সাইফের ওপরে হামলা, মুখ খুললেন কারিনা
Published: 17th, January 2025 GMT
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর পুরোপুরি নীরব ছিলেন সাইফের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। অন্যদিকে, তার বক্তব্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুখ খুলেছেন কারিনা কাপুর খান। গতকাল রাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন। লেখার শুরুতে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমাদের পরিবারের জন্য দিনটি অবিশ্বাস্যরকমের চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা এখনো ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা কঠিন সময় পার করছি। বিভিন্ন গুজব এবং টানা কাভারেজ থেকে বিরত থাকার জন্য মিডিয়া-পাপারাজ্জিদের শ্রদ্ধার সঙ্গে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।”
কিছুটা সময় চেয়ে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আপনাদের উদ্বেগ ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু আপনাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং অতিমাত্রার মনোযোগ আমাদের নিরাপত্তা আরো ঝুঁকিতে ফেলছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমাদের সীমানাকে সম্মান করুন এবং আমাদের পরিবারকে স্থির হওয়ার জন্য, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিন। এই সংবেদনশীল সময়ে বোঝাপড়া-সহযোগিতার জন্য আপনাদের অগ্রিম ধন্যবাদ।”
আরো পড়ুন:
সাইফ-কারিনার আলোচিত বাড়ির মূল্য কত, কী আছে ভেতরে?
বিলাসবহুল গাড়ি রেখে সাইফকে কেন অটোরিকশায় হাসপাতালে নেওয়া হয়?
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। সাইফের বাড়ির নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা রয়েছে তাকে। দুই-একদিনের মধ্যে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না কারিনা কাপুর খান। বরং বোন ও বান্ধবীদের সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন। তবে স্বামী সাইফের আহত হওয়ার খবর পেয়ে বাড়ি ফিরেন কারিনা। গতকাল দুপুরের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে যান এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ঝিনাইদহের রাকিবুল হোসেনের মা ও বাবা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায়: খেলাফত মজলিস
রায়ে খুশি শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মা
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের পর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা আবুবকর সিদ্দিক ও মা হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে উল্লিখিত দাবি জানান।
হাফিজা খাতুন বলেছেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে আজ সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শহীদের মা হিসেবে আমি আজ আংশিক সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন। আমি যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে পারি।
আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামালসহ জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকলের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। যারা গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। আজ আমরা খুশি। শেখ হাসিনা বহু মায়ের বুক খালি করেছে। একজন নারী হয়েও সে কীভাবে এত মায়ের সন্তানকে হত্যার আদেশ দিয়েছে, তা আমরা ভেবে পাই না।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক