Risingbd:
2025-11-28@11:16:30 GMT

এক ম্যাচে ১৭ লাল কার্ড!

Published: 28th, November 2025 GMT

এক ম্যাচে ১৭ লাল কার্ড!

বলিভিয়ার ঘরোয়া ফুটবলে যেন বাস্তবের চেয়ে সিনেমার দৃশ্যই দেখা গেল। কোপা বলিভিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ শেষে ফুটবল মাঠ মুহূর্তেই রূপ নিল সংঘর্ষের ময়দানে। রেফারির ৯০ মিনিটের বাঁশি শেষ হতেই মাঠজুড়ে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ঘুষাঘুষি আর বিশৃঙ্খলা। শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নামতে হলো টিয়ারগ্যাস নিয়ে। ফুটবল ইতিহাসে নিশ্চয়ই ব্যতিক্রমী ঘটনা!

ব্লুমিং ও রিয়াল ওরুরোর লড়াই আগে থেকেই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। প্রথম লেগে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ব্লুমিং। দ্বিতীয় লেগে ২–২ গোলে ড্র করেই তারা জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। কিন্তু মাঠের লড়াই শেষ হলেও আসল ড্রামা শুরু হয় শেষ বাঁশির পর।

আরো পড়ুন:

মেসি জানালেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হবে ভারত’

ছোটদের বিশ্বকাপে পর্তুগাল চ্যাম্পিয়ন, রোনালদোর অভিনন্দন

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওরুরোর সেবাস্তিয়ান জেবায়োসকে প্রথমে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি বারবার প্রতিপক্ষের দিকে ফিরে গিয়ে মারমুখী আচরণ করেন। এরপর যোগ দেন হুলিও ভিয়াও। তিনিও হাত চালাতে কসুর করেননি। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বিপদে পড়েন ওরুরো কোচ মার্সেলো রবলেদো। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের এক সদস্যের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডার মাঝে ধাক্কা খেয়ে তিনি পড়ে যান। মাথা ও কাঁধে আঘাত লাগায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়।

সহিংসতা যখন আরও বাড়ছে, তখন মাঠে প্রবেশ করে প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়েই টিয়ারগ্যাস ছুড়ে দাঙা থামায় তারা। এরই মধ্যে সতর্ক ব্যবস্থা হিসেবে ব্লুমিং কোচ মৌরিসিও সোরিয়া নিজের দলকে দ্রুত ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দেন।

অতঃপর রেফারি রেকর্ড সংখ্যক ১৭টি লাল কার্ড দেখান। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনায় জড়িত কমপক্ষে ছয়জন খেলোয়াড়কে তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। সহিংস আচরণের দায়ে গ্যাব্রিয়েল ভালভার্দে, রিচেট গোমেজ, ফ্রাঙ্কো পসে, রবার্তো মেলগার, সিজার রোমেরো ও লুইস সুয়ারেজকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়।

শুধু ফুটবল নয়, বলিভিয়ার এই ম্যাচ যেন আচমকা এক সামাজিক বিশৃঙ্খলার প্রতিচ্ছবি। যেখানে জয়-পরাজয়ের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারানো আবেগ। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

শিকলে বাধা শান্তর চিকিৎসায় ইউএনওর সহায়তা

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে টাকার অভাবে শিকলবন্দী জীবন কাটছে ১৪ বছর বয়সী শান্তর। জন্মের পর থেকেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পরিবার তাকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করে। তবে অর্থ সংকটে নিয়মিত চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দিন–দিন অস্বাভাবিক আচরণ বাড়তে থাকে। সে কারণে রাতে ঘরে, আর দিনে গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে রাখতে বাধ্য হন অভিভাবকরা।

গত রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে শান্তর বাড়িতে যান নবাগত জেলা প্রশাসক মো. ইকবাল হোসেন। তিনি শিশুটির অবস্থা দেখে চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে শান্তর বাড়িতে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করার জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা শান্তর বাবা জসীম উদ্দীনের হাতে তুলে দেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার পীযূষ কুমার, সমাজসেবা কর্মকর্তা জামশেদ আলী, মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদি।

এ ব্যাপারে শান্তর পিতা জসিম উদ্দিন জানান, ২০১১ সালে জন্ম নেওয়ার পর শান্ত সাড়ে তিন বছর বয়সে নানা অস্বাভাবিক আচরণ ও অখাদ্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গেলে দীর্ঘ পাঁচ বছর চিকিৎসা চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

দারিদ্র্যের কারণে নিয়মিত ওষুধ কিনতে না পেরে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুটা ভালো হওয়ার পর আবার সমস্যার পুনরাবৃত্তি হলে ২০১৮ সালে ফের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেবারও পাঁচ বছর ধরে ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ আসে। কিন্তু দৈনিক ১০০-২০০ টাকার ওষুধ বাবদ খরচ মেটানো তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

জসিম আরো জানান, করোনাকালে গণমাধ্যমে শান্তর ভিডিও ভাইরাল হলে সেসময়ের পুলিশ সুপার তানভির আরাফাত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। পরে তিনি বদলি হলে চিকিৎসা থেমে যায়। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ভাতার ২ হাজার ৬০০ টাকা তিন মাস পরপর পেলেও তা খাবার, কাপড় ও পরিচর্যায় শেষ হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, “গত ২৪ নভেম্বর ডিসি স্যার শান্তকে দেখতে আসেন এবং চিকিৎসার সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। গতকাল ইউএনও স্যার ১৫ হাজার টাকা প্রদান করলেন এবং শান্তর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।”

মিরপুরের ইউএনও মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “শান্তকে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে শিকলে বেঁধে রাখা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসার পর তিনি নিজে গিয়ে শিশুটির খোঁজ খবর নেন। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা প্রদান করি। সরকারি সকল সহযোগিতা থেকে শান্তর চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন নারী শুটারকে হয়রানির অভিযোগে শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জিডি
  • শিকলে বাধা শান্তর চিকিৎসায় ইউএনওর সহায়তা
  • নারীরা চলাফেরা, আচরণের ক্ষেত্রে যে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা কল্পনা করা যায় না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  • বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হচ্ছেন না রোনালদো, খেলতে পারবেন পর্তুগালের প্রথম ম্যাচ থেকেই