‘ট্রাম্পকে হত্যার চক্রান্ত করেনি ইরান’
Published: 15th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চক্রান্ত ইরান কখনও করেনি বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ও মার্কিন সরকারের পূর্ববর্তী এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা আগেও এমন কিছু করিনি এবং ভবিষ্যতেও করব না। ট্রাম্পকে কথিত গুপ্তহত্যার চক্রান্তে জড়িত থাকার সন্দেহে গত নভেম্বরে এক ইরানি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মার্কিন বিচার বিভাগ।
অভিযোগে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ওই হত্যার আদেশ দিয়েছিল। গত বছর ট্রাম্প নিজেও একাধিকবার অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁকে হত্যার প্রচেষ্টায় ইরানের হাত থাকতে পারে। রয়টার্স।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আবাসিক হলের ঝুঁকি যাচাই ও পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি ডাকসুর
ভূমিকম্পের আতঙ্কের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আবাসিক হলের ভবনের ঝুঁকি যাচাই ও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় পরপর দুটি ভূমিকম্পের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ করা নিষ্ঠুরতার শামিল।
ডাকসুর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে সব আবাসিক হলের ভবন পরিদর্শন করে কাঠামোগত ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে এবং সেই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। প্রাপ্ত মূল্যায়নে যেসব ভবন ও কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবে, সেগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ভবনের দ্রুত সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
মূল্যায়ন সম্পন্ন না হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর না করা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন শিক্ষার্থীরা যেন সেশনজটে না পড়েন, সে জন্য অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আবার খুলে দেওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থগিত হওয়া পরীক্ষা সম্পন্ন করার বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় জরুরি পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে বাধ্য করবে ডাকসু।
আরও পড়ুনভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না৫ ঘণ্টা আগে