দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর পুরোপুরি নীরব ছিলেন সাইফের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। অন্যদিকে, তার বক্তব্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুখ খুলেছেন কারিনা কাপুর খান। গতকাল রাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন। লেখার শুরুতে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমাদের পরিবারের জন্য দিনটি অবিশ্বাস্যরকমের চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা এখনো ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা কঠিন সময় পার করছি। বিভিন্ন গুজব এবং টানা কাভারেজ থেকে বিরত থাকার জন্য মিডিয়া-পাপারাজ্জিদের শ্রদ্ধার সঙ্গে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।”

কিছুটা সময় চেয়ে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আপনাদের উদ্বেগ ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু আপনাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং অতিমাত্রার মনোযোগ আমাদের নিরাপত্তা আরো ঝুঁকিতে ফেলছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমাদের সীমানাকে সম্মান করুন এবং আমাদের পরিবারকে স্থির হওয়ার জন্য, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিন। এই সংবেদনশীল সময়ে বোঝাপড়া-সহযোগিতার জন্য আপনাদের অগ্রিম ধন্যবাদ।”

আরো পড়ুন:

সাইফ-কারিনার আলোচিত বাড়ির মূল্য কত, কী আছে ভেতরে?

বিলাসবহুল গাড়ি রেখে সাইফকে কেন অটোরিকশায় হাসপাতালে নেওয়া হয়?

বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। সাইফের বাড়ির নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা রয়েছে তাকে। দুই-একদিনের মধ্যে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।

জানা যায়, ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না কারিনা কাপুর খান। বরং বোন ও বান্ধবীদের সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন। তবে স্বামী সাইফের আহত হওয়ার খবর পেয়ে বাড়ি ফিরেন কারিনা। গতকাল দুপুরের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে যান এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

২৩ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি নদীতে নিখোঁজ পর্যটকের

বান্দরবানের লামা উপজেলায় মাতামুহুরী নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন এক পর্যটক। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

নিখোঁজ ওই পর্যটকের নাম সোহান আল মাফি (২৭)। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) কর্মরত তিনি। তাঁর পরিবার ঢাকার মিরপুরে থাকে।

লিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লামার সাদা পাহাড় এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতের তোড়ে সোহান আল মাফি তলিয়ে যান। এ জায়গার অবস্থান লামা থেকে আট কিলোমিটার দূরে। সেখানে একটি অবকাশ যাপনকেন্দ্রে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা জানার পর থেকে তাঁরা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন। ফায়ার সার্ভিসের লামা স্টেশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, নিখোঁজ সোহান আল মাফির সন্ধানে চট্টগ্রাম থেকে আজ সকালে ডুবুরি দল এসেছে। তারা তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ