মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাংনী বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাভেদ মাসুদকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাঁদের দাবি, মেহেরপুর জেলার জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দিলে দল ও সাধারণ জনগণ উভয়ের স্বার্থই রক্ষা পাবে। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেওয়া দলের জন্য তা ক্ষতির কারণ হবে। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া উপজেলা বিএনপির কর্মী আশাদুল ইসলাম বলেন, আমজাদ হোসেন দীর্ঘ ১৭ বছর দলের নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজখবর রাখেননি। তিনি আমেরিকার ছিলেন। জাভেদ মাসুদ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন। জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হামলা মামলায় জেল খেটেছেন। তৃণমূল বিএনপির কর্মীদের জন্য কাজ করেছেন। গায়েবি মামলায় জামিনের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁকে ছাড়া অন্য কারও মনোনয়ন মেনে নেবেন না বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, গাংনীতে বিএনপি মনোনীত আমজাদ হোসেনকে নেতা-কর্মীরা মেনে নিচ্ছেন না। তিনি হামলা-মামলার ভয়ে এত দিন চুপ ছিলেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিপদের দিনে তিনি নিজেকে আড়াল করেছিলেন। এসব কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন পরিবর্তনের জন্য লাগাতার আন্দোলন করছেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন প্রমুখ।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি দেশের বড় রাজনৈতিক দল। তারা আমাকে মনোনীত করেছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা জাভেদ মাসুদের অনুসারী।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আমজ দ হ স ন ব এনপ র স কর ম দ র মন ন ত কর ম র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ট্রিপল হত্যা মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

খুলনার লবণচরা এলাকার দরবেশ মোল্লা গলির একটি বাসার মুরগির খামার থেকে নানি ও তার দুই নাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তরিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে লবণচরা এলাকার মোল্লাপাড়া আরজু কালভার্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই এলাকার মো. আজহারুল ইসলামের ছেলে।

আরো পড়ুন:

জজের ছেলে হত্যা: আসামি লিমন মিয়া ফের রিমান্ডে

জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা মামলায় ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

আরো পড়ুন: মুরগির ঘরে মিলল নানি ও নাতি-নাতনির মরদেহ

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) গ্রেপ্তারকৃতকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “দরবেশ মোল্লা গলির ট্রিপল মার্ডারটি বর্তমান খুলনা নগরীর একটি আলোচিত ঘটনা। ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। গোয়েন্দা তথ্য ও সোর্সের সাহায্যে বুধবার রাতে তরিকুলকে নগরীর লবণচরা মোল্লাপাড়া কালভার্টের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি বলেন, “ট্রিপল মার্ডারটি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাতে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোপন রাখা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পুলিশকে। যেগুলো তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”

গত রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরীর লবণচরা থানাধীন দরবেশ মোল্লা গলির একটি বাড়ির মুরগির খামার থেকে নানি মহিদুন্নেছা (৫৫), নাতি মুস্তাকিম (৮) ও নাতনি ফাতিহার (৬) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই শিশুর বাবা শেফার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ