বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সহায়তায় যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিলি ঢাকায় এসেছেন।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। 

আরো পড়ুন:

হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন সক্ষমতা, বিদেশ নির্ভরতা কমবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা 

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইলেন ডিপজল

ঢাকায় এসেই ডা.

রিচার্ড বিলি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। এ হাসপাতালেরই করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

শায়রুল কবির জানিয়েছেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের অংশগ্রহণে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় মেডিকেল রিপোর্ট ও সাম্প্রতিক পরীক্ষার রিপোর্টগুলো নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করছেন।

গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিএনপির সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। তবে, বর্তমান অবস্থা ও মেডিকেল বোর্ডের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই। যুক্তরাজ্য থেকে তাকে (খালেদা জিয়া) দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন।

ডা. জাহিদ হোসেন আরো জানান, যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক দেখার পর যদি মেডিকেল বোর্ড মনে করে, তখন খালেদা জিয়াকে যথাযথভাবে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও, তার উন্নত ও সার্বিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও চলমান মেডিকেল ব্যবস্থাপনার আরও গভীর মূল্যায়নের জন্য হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অতিরিক্ত বিশেষজ্ঞ মতামতের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর জ য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষতিপূরণসহ ৩ দাবি অগ্রণী ব্যাংক এজেন্টদের

অগ্রণী ব্যাংক হঠাৎ এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সারাদেশের এজেন্টদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে এজেন্ট কবে চালু হবে সে বিষয়েও অগ্রণী ব্যাংক কোন ধরনের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না এজেন্টদের। এ কারণে অগ্রণী ব্যাংকের নিকট এজেন্টদের ক্ষতিপূরণসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ঐক্য পরিষদ। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এজেন্টরা এসব দাবি জানায়। 

এসময় তারা অবিলম্বে সেবা চালুর দাবি জানায়। সংবাদ সম্মেলনে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক মো. আবু সাইদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম, আসেকে রাসুল, প্রকৌশলী মেজবাহ, সাহিদা আক্তার, নাসরিন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

এজেন্টদের দাবিগুলো হলো- সব বকেয়া পরিশোধ, ক্ষতিপূরণ প্রদান করে দ্রুত এজেন্ট সেবা চালু করা এবং হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও আপিল বিভাগে করা আপত্তি প্রত্যাহার। নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের দুর্দশার জন্য দায়ীদের শাস্তি এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। চলমান আরবিট্রেশন মামলার অযথা বিলম্ব বন্ধ করে দ্রুত নিষ্পত্তি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২০ জুন ২০২৫ কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অগ্রণী ব্যাংক তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক এবং পাঁচ লাখ অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহারকারী বিপাকে পড়েন। ভাতা ভোগী, কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসীসহ রেমিট্যান্স গ্রহণকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

২০১৬ সাল থেকে পরিচালিত এ সেবা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ৫৬৭টি আউটলেট এবং প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। এজেন্ট মালিকদের দাবি, তাদের কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন ঝুঁকির মুখে।

আহ্বায়ক আবু সাইদ জানান, দীর্ঘদিনের বকেয়া বিল পরিশোধ ও সার্ভার পুনরায় চালুর দাবিতে ২৪ নভেম্বর থেকে টানা দশ দিন অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন তারা। এটি পঞ্চম দফা আন্দোলন।

এজেন্ট ঐক্য পরিষদ অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট সেবা পুনরায় চালুর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চায়। 

আবু সাইদ বলেন, “প্রতিটি আউটলেট চালাতে মাসে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা খরচ হয়। সেবা বন্ধ থাকায় এখন ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছি।”

তিনি আরো বলেন, “ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। বরং তারা নাকি জানিয়ে দেন, এজেন্ট উদ্যোক্তারা গেটে মারা গেলেও সমাধান নেই।” 

আবু সাইদের দাবি, “ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জিএম রাউফা হক সফটওয়্যার আপগ্রেড করে নতুন চুক্তির আশ্বাস দিলেও পরে তা অস্বীকার করছেন। কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা ব্যক্তিগত স্বার্থে এ সেবা নেটওয়ার্ক ধ্বংস করছেন।”

সংগঠনটির নেতারা বলেন, সারাদেশের নারী ও তরুণ গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ, বিনিয়োগ ও স্বপ্ন আজ ধ্বংসের পথে। তারা এই ‘অসাধু চক্রের’ দ্রুত বিচার দাবি করেন।

ঢাকা/নাজমুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ