যাচে ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।
ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বিএ–বিএস (পাস) বা সমমান ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে উন্নয়নসংশ্লিষ্ট বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা–সদস্য, যাঁদের উপরিউক্ত কোনো ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। বিএ–বিএস (পাস) ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের সশস্ত্র বাহিনীতে ৫ (পাঁচ) বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ন্যূনতম জিপিএ–২.
ভর্তি পরীক্ষা ও ভাইভা
ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের ১০০ নম্বরের একটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (লিখিত ৮৫ নম্বর ও ভাইভা ১৫ নম্বর)।
এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণ, গাণিতিক ও তথ্য বিশ্লেষণ দক্ষতা, সাধারণ জ্ঞান ও সমসাময়িক বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান মূল্যায়ন করা হবে।
ভাইভার সময় সব মূল একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্টস ও অ্যাডমিশন টেস্টের অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা ও ভাইভার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
প্রোগ্রামের খরচ
প্রোগ্রামের মোট খরচ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভর্তি ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও সেমিস্টার ফি বাবদ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা ভর্তির সময় দিতে হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেমিস্টারে কোর্স ও অন্যান্য ফি বাবদ ২৭ হাজার ৪০০ টাকা করে এবং চতুর্থ সেমিস্টারে কোর্স ও থিসিস বা প্রজেক্ট পেপারস ফি বাবদ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবিইউপি ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি০১ ডিসেম্বর ২০২৫জেনে রাখুন
১৬টি কোর্স ও থিসিস বা প্রজেক্ট পেপারসহ মোট ৫২ ক্রেডিট ঘণ্টার বিশেষায়িত পাঠ্যক্রম।
ক্লাস ও পরীক্ষা হবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত (৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে)।
শিক্ষার মাধ্যম: ইংরেজি।
আবেদনপ্রক্রিয়া: ওয়েবলিংক থেকে অনলাইনে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বর্ধিত)।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত।
ভাইবার তারিখ ও সময়: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা থেকে।
ভর্তি কার্যক্রম: ১ থেকে ১২ জানুয়ারি ২০২৬।
ক্লাস শুরু: ২৩ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কোর্স, আবেদনসহ জেনে নিন সব০২ ডিসেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূর্বাচলে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’ এর উদ্বোধন করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’র উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেডশিপ এক্সিভিশন সেন্টারে এ “গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা “ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিগ ওয়েভ), পূর্বাচল, ঢাকায় আয়োজিত এক্সপোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো, আমাদের আটটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ রপ্তানি খাতকে এক ছাদের নীচে একত্রিত করে, বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে তার একীকরণকে শক্তিশালী করতে এবং আমরা যে পণ্য রপ্তানি করি এবং যে বাজারগুলি পরিবেশন করি তা উভয়কেই প্রসারিত করতে সহায়তা করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে।
এই উদ্দেশ্যটি আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে কারণ আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক, স্থিতিস্থাপক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্য পরিবেশে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করার জন্য আমাদের পণ্যের ভিত্তিকে বৈচিত্রময় করা, আমাদের সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সাথে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।
এই এক্সপোটি সঠিকভাবে এই লক্ষ্যগুলিকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের একত্রিত করে, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের দ্বার উন্মুক্ত করে।
যেহেতু এটি গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর প্রথম সংস্করণ, তাই আমরা স্বীকার করি যে আমরা শুরুতেই প্রতিটি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি না। তবে, এখানে আপনার উপস্থিতি এবং এই নতুন উদ্যোগের প্রতি আপনার আস্থা যা মূলত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো দ্বারা আয়োজিত আমাদের ভবিষ্যতের সংস্করণগুলিকে আরও কার্যকর, আরও ব্যাপক এবং বিশ্বব্যাপী আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে উৎসাহিত করে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শীঘ্রই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) বিভাগ থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে, তবে এটি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। আমরা বর্তমানে যে কিছু অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা এবং ছাড় সুবিধা ভোগ করছি তা ধীরে ধীরে হারাবো।
এই রূপান্তর সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য, আমাদের পণ্য এবং রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যকরণ, আমাদের প্রতিযোগিতামূলকতা উন্নত করা এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়োপযোগীই নয় - এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, এক্সপোটি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে যাতে এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় - অনেকটা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মতো, যা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিচয়ের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।
আমরা এই এক্সপোকে একটি বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সোর্সিং প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার কল্পনা করি, যা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার প্রদর্শনী, নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের চালিকাশক্তি এবং উন্মুক্ততা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
আমাদের দেশীয় উৎপাদক এবং রপ্তানিকারকদের প্রতি, আমি আপনাদের এই সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করছি। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করুন, বাংলাদেশী উদ্যোগের শক্তি উপস্থাপন করুন এবং বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের জন্য নতুন পথ অন্বেষণ করুন। আপনাদের গতিশীলতা এবং দৃঢ় সংকল্প বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ভবিষ্যৎকে রূপ দেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য সচীব মাহবুবুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, ওসি তরিকুল ইসলাম।