‘বাঙালি’ নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশি’ করার সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের জনগণের নাগরিকত্ব হিসেবে ‘বাঙালি’ বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশি’ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশন আজ বুধবার সকালে তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।
প্রতিবেদনে দেওয়া সুপারিশে ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি...’ এই বিধান বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। তারা বর্তমান অনুচ্ছেদ ৬ (২) ‘বাংলাদেশের নাগরিকগণ “বাংলাদেশি” বলে পরিচিত হবেন’ হিসেবে প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বর্তমান ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ করার প্রস্তাবও করেছে কমিশন।
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানের নাম হিসেবে উল্লেখ আছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংবিধানের প্রস্তাব হিসেবে বলা হয়েছে, ‘জনগণের সম্মতি নিয়ে আমরা এই সংবিধান জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করছি।’
এই কমিশনের সূপারিশে বলা হয়েছে- সংবিধানের প্রযোজ্য সব ক্ষেত্রে ‘প্রজাতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দ ব্যবহৃত হবে। তবে ইংরেজি সংস্করণে ‘রিপাবলিক’ ও ‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ শব্দগুলো থাকছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর র স প র শ কর
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের নির্বাচনের লড়াইটা কঠিন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের লড়াইটা হবে কঠিন।
তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচন আওয়ামী আমলের নির্বাচন নয়। নিরপেক্ষ পরিবেশেই ভোট হবে। জয়ী হতে হলে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতেই হবে।”
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির পঞ্চম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই নির্বাচন আওয়ামী অভয়ের নির্বাচন নয়। তাই জনগণের মন জয় করাই হবে মূল বিষয়। কে নমিনেশন পেল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ৫ আগস্ট আমরা ফ্যাসিস্ট শাসনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেশে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছিল। আমাদের নেতা বিদেশে থাকলেও তিনি আমাদের সংগঠিত রেখেছেন— তার প্রমাণ আপনাদের সামনে।”
তিনি জানান, আজ তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠনের সুযোগ এসেছে এবং এ নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।
ফখরুল বলেন, “আজকের লড়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। বিএনপির সংস্কার শুরু করেন জিয়াউর রহমান— রেমিট্যান্স, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, উন্মুক্ত অর্থনীতি। পরে বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়িয়েছেন।”
গত ১৫ বছরের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আপনারা দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন— এখন সেই লড়াইয়ের শেষ প্রান্তে। নির্বাচনের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপি কখনো পরাজিত হওয়ার দল নয়।”
১৯৭১ প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের অস্তিত্ব ১৯৭১। অথচ কেউ কেউ বলে ৭১-এর প্রজন্ম নাকি নিকৃষ্ট প্রজন্ম— তারা এমন কথা কীভাবে বলে?”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বেগম রোকেয়া সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “নারী জাগরণের অগ্রদূতকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য। ৫ আগস্টের ঘটনার পর দেশে কোনো অন্ধ শক্তি সক্রিয় হচ্ছে কি না, সেটিও উদ্বেগের বিষয়।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/মোহাম্মদ/ইভা