নড়াইলে তিন দিনব্যাপী চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার প্রথম দিনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের চাকই মাঠে এ ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাঠ। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, নড়াইল, যশোর, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৩২টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে প্রথম হয় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী থেকে আসা রাব্বি ইসলামের ঘোড়া, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নওখোলা গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ঘোড়াটি দ্বিতীয়, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুরের নিছার আলীর ঘোড়াটি তৃতীয় এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী এলাকার রাসেলের ঘোড়াটি চতুর্থ হয়েছে। যথাক্রমে তাদের দশ হাজার, সাত হাজার, পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসরাত বলেন, “ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের এই আয়োজন। এতে যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এটা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আরো সুন্দর করে পালন করতে পারে।”
ঢাকা/শরিফুল/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা
প্রায় এক শতাব্দী ধরে ডার্ক ম্যাটার জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম বড় রহস্য। ১৯৩০ দশকে এই ধারণা প্রথম উত্থাপন করা হয়। সুইডেনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটজ জুইকি প্রথম উপলব্ধি করেন দূরবর্তী কোমা ক্লাস্টারের গ্যালাক্সি তাদের দৃশ্যমান নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা একত্রে ধরে রাখার জন্য অনেক দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েক দশক পর ভেরা রুবিনের সর্পিল গ্যালাক্সিও কোনো একটি অদৃশ্য ভর অতিরিক্ত মহাকর্ষীয় প্রভাব তৈরি করছে বলে জানা যায়। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে থাকা ডার্ক ম্যাটারের রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটারের ঝলক শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণের সময় প্রায় ২০ গিগা ইলেকট্রন ভোল্টের শক্তিতে গামা রশ্মির একটি হ্যালো-আকৃতির আভা দেখতে পেয়েছেন। এটি একটি অস্বাভাবিক শক্তিশালী সংকেত, যা উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেল বা ডাব্লিউআইএমপি নামে পরিচিত কাল্পনিক ডার্ক ম্যাটার কণার ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেছে। তত্ত্ব অনুসারে, যখন দুটি এমন কণার মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন তারা একে অপরকে ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে গামা রশ্মি নির্গত হয়। এই রশ্মি মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আলোর রূপ।
নতুন এ আবিষ্কারের বিষয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তোমোনোরি তোতানি জানান, নির্গত ডার্ক ম্যাটার প্রত্যাশিত আকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিলে যায়। এই ঘটনার সহজ বিকল্প ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। গবেষণার ফলাফল সঠিক হলে এটি হবে মানবজাতির প্রথমবার ডার্ক ম্যাটার দেখার অভিজ্ঞতা। এর ফলে পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে একটি সম্পূর্ণ নতুন কণার উপস্থিতি জানা যাবে। তখন বিজ্ঞানীরা হিগস বোসনের মতো একটি রূপান্তরমূলক আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ডার্ক ম্যাটার আলো নির্গত, শোষণ বা প্রতিফলিত করে না। আর তাই শক্তিশালী হলেও অদৃশ্য থাকে এই পদার্থ। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এই পদার্থ মহাবিশ্বের সব পদার্থের প্রায় ৮৫ শতাংশ তৈরি করে। আমাদের দেখা সবকিছু—নক্ষত্র, গ্রহের চেয়ে ভারী এই পদার্থ।
সূত্র: এনডিটিভি