প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত প্রার্থীর বাড়িতে সালাহউদ্দিন আহমেদ
Published: 3rd, December 2025 GMT
নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান তিনি। সন্ধ্যায় এই আসনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত ইসলামের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুকের বাসায় যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে দুই নেতা একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আরো পড়ুন:
বেগম জিয়াকে কারাগারে স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছিল: সালাহউদ্দিন আহমেদ
খালেদা জিয়া বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় কি না, দেখার পর তারেকের ফেরার সিদ্ধান্ত
জামায়াত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুকের বাসা চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের কালা সিকদারপাড়ায় অবস্থিত। সেখানে গিয়ে জাময়াত প্রার্থীর বাবা নুরুল কবিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় দুই নেতা একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
গত সোমবার দুপুরে নুরুল কবির মারা যান। খবর পেয়ে সেদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, “আব্দুল্লাহ আল ফারুক আমার এলাকারই সন্তান। তার বাবা মারা গেছেন। যেহেতু আমি এলাকায়ে এসেছি, তাই তার পরিবারের খোঁজ নিতে তার বাসায় গেছি।”
এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে ছিলেন- তার স্ত্রী ও সাবেক সাংসদ সদস্য হাসিনা আহমদ, চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হকসহ দলীয় নেতারা।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স ল হউদ দ ন আহম দ চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে সন্ধ্যায় খেলার মাঠ থেকে ছয় শিশু–কিশোরকে অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় খেলার সময় ছয় শিশু–কিশোরকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের মধ্যে দুজন কৌশলে পালিয়ে এলেও চারজন এখনো জিম্মি রয়েছে।
এ ঘটনা ঘটে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলখালী পূর্বপাড়ায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় শিশু–কিশোরদের খেলাধুলার সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ছয়জনকে জিম্মি করে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায়। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
হাফেজ আহমদ বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে অবহিত করেছে। আমরা ও পুলিশ মিলে অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে পাহাড়ে তল্লাশি চালাচ্ছি। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চার শিশুর খোঁজ মেলেনি। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যেই অপহরণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘শিশু–কিশোরদের অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি। অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে আমরা কাজ করছি।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। অধিকাংশই মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে এসেছে।