রাজধানীর বড় সাত কলেজ ঘিরে সৃষ্ট সংকট কাটেনি। এই কলেজগুলো নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোর বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। সরকার দাবি না মানলে তাঁরা সব সরকারি কলেজে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং মডেল’ বাতিল এবং স্বাতন্ত্র্য কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

প্রথম দিনে গতকাল মঙ্গলবার মাউশি প্রাঙ্গণে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি হলেও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। আজ তাঁরা সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন, ৪ ডিসেম্বর সাত কলেজে কর্মবিরতি (পরীক্ষা আওতার বাইরে) এবং ৬ ডিসেম্বর শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন।

এরপরও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুনবার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, ক্ষতির মুখে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা ১ ঘণ্টা আগে

আগে থেকেই ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজে সংকট বিরাজ করছে। ২০১৭ সালে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই এগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। সরকারি এই কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক য ড র র কর মকর ত স ত কল জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানিতে সেনাবাহিনীর ২০ হাজার গুলি চুরি, কে কীভাবে এ কাণ্ড ঘটাল

জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের বুর্গ শহরে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি ডেলিভারি ট্রাক থেকে হাজার হাজার গুলি চুরি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এ চুরির বিষয় নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই গুলি কে বা কারা চুরি করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। চালক অনির্ধারিত স্থানে ট্রাক থামানোয় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জার্মানির দুই সংবাদমাধ্যম এমডিআর ও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ডেয়ার স্পিগেলকে চুরির ঘটনাটি গত ২৫ নভেম্বর ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।

স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যে গোলাবারুদ ‘হারানোর’ ঘটনা আগেও ঘটেছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে বার্নবুর্গ ও আইসলেবেন শহরে পুলিশের গোলাবারুদ খোয়া যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি বেসামরিক মালিকানাধীন ট্রাক সেদিন গুলি বহন করছিল। রাত হওয়ায় বুর্গের একটি হোটেলের পার্কিংয়ে ট্রাক থামান চালক। পরের দিন ট্রাক ব্যারাকে পৌঁছানোর পর বেশকিছু গুলি উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, পিস্তলের প্রায় ১০ হাজারটি তাজা গুলি ও প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত অ্যাসল্ট রাইফেলের ৯ হাজার ৯০০ গুলি ট্রাকে নেই।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা চুরির বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। এসব গুলি ভুল হাতে পড়া উচিত নয়।’ মন্ত্রণালয় আরও মনে করছে, চালকের এমন জায়গায় ট্রাক থামানো ঠিক হয়নি।

চুরির ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা জানতে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যে গোলাবারুদ ‘হারানোর’ ঘটনা আগেও ঘটেছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে বার্নবুর্গ ও আইসলেবেন শহরে পুলিশের গোলাবারুদ খোয়া যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ