ক্ষতিপূরণসহ ৩ দাবি অগ্রণী ব্যাংক এজেন্টদের
Published: 3rd, December 2025 GMT
অগ্রণী ব্যাংক হঠাৎ এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সারাদেশের এজেন্টদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে এজেন্ট কবে চালু হবে সে বিষয়েও অগ্রণী ব্যাংক কোন ধরনের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না এজেন্টদের। এ কারণে অগ্রণী ব্যাংকের নিকট এজেন্টদের ক্ষতিপূরণসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ঐক্য পরিষদ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এজেন্টরা এসব দাবি জানায়।
এসময় তারা অবিলম্বে সেবা চালুর দাবি জানায়। সংবাদ সম্মেলনে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক মো.
এজেন্টদের দাবিগুলো হলো- সব বকেয়া পরিশোধ, ক্ষতিপূরণ প্রদান করে দ্রুত এজেন্ট সেবা চালু করা এবং হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও আপিল বিভাগে করা আপত্তি প্রত্যাহার। নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের দুর্দশার জন্য দায়ীদের শাস্তি এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। চলমান আরবিট্রেশন মামলার অযথা বিলম্ব বন্ধ করে দ্রুত নিষ্পত্তি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২০ জুন ২০২৫ কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অগ্রণী ব্যাংক তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক এবং পাঁচ লাখ অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহারকারী বিপাকে পড়েন। ভাতা ভোগী, কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসীসহ রেমিট্যান্স গ্রহণকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০১৬ সাল থেকে পরিচালিত এ সেবা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ৫৬৭টি আউটলেট এবং প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। এজেন্ট মালিকদের দাবি, তাদের কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন ঝুঁকির মুখে।
আহ্বায়ক আবু সাইদ জানান, দীর্ঘদিনের বকেয়া বিল পরিশোধ ও সার্ভার পুনরায় চালুর দাবিতে ২৪ নভেম্বর থেকে টানা দশ দিন অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন তারা। এটি পঞ্চম দফা আন্দোলন।
এজেন্ট ঐক্য পরিষদ অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট সেবা পুনরায় চালুর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চায়।
আবু সাইদ বলেন, “প্রতিটি আউটলেট চালাতে মাসে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা খরচ হয়। সেবা বন্ধ থাকায় এখন ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছি।”
তিনি আরো বলেন, “ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। বরং তারা নাকি জানিয়ে দেন, এজেন্ট উদ্যোক্তারা গেটে মারা গেলেও সমাধান নেই।”
আবু সাইদের দাবি, “ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জিএম রাউফা হক সফটওয়্যার আপগ্রেড করে নতুন চুক্তির আশ্বাস দিলেও পরে তা অস্বীকার করছেন। কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা ব্যক্তিগত স্বার্থে এ সেবা নেটওয়ার্ক ধ্বংস করছেন।”
সংগঠনটির নেতারা বলেন, সারাদেশের নারী ও তরুণ গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ, বিনিয়োগ ও স্বপ্ন আজ ধ্বংসের পথে। তারা এই ‘অসাধু চক্রের’ দ্রুত বিচার দাবি করেন।
ঢাকা/নাজমুল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ য ক ত দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয় সরণিতে সুজুকির ফ্ল্যাগশিপ শাখা চালু
রাজধানীর বিজয় সরণিতে সুজুকির নতুন ফ্ল্যাগশিপ শাখা বা আউটলেট চালু করেছে র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেড। আজ রোববার চালু হওয়া সুজুকি মোটরবাইকস নামের আউটলেটটিতে সুজুকির তৈরি সর্বশেষ মডেলের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল কেনা যাবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন আউটলেটটি সুজুকি বাংলাদেশের দেশব্যাপী শক্তিশালী রিটেইল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। এর মাধ্যমে সুজুকির উন্নত গ্রাহকসেবা পাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বমানের মোটরসাইকেল এক ছাদের নিচে কেনা যাবে।
ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটটিতে সুজুকির জনপ্রিয় মোটরসাইকেল মডেলগুলোর পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তিনির্ভর মোটরসাইকেলও প্রদর্শন করা হবে। শুধু তা–ই নয়, রাইডিং গিয়ার, ব্র্যান্ডেড অ্যাপারেল এবং প্রিমিয়াম হেলমেট কেনা যাবে, ফলে মোটরসাইকেলপ্রেমীরা সহজেই নিজেদের লাইফস্টাইল উন্নত করতে পারবেন।