পথ হারিয়ে ফেলা সেই ইয়ামিই এখন...
Published: 28th, November 2025 GMT
চেনা ফ্রেমে তাঁকে প্রথম দেখা গিয়েছিল টেলিভিশনে। ধারাবাহিক ‘চাঁদ কে পার চলো’–এর সেই শান্ত, সহজ মুখটাই ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ঘরে ঘরে। তখন কেউ হয়তো ভাবেননি, সেই মেয়ে একদিন বলিউডের গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্রগুলোর একটিতে নিজেকে স্থায়ী করে নেবেন। আজ ইয়ামি গৌতমের জন্মদিনে ফিরে তাকানো যাক তাঁর অভিনয়জীবনের পথচলার দিকে—যে পথ শুধু সাফল্যের নয়, ভেতরের দ্বিধা, ভাঙন আর নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার গল্পও বটে।
টেলিভিশন থেকে বড় পর্দা
টেলিভিশনে কাজের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু হলেও ইয়ামির স্বপ্ন ছিল বড় পর্দা। ধারাবাহিক ও বিজ্ঞাপনচিত্রের পরিচিত পরিসর পেরিয়ে তিনি যখন সিনেমার দিকে এগোলেন, শুরুটা কিন্তু হিন্দি ছবি দিয়ে নয়। তাঁর প্রথম বড় পর্দার অভিজ্ঞতা কন্নড় ছবিতে। ভাষা, সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে সেই শুরুটা সহজ ছিল না। তবে লড়াইয়ের মধ্যেই তৈরি হচ্ছিল প্রস্তুতি।
২০১২ সালে সুজিত সরকারের ‘ভিকি ডোনার’ দিয়ে হিন্দি ছবিতে তাঁর আগমন। আয়ুষ্মান খুরানার বিপরীতে সেই ছবিতে ইয়ামিকে দেখা গেল সাবলীল, সংযত অথচ দৃঢ় এক নারীর ভূমিকায়। ছবির সাফল্য তাঁকে রাতারাতি পরিচিত করে দেয়; কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বরং এখান থেকেই শুরু হয় আরেক রকম সংগ্রাম।
ইয়ামি গৌতম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
বাজারে শীতকালীন সবজি পুরোদমে আসলে দাম কমেছে না। বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেট কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে এখন শীতকালীন সবজি পুরোদমে চলছে আসছে। কিন্তু দাম কমছে না। এর অন্যতম কারণ পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন:
সবজির দাম বেড়েছে, কমেছে মাছের
কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে চাই: ক্যাব সভাপতি
এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা, দেশি শশা ৯০ থেকে ১০০টাকা, করলা ১০০ টাকা, গাজর (দেশি) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচমরিচ ১৫০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং প্রতি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে মুরগির দাম
বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকায়।
স্বাভাবিক মাছের দাম
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে চাষের মাছের সরবরাহ বাড়ার কারণে কিছু কিছু মাছের দাম কমেছে। বিক্রেতাদের দাবি সামনে আরো মাছের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সপ্তাহে বাজারে মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। চাষের পাঙাস আকার অনুযায়ী কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, মাঝারি আকারের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ইলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ থেকে ১৩০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। রসুন (দেশি) ১০০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা যা বললেন
রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব হাসান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখনো যদি কাঁচা সবজির দাম এত বেশি থাকে তাহলে আর দাম কবে কমবে। গত বছর এই সময়ে সবজির দাম অনেক কম ছিল। এখনই সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।”
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আখতারুজ্জামান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আমরাও বুঝতে পারছি না এ বছর এই সময়ে এসে দাম এত বাড়তি কেন? দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে আশা করছি আগামী মাসে কাঁচা সবজির দাম কমে আসবে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ