নড়াইলে তিন দিনব্যাপী চাকই-রুখালী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলার প্রথম দিনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের চাকই মাঠে এ ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাঠ। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, নড়াইল, যশোর, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৩২টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে প্রথম হয় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী থেকে আসা রাব্বি ইসলামের ঘোড়া, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নওখোলা গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ঘোড়াটি দ্বিতীয়, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুরের নিছার আলীর ঘোড়াটি তৃতীয় এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী এলাকার রাসেলের ঘোড়াটি চতুর্থ হয়েছে। যথাক্রমে তাদের দশ হাজার, সাত হাজার, পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসরাত বলেন, “ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের এই আয়োজন। এতে যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এটা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আরো সুন্দর করে পালন করতে পারে।”
ঢাকা/শরিফুল/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের সন্তানদের তাহলে খুন করল কে, প্রশ্ন মা–বাবার
প্রায় ২০ বছর আগে ভারতে ‘বিভীষিকাময় বাংলো’ হিসেবে পরিচিত একটি বাড়ির কাছ থেকে ১৯ নারী ও শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছিল। এত বছরের পুরোনো এ ঘটনাটি আবার আলোচনায় এসেছে। কারণ, এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত দুজনের শেষজন সুরেন্দ্র কোলি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।
১২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বিচারাধীন শেষ মামলায় সুরেন্দ্রকে খালাস দেন। নির্যাতনের মুখে তিনি নরমাংস ভক্ষণ ও মৃতদেহের সঙ্গে যৌনকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর এমন দাবি আদালত আমলে নিয়েছেন।
ডি৫-নিচু বাংলা ঘরটি—এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে; সুসজ্জিত, ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা বাড়ির সারির মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়ে। বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত পড়ে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে এক আগুনের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া চিহ্ন রয়েছে। ওই আগুনে অবকাঠামোটির কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছিল।ঘটনাটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরের। রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা এলাকায় পুলিশ একটি বাংলো খুঁজে পায়, যেখানে নারী ও শিশুদের হত্যা, অঙ্গহানি ও কিছু ঘটনায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়ির আশপাশ থেকে মানবশরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়ার পর ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিং পান্ধের ও তাঁর সহকারী সুরেন্দ্র কোলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নির্বিকার থাকার অভিযোগ আনেন। এ ঘটনার মাধ্যমে ভারতের গভীর সামাজিক বৈষম্যও সামনে আসে। কারণ, অভিজাত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছিল এবং এর বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ছিল পার্শ্ববর্তী নিঠারি বস্তির মানুষ।
দুই আসামি সুরেন্দ্র কোলি ও মণীন্দ্র সিং পান্ধের (ডানে)